somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

» নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৫ (আকাশ ভালোবেসে)

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
০১।



=মেঘফুলে ভরা আকাশ, জমিনে গোলাপ ফুল=
রোদেলা দুপুর, ঝকমকে আলোয় আকাশে ফুটে থাকে মেঘফুল,
কেউ দেখে না উঁকি দিয়ে, মেঘদের পাপড়ি আহা নরম তুলতুল;
একেলা আমি, মেঘেদের সাথে বিলাই দুঃখ সুখের গল্প,
সুখ মনে, রোদ ভেদ করে বইছে মিহি হাওয়া অল্প।

জমিনে ফুটে আছে গোলাপ, ঘ্রাণে মাতাল সময়গুলো,
রোদ আলোয় উড়ছে শুকনো পাতা, বেহিসেবী ধুলো,
রোদের আঁচে পুড়ে যায় চোখ, পুড়ে যায় ঠোঁট,
তবুও মেঘ হতে কিছু মুগ্ধতা করি লোট।

০২। =মেঘের আকাশে রেখে দিলাম মন=
তোমার বুক আকাশে মন রাখতে পারিনি, আগুন রোদ্দুর,
আমি চাই মেঘের মতন মন, সুখ চাই এক সমুদ্দুর,
মন তোমার পাথর যেমন, রোদ আগুনে পুড়ে ছাই,
তোমার এতটুকুন স্পর্শে আমি যেন আর আমাতে নাই!

তার চেয়ে ঢের মেঘের পরতে মন রেখে দেই, নিয়ো খু‌ঁজে
আমি না হয় মেঘেদের বুকে রাখি মন গু‌ঁজে,
যদি ভালোবাসো কখনো, উড়ে এসে কল্প ডানায়,
দুজন না হয় হারিয়ে যাবো সুখের তরে দূর অজানায়।



০৩। =সকালের আলো সবুজের উপর=
দিগন্তজোড়া সবুজের আস্ফালন, সকালের শিশির বিন্দু
এমন প্রকৃতির বুকে পা রাখলেই বুকে সুখ সাত সিন্ধু;
ঝলমলিয়ে উঠে প্রকৃতি সকালের আলোর স্পর্শে;
এমন আলোর বুকে মন রাখলেই বুক ভরে যায় সুখ হর্ষে।

নীলচে আকাশে সূর্যটা আলো বিলানোয় মত্ত,
মন আমার হলো অনায়ত্ত;
শিশিরের স্পর্শে মন শিহরিত, সুখে যায় দোলে;
এমন প্রকৃতির কাছে দাঁড়িয়ে নিঃশ্বাস টানি মন খোলে।



০৪। =মেঠোপেথে দাঁড়িয়ে আকাশ দেখতে চাই=
বিতৃষ্ণা জমেছে মনে, বন্দিত্ব জীবন, খোলা হাওয়ার হাপিত্যেশ মনে,
খুব ইচ্ছে হয় পায়ে হেঁটে যাই আরেকবার মেঠোপথ ভ্রমণে;
যেখানে সবুজের সজীবতায় মাখা স্নিগ্ধ হাওয়া,
সেখানেই খালি পা রাখতে চাই, যেখানে খোলা হাওয়া
মনের বাড়িতে করে আসা যাওয়া।

সুরমা রঙ আকাশে তাকিয়ে বুকের বাড়ী করতে চাই ফুরফুরে,
স্নিগ্ধ হাসি ঠোঁটে আনতে, ইচ্ছে হয় আসি গাঁয়ের বাড়ী ঘুরে,
যেখানে থরে থরে সবুজ সাজানো ক্ষেতে
হাওয়ার দোলনায় যেথায় দুলে পাতা, সেসব সুখ নিতে চাই বুক পেতে।



০৫। =এসো আকাশ দেখে হাঁটি গাঁয়ের পথে=
দাঁড়িয়ে থেকো না চলো হেঁটে আগাই, চলো আকাশ ছুঁয়ে আসি,
তাকাও নীলে দেখো থোকা থোকা মেঘফুল, বলো আকাশ ভালোবাসি,
মাটিতে তাকিয়ে আছো থমকে, চলো হাঁটো হাঁটো...... দেখো প্রকৃতি,
এবার আকাশ হাওয়া আর সবুজের সাথে বাড়াও মনের সম্প্রীতি।

টাকা গুনে গুনে আর কত প্রহর করে দেবে পার নিরামিষ মতন,
মন বাড়িটা সাজাও বন্ধু অতি প্রাকৃতি গুনাবলীতে, সাজাও মুগ্ধতায় যতন,
আড়চোখে তাকিয়ো আমা পানে, ভড়কে যাই বড়,
তুমি বাঁকা চোখে তাকালেই মনে সমুদ্দুর বিষাদ হয় জড়।



০৬। =রহমত ঝরে পড়ুক আকাশ হতে=
রহমতের সূর্য আকাশজুড়ে, ঝরুক নিয়ামতের আলো,
রহমতের মাসে যেন তার বান্দাদের জন্যআ শুধু হয় ভালো,
ক্ষমা প্রার্থনা করি, বিশ্ববাসীর কল্যাাণে চাই মহানুভবের দয়া,
কেটে যাক অমানিশা, দূর হয়ে যাক অকল্যাাণ যত অপয়া।

শুভ্র মেঘে ভরে থাকুক আকাশ নীল,
দুনিয়া সাজুক রহমতের তার, সাজুক বর্ণিল;
সূর্যটা উঠুক শত নিয়ামতের আলো নিয়ে,
মাহে রমজান এসেছে, যাওয়ার বেলা নিয়ে যাক করোনা ছিনিয়ে।



০৭। =নীলের পাহাড় আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে=
স্বচ্ছ আকাশে নীলের পাহাড়, একফোঁটা মেঘ নেই,
আহা বেদনার রঙ আকাশে, হাওয়ারও বেগ নেই,
ফুরফুরে রোদ্দুর, কুয়াশায় আছে ঘিরে,
ঘাসের উপর শিশির বিন্দু, সূর্যটা উঠছে উপরে ধীরে!

গাঁয়ের মাটিতে পা রাখলে, ঘি রে ধরে একরাশ মায়া,
দুপুরের সূর্য তেজোদীপ্ত, খুঁজে নেই বৃক্ষের ছায়া,
গরুর পিঠে বসে আছে ফিঙ্গে পাখি, কী জানি উঠাচ্ছে কী সুর,
আকাশে তাকিয়ে দেখি,নীল নীল নীল......চোখ যায় যত দূর।



০৮। =মেঘাবালিকার সেই প্রহরগুলো=
আকাশে মেঘেদের হল্লা, এলোমেলো মিছিল যেন,
কী স্লোগান মেঘেদের ঠোঁটে কে জানে,
এত স্বাধীনতায় মেঘ'রা উড়ে সারা আকাশজুড়ে,
মেঘেদের মনেও কী প্রতিবাদী শব্দ আছে!

বিষ্ময়ী দৃষ্টিতে দেখে যাই মেঘেদের লীলাখেলা,
মেঘরা মেঘেদের সাথে যেন খেলে হাডুডু,
দাঁড়িয়াবান্ধা অথবা বউছি খেলা,
মেঘ'রা যেন খেলছে ডাংগুলি কিংবা
গোল্লাছোট খেলা!



০৯। =যন্ত্র শহরের উপরে মেঘ ভর্তি আকাশ=
যেখানে শুধু শব্দ দূষন, কালো ধোয়ার আস্ফালন,
যেখানে বুকের ভিতর শুধু বিতৃষ্ণার হয় লালন,
যেখানে ইট সুরকির পথে, সজীবতার নেই চিহ্ণ,
যেখানে চোখ রাখলেই শুকনো ধুঁধু অরণ্য,
সেখানেও আকাশ ভর্তি সাদা মেঘের ভেলা
জমিনের বিতৃষ্ণা ভুলে আকাশ দেখে সুখে যায় বেলা।

নিচে তাকালেই যন্ত্র দানবের ছুটোছুটি,
যত্র তত্র বেত্তমিজ মানুষের প্রাক্কালন কেন্দ্র কী করে এখানে সুখ লুটি;
মন যখন বিমর্ষ,
খুঁজি একফোঁটা হর্ষ,
ছোট দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আকাশে তাকাই, আহা! শুভ্র মেঘ
নিমেষেই মন সুখী, আকাশের কাছেই রাখি যত আবেগ।



১০। =একটি পরিচ্ছন্ন আকাশের নিচে...
ঘাস ভরা মাঠ আর খোলা আকাশের নিচে যেতে চাই
কিছু উচ্ছল প্রহর আর স্নিগ্ধ মুহুর্ত আপন করে পেতে চাই,
যেখানে চোখ মেললেই আকাশ দেখা যায়,
যেখানে চুপচাপ বসে প্রকৃতির গায়ে হাজারটা ছন্দ লেখা যায়!

হারাতে চাই সুখে ঝিরিঝিরি হাওয়ার তোড়ে,
কিছুটা সময় থেকে যেতে চাই মন্ত্রমুগ্ধ সুখের ঘোরে,
যেখানে তালগাছ আর খেঁজুর গাছ সারি সারি
সেখানে হেঁটে হেঁটে কুঁড়াতে চাই শান্তি মনের বাড়ী।



১১। =মেঘেদের ঢেউয়ে হারিয়ে যাই ইচ্ছে=
আকাশ যেন মেঘের সমুদ্দুর, আকাশ যেন মেঘের পাহাড়,
আকাশ দিনদুপুরে ছড়ায় হাজারও রঙ বাহার,
আকাশ সমুদ্দুরে মেঘেদের ঢেউ,
কী মনোলোভা আকাশ, ফিরে দেখলো না কেউ!

জমিন যেন সবুজ সমুদ্দুর, জমিন যেন সবুজের গিরি,
সবুজের ঢেউয়ে বইছে হাওয়া ঐ ঝিরিঝিরি,
জমিনে ধানের ক্ষেত, ঢেউয়ের পর ঢেউ উড়ে,
সবুজের আস্ফালন চোখ যায় দূর যত দূরে!



১২। =গোধূলীর আকাশে উড়ে মিহি হাওয়ার বিন্দু=
বিকেলের শেষ প্রান্তে আকাশটা সেজে উঠেব লাল হলুদ বেনারসীতে,
সূর্যটা নিস্তেজ আলোয় বিলায়, মন নেচে উঠেব খুশিতে,
বিকেলের আকাশে চোখ রাখি, দেখি ঠাঁয় মেঘেদের উড়াউড়ি,
কিছু পাখি বসে থাকে ছাদের কার্নিশে, আকাশ ছু‌ঁয়ে উড়ে সাদা ঘুড়ি।

কত কপোত কপোতি খোলা ছাদে মেলে দিয়ে এলো চুল,
মিহি হাওয়া গায়ে লােগিয়ে সুখ কুড়ায় অতুল;
কোনো উদাসী ছাদে দাড়িয়ে ঠায়, নিকোটিনরে উড়ায় ধোয়া,
এক দৃষ্টিতে আকাশে তাকিয়ে সে কী ভাবে! মন যেন কোথায় যায় খোয়া।



১৩। =বিকেলের আলোয় চলো চিনে নেই পথ=
চলো বিকেলের আলোয় চিনে নেই পথ,
করে নেই দুজনা, ভালো থাকার শপথ,
যে পথের বাঁকে ফুটে আছে হলুদ গাঁদার ফুল,
চলো রেখে আসি সে পথে, মনের যত ভুল।

চলো আকাশে চোখ রেখে দেখি দিনের অবসান,
জীবনের পথে চলতে চলতে হয়ে গেলাম পেরেশান,
মুক্তি চাই ক্লান্তি হতে, এসো গায়ে মাখাই হলুদ আলো,
গোধূলীর আলোয় চোখ রেখে কিছুটা ক্ষণ থেকে যাই ভালো।



১৪। =ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যাক আকাশ=
ধেয়ে আসুক বৈশাখি ঝড়, আকাশ কালো মেঘে যাক ছেয়ে,
করোনা মরে যাক, ভেসে যাক বন্যা য়, বৃষ্টি আসুক ধেয়ে;
রোজ রোজ এত এত মৃত্যুয সংবাদ শুনতে আর লাগে না ভালো,
বৃষ্টির পরই আসুক ধরায় সুস্থতার নতুন আলো !

মহানুভব তোমার তরে প্রার্থনা এই, শুনো ফরিয়াদ,
হরদম তোমারেই করি মাবুদ ইয়াদ,
শুভ্র মেঘের মত স্বচ্ছ করে দাও ধরার জীবন ব্যবস্থা,
ও মাবুদ মানুষের জীবন যেন হয়ে গেলো সস্তা।


সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১২
৪৫৬ বার পঠিত
১৬টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কোন রাজনৈতিক দলকে খারিজ বা সরিয়ে দেওয়ার পক্ষে নয় জামাত!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৫


কোনো রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের নেই বলে জানিয়েছেন দলটির আমির আমির ডা. শফিকুর রহমান। বাংলাদেশের সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাঁঝের মায়া

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৮


সেদিন সন্ধ্যায় ল্যাপটপে কাজ করছিলাম। হঠাৎ অচেনা একটা নম্বর থেকে আমার মোবাইলে ফোন এলো। “হ্যালো, কে?” আমি জিগ্যেস করলাম। ওপাশ থেকে নারীকণ্ঠ অস্পষ্টভাবে কী যেন বলছিল। আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলিয়েন স্বীকৃতি না দেয়ার কারন

লিখেছেন সরকার পায়েল, ২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১৯

এলিয়েন বলতে আমরা বুঝি অতি প্রাকৃত শক্তি সম্পন্ন জীব l যাদের শারীরিক সক্ষমতা মানুষ হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন l রক্ত মাংসের জীব থেকে ভিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি l রক্ত মাংস... ...বাকিটুকু পড়ুন

গাজী মুক্ত সামু!!

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২







মনপুরা মুভিতে একটা ডায়ালগ ছিলো যে, গাজী বেটারে তুমি চিনো না, বেশি ফাল পাইরো না। এদিকে ব্লগের গাজীকে সবাই চিনে, যারা লাফালাফি করে তারা ব্যবস্থা নেয়,গাজী কিছু করতে পারে না,ব্যান... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদ গাজীর ব্যান তুলে নিন/ ব্লগ কর্তৃপক্ষ ‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩




আমি যদি গাজী’ ভাইয়ের যায়গায় হতাম জিবনেও সামু’তে লেখার জন্য ফিরে আসতাম না।
হয় বিকল্প কোন প্লাটফর্ম করে নিতাম নিজের জন্য। অথবা বাঁশের কেল্লার মত কোথাও লিখতাম।
নিচে ব্লগার মিররডডল-এর করা পুরো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×