আমরা সকলেই প্রকৃতির সন্তান।এই প্রকৃতির মাঝেই আমাদের বেড়ে ওঠা।আমরা যতই প্রকৃতির কাছাকাছি থাকবো,যতটা প্রকৃতিকে আপন করে রাখবো, প্রকৃতির সুন্দর দিক গুলো আমাদের জীবনের মাঝে ফুটে উঠবে বেশি বেশি করে।তাইতো আমরা মানুষের সৌন্দর্য বোঝাতে সম্বোধন করি মাটির মানুষ,মন জলের মত পরিষ্কার, হাসি ঝর্ণার মত,শৌর্য সূর্যের মত ইত্যাদি। স্রষ্টার এক অপূর্ব সৃষ্টি এই প্রকৃতি।আমার বিশ্বাস, যে যত বেশি প্রকৃতিকে অনুধাবন করবে সে তত বেশি পরমকে বুঝতে পারে।
(১)কুল কুল শব্দে বয়ে চলা শান্ত নদী,নদীর পাড়ের কাশবন,গা জুড়ানো হাওয়া,সে হাওয়ার সাথে কাশফুলের নৃত্য।নদীর বুক চিরে বয়ে চলা নৌকা।নৌকো থেকে ভেসে আসা অস্পষ্ট সুরের মাঝির গুনগুন। সাথে বৈঠা বাওয়ার শব্দ।ঝোপের পাশের আম গাছ থেকে নাম না জানা পাখির কলতান।এর মাঝে বিসন্ন আকাশে ভানুকরের বিদায়, সন্ধ্যা নামা,আর গোধূলির শেষ আলোয় মেঠোপথ ধরে গরুর পাল নিয়ে রাখালের ঘরে ফেরা।
(২)কোন এক গ্রীষ্মের দুপুরে শাপলা ফোঁটা পুকুরের পাড়ে যেখানে দূর থেকে ভেসে আসে বাঁশির সুর।ঘাস ফড়িং এর উড়ে বেড়ানো, বকের ধ্যান আর মাছরাঙার ঝাপিয়ে পড়া।
(৩)পাহাড়ের উপরে মেঘের ভেলার মাঝে হারিয়ে যাওয়া,যেখানে নীচে রূপালী ফিতের মত বয়ে চলা নদী,যত দূর চোখ যায় পাহাড়ের সবুজ আর সবুজ তার মাঝে একটা দুটো গ্রাম,আরো দূরে সাগর আর দ্বীপ। এর মাঝে চারপাশ ঝাপসা করে হঠাৎ বৃষ্টি নামা।বৃষ্টি শেষে সোনালী আলোয় দেখা রাম ধনু।যেন কোন পাহাড় রাম ধনুকের হার পড়েছে। আরো দেখা দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়ের মাঝে কোথাও মেঘ,কোথাও বৃষ্টি, কোথাও রোদ্দুরের আলো ছায়ার খেলা।
এমন সময় গুলোতে মন প্রেমের পিপাসায় কাতর হয়।লীন হয়ে যেতে চায় তার মাঝে,আর সে তারই অভাবে মনে বৈরাগ্য আসে।তাই বলা হয়ে থাকে বৈরাগ্যের বীজ এই ভূমিতে ভালো মতই আছে,বৈরাগ্য এই ভূমির আকাশে বাতাসে।যুগ যুগ ধরে এই ভূমির মহানরা এমিনিতে গৃহত্যাগী হন নাই।
আমার এই পোস্টের দেওয়া ছবি গুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মুঠোফোনে বন্দী করা।তাই এদের আকার, স্বচ্ছতাও বিভিন্ন। ছবি ব্লক হিসেবে প্রকাশ করার জন্য তাই কিছু ছবিকে তুলে নেওয়া আমার আর্কাইভ থেকে।গুণিজনরা আমার ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।
আঁধার হতে আলোর পথে।
ভানুসে বসিলো পাটে।
কূলে ফেরা।
গোধূলি।
শেষ বিকেলের আলো
পাহাড়ের বুকে বয়ে চলা নদী
দীগন্ত জুড়ে নীলিমার মাঝে।
বিস্তীর্ণ চরাচর।
নির্জন বন।
ফুল।দেবতার চরণে অর্পণ করে ভক্ত।তুষ্ট হয় দেবতা,বর লাভ করে ভক্ত।ফুল চলে যার আবর্জনায়।
শাপলা ফোটা পুকুর।
বৃষ্টি
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:১৭