তুমি যেন গোধূলীবেলা, নিমেষেই আঁধারে ঢেকে যাও
তুমি যেন ফাগুন হাওয়া, মনের তারে সাঁই সাঁই সুরে বাঁশি বাজাও
তুমি যেন সন্ধ্যার তারা, নির্নিমিখ তাকিয়ে দেখা যায় না;
আঁধারের সাথে সখ্যতা তোমার, আলোয় রাখো না আমার বায়না।
মনের জানলা খুলে দিয়েছিলে, আমি সুর তুলেছি
সে সুর তোমার কানে পৌঁছেছিল? হ্যাঁ পাল্টা সুর তুলেছো
আমি বিষাদ ভুলেছি;
তুমি হাওয়া হয়ে গেলে, মনের কিনার হতে গেলে দূরে,
বিষাদ বাজে মনের তারে, মন বাজায় বিরহ, বেসুর সুরে।
তুমি যেন জোনাক পোকা, মনের বাগানে জ্বলো
হাত বাড়ালেই নাই, কোথায় উড়ে যাও বলো?
তুমি কী ঝিঁঝি এখন, রাতের আঁধারে বসবাস?
অযথাই হয়ে গেলে আমার দীর্ঘশ্বাস।
তুমি কবি হয়ে উঠলে, আমি অনুপ্রেরণা,
তুমি পুরো নদী হলে আমি ঝরনা;
অস্তিত্ব নেই কারো মনে কেউ,
তোমারও কী মন নদীতে খুব দুপুরে বিষাদের ঢেউ?
তুমি কী শরতের কাশফুল, ছুঁয়ে দিলেই উড়ো হাওয়ায়,
উড়ে তো বসো না আর মন দাওয়ায়
তুমি শরতের মেঘ ছিলে, ঋতু ফুরোয় তুমি হও বিবর্ণ,
ভুলে যাও আমায় নিমেষে, মন করো যে ভেঙ্গে চূর্ণ।
তুমি অভ্র ছিলে আমার, অথবা হিমুফুল
হারিয়ে গেলে কবে যেন, আমি মনে রাখিনি এ ছিল ভুল;
সহসা মনে পড়ে যায় তোমায়, ভাবি কোথায় হারালে
কথা নেই কোনো আর, কোন সে স্বর্গের উদ্দেশ্যে পা বাড়ালে?
©কাজী ফাতেমা ছবি
২১/০৪/২০২২
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:১৮