[@পথহারা
"ভগবান......আগেও চিলো..এখন ও আচে.।সে শুধু...." ->না কথা টা ঠিক না,
শুরুতে ভগবান/ঈশ্বর ছিল না। মানে মানুষের শুরুর দিকের ধর্মকর্মে ঈশ্বরের কোন অবস্থান ছিল না- আমাদের কম্পারেটিভ রিলেজনের ফারজানা আপু ভালো বলতে পারবেন।
আদিম ধর্মসমূহ ছিল প্রধানত টোটেমদের ধর্ম। সেগুলোতে ঈশ্বর/ভগবান সংক্রান্ত ধারণা আসার কোন স্কোপই ছিল না। কেননা, মানুষের ঐ ধরণের চিন্তা করার সুযোগ ছিল না বা ক্ষমতা ছিল না। সিম্পলি, তারা সিমিলারাইজ করতে পারতো এ ঘটনার সাথে যে- কাউকে খুশি/সনতুষ্ট করতে পারলে সুবিধা আর কাউকে রাগালে/অসন্তুষ্ট করলে সমস্যা। এখান থেকে- ধরেন কোন বড় পাথর বা গাছ বা সূর্য এসবের ভালো করার ও মন্দ করার উভয় অভিজ্ঞতা যখন মানুষের হলো- তখন তারা পাথর/গাছ/সূর্যকে সন্তুষ্ট করার লক্ষে নানা আচার উদ্ভব করে। যেহেতু- আদিম অবস্থায় মানুষ কোন কিছু তৈরি করতে পারত না(বেচে থাকতো পশু স্বীকার ও ফলমূল সংগ্রহ) বা তৈরি করার বিষয়টির সাথে পরিচিত ছিল না- সেহেতু তার মাথায় সবকিছু কে তৈরি করলো- এপ্রশ্নও আসেনি। আপনি ধর্মগুলোর সময়কাল অনুযায়ি পাশাপাশি সাজান, একটা গ্রজুয়ালি ডেভলোপমেন্ট দেখতে পারবেন- সেটা মানুষের চিন্তাগত উন্নতির ফসল। পরে আরো আলোচনা করা যাবে]
নাস্তিকের ধর্মকথা
তুমি বৈপুস্তকে যা পড়ছো তা বিশ্বাস করতাছ...? যেসব বৈ তোমার মনের তাগিদ মিটাইতাছে সেগুলিরে সত্য ভাবতাছ......আর যা ইসলাম বা অন্য ধরমে কয় সেগুলিরে একসেপ্ট করো না কারন তাইলে তোমার মনের মধ্যে গাথা আইডলজির অনুকুলে লজিক দাড় করাইতে পারবা না। সেই আদিম যুগের নথি পত্রের পোরমাণ কষ্টি পাথরে যাচাই করবা কেমতে....? তোমার সাথে তাইলে ফারাজানার পারথক্য কি?
এক কাজ করো .....আমাজানের জংগলের অথবা পাপুয়া নিউগিনিয়াতে লেংটা মানুষের উপর গবেষণা করো তোমার প্রাকটিকাল এক্সপেরিয়েন্স হবে.....দেকপা.....লেংগা থাকে কাচা মাংস খায় তবু প্রতি দিন রাতে বা দিনে অদৃশ্য এক মহা সত্বার জন্য প্রারথণা করে.....হতে পারে...তারা এজুউম করে.....গড নামের কোনো সত্বাকে ....কিন্তু কথা হলো গড নামের একসত্বাকে সরণ করার দরকার পরলো কেনো.......আপাতত এটুক নিয়া ভাবো......
একটা কতা কৈ....পুজনীয়া বস্তুর ক্রণলজিকাল ডেভেলপমেন্টের যে কতা কৈচ সেটা আব্রাহামের হিসটোরিতে আচে....আব্রাহামের ধরমো এর এগেইন্সটে না.....একবার সে চান্দের পুজা করচে তারপর সুরযের...........শেষে....ধরলো এগুলে যে বানাইযে তার.......তকনো কিন্তুক ভগবান বানী পাথাইনাই তারে......কিন্তু তার মনের মধ্যে যে লজিকাল সিকোয়েন্স হৈচে ওহী পাবার আগে তা আব্রাহামীয় ধরমো ওহী পাবার পরে রিজেক্ট করে নাই......ব্যাক্তিগত বুদ্ধি আর ঐশ্বরিক বু্দ্ধি মিলেযায় .......তাই সে আব্রাহাম.........
.............খালি কয়ডা বৈ পৈরা লাফালাফি কৈরো না......নিজের লাইফে জগতটারে দেখো রিয়াল লাইফে কি হয়.......কোনটা সত্য অর কোন টা মিথ্যা খালি বিরোধিতা করার জন্য কোনো কিছুর বিরধিতা কৈ রো না.......জগতে তোমার পক্ষের আর বিপক্ষের মানুষ হাজার বছর ধৈরা জনমাইছে আর মরছে......সো তুমি স্পেশাল কিছু না.....সো ইউরেকা ইউরেকা কৈরা চিল্লাচিল্লির কিচু নাই.....বুঝথাকলে বুইঝা লৈবা..নাইলে নাই.....
মহাসত্বায় তোমার বিশ্বাস নাই তাইলে রিচুয়াল নিয়া গ্যাজাও কেন? রিচুয়াল হৈল একপ্রকার ইনস্টিটিউশনাল ডিসিপ্লিন......রবিন্দ্রনাথ স্কুলে না পইড়াই এত গ্যানী হৈলো বাট বুইড়া বয়সে নিজেই এককান স্কুল খুইলা বসলো....এর মাজেজা বুঝ?......মাথার উপরে দিয়া গেলে নক কৈরো............