বলছিলাম ঢাকার কথা....
আজ থেকে ছয় বা সাত যুগ আগের কথাই কল্পনা করি!
আজকের দিনের মত কলুষিত আভিজাত্য হয়তোবা ছিল না! কিন্তু নির্মল একটা সৌন্দর্য ছিল। কত শত লোককে যে প্রতিদিন ধারণ করে চলত! নিত্য নতুন মানুষেরা জীবনের এতটুকু নিশ্চয়তার খোঁজে তার দ্বারস্থ হত। রমনীয়া ঢাকা সন্তানরূপে পরম মমতা আর বিশ্বস্ততায় তাদের আশ্রয় দিত। তার কচি গাছের সবুজ মায়ার দেয়া অক্সিজেন সুধা ফুসফুসে যেতেই নিশ্চয়তার নি:শ্বাসে ভরে ওঠত মানব মানবীর বুক। হয়তোবা সচ্ছ জলের টলটলে আয়নার আভায় কোন মানব দেখত তার প্রেয়সীর মুখ.............
১.১।
বাংলা মোটর-১৯৬৬
জহুরা ম্যানসন।
১.২।
ঢাকা কলেজ-১৮৯০
মূল ভবন।
১.৩।
ধানমন্ডি-১৯৬৬
ব্রিজ অন রোড ৭ এং ৮!
১.৪।
ধানমন্ডি-১৯৭০
পুরনো ঈদগাহ রোড ৬/এ।
১.৫।
ফুলবাড়িয়া-১৮৮০
রেইলওয়ে স্টেশন(বর্তমান বাস টার্মিনাল)।
১.৬।
কালিবাড়ি মন্দির-১৯৬৬।
১.৭।
মিরপুর রোড-১৯৬৬।
১.৮।
মতিঝিল-১৯০০ সালে তোলা ছবি!!!!
এরিয়া- আরামবাগ আর মতিঝিলের মাঝামঝি অংশ।
১.৯।
শান্তিনগর-১৯৩৩
ব্যারাক অব রয়াল নরফোক রেজিমেন্ট।
১.১০।
শান্তিনগর-১৯৩৪।
তারপর এভাবে একদিন, দু'দিন.. মাস পেরিয়ে বছর.. হামাগুড়ি দিয়ে কেটে যায় সময়।
২.১।
২.২।
২.৩।
২.৪।
২.৫।
২.৬।
২.৭।
কোকিলের সুসময় আর নেই!
চিল কাক আর শকুনেরা বাসা বাধে জরাগ্রস্ত ঢাকার বুকে। খুবলে খুবলে খায় তার যৌবন অমৃত রস!
এপার্টমেন্টের ফাঁক-ফোঁকোরে থাকা টোনাটুনিরা আজ আর মন ভরে আকাশ দেখে না। বিষাক্ত ধোঁয়ার ভারে পাখিরা বুক ভরে নিশ্বাস নেয় না। গাছেরা আজ অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে গিয়ে ক্লান্ত অবসন্ন প্রায়। নদী আর খালগুলো বিষাক্ত বর্জ্যের ভারে ঘোলাটে রক্ত জমাট চোখে তাকিয়ে থাকে আর মনে মনে ভাবে.... "সন্তানেরা ভুলে যায় সেই সব দিনের কথা। অবহেলায় অনাদরে বিচ্যুতি ঘটায় ঢাকার সৌন্দর্যে।
সন্তানেরা কি কখনো মায়ের মর্ম বুঝবে না???"
গুগলে ঘুরে এই লিংকটা পেলাম। ভাবলাম আমার ছবিগুলোর সাথে জুড়ে দিব। পরে মনে হল চুরির দায়ে কেস-টেস খাইতে পারি!
আমি ঈমানদার চোর।
চুরি করলাম না! খালি লিনকু দিলাম।
কারও খুব বেশি আগ্রহ হলে ঘুরে দেখতে পারেন। সুন্দর কালেকশন!
ঢাকার আরও কিছু পুরনো ছবি!!
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:৪৭