
©কাজী ফাতেমা ছবি
=ফ্রেমবন্দির গল্প=
নেই কাজ তো খই ভাজ্, যদিও আমার ক্ষেত্রে কথাটা সত্য না। কাজে কামে ব্যস্ততাতেই বেশী থাকতে হয়। কিন্তু বুড়া বেডি আমি মন যেনো এখনো কুড়ি এইডা কিছু হইলো। কখন যে কী দুষ্টুমি মাথায় আসে হাহাহা। বাচ্চারা বলে আমাদের দুষ্টু মা। তা-মীমকে ভাত খাওয়াচ্ছি একদিন। এক লোকমা মুখে নিলে আরেক লুকমা নিতে চায় না। বেশ বিরক্তিকর অবস্থা, আধা ঘন্টা এক ঘন্টা ধইরা পোলারে ভাত খাওয়ানোর মাঝে কী আর মজা আছে কষ্ট ছাড়া হুহ। আমরা ছোডোবেলা এত বদ আছিলাম না, এইডা সিউর কইতে পারি।
তো সেদিন বিছানায় বসে আনমনা যখন হইছি বিছানায় তাকিয়ে, আরে একি! এযে দেখছি সব মানুষের মাথা। একটা ফুল দুইটা ফুল, খালি মানুষ আর মানুষ। ফাইজলামির সীমা নাই। ধ্যানে জ্ঞানে এখন খালি মানুষ খুঁজতাছি হাহাহা। যেদিকে তাকাই খালি মানুষ আর মানুষ। তা-মীমরে ছবি তুলে দেখাইছি এখন দেখি সেও মানুষ খুঁজে।
অবশেষে মোবাইল দিয়া সবগুলার ফটো তুললাম আর ভাবলাম এই দুষ্টুমিগুলো আমি একা কেনো দেখবো সবাইরে দেখাবো। ফটো তু্ইলা আবার পেইন্টে গিয়া দিলাম চোখ লাগাইয়া হাহাহা হয়ে গেলো মানুষ, প্রেত, ভুত পেত্নি, সাপের মাথা, জীন হাহাহা। আসল কথা হলো যেকোনো বিষয়ে মজা পেতে হয়। দেখার মত চোখও লাগে। সবাই সব কিছু দেখতে পারে না। যদি না তার একটা সুন্দর মন থাকে।
সব সময়ই আমরা কাজে ব্যস্ত থাকি। আড্ডা দিতে গল্প করতে, প্রতিবেশীদের কাছে যেতে সব ভুলে গেছি। সবাই ব্যস্ত এই শহরে। এমন কি এক পরিবারে থেকেও যেনো সবাই পর পর। আমি আবার ব্যতিক্রম। আমি যেমন ব্যস্ত থাকতে জানি তেমন সুন্দর উপভোগ করতে পারি। আমার এ স্বভাব আমার দুই ছেলে পাইছে মনে হয়। আকাশে সাদা মেঘ দেখলেই ডাকতে শুরু করে মা মা এসো আকাশ দেখবে। তেমন রাতে চাঁদ উঠলেও ডাক পারে মা মা চাঁদের ছবি তুলবা না।
আর এদিকে তাসীনের বাপ বদ বেটা এসব পছন্দ করে না হাহাহা। কয় ছেলেমী বাচ্চামি, এসব সহ্য হয় না ধুচ্ছাই কইয়া উড়াইয়া দেয়। আরে বেটা তোমার পছন্দ না বইলা আমি ফটো তোলা বন্ধ করুম নাকি হুহ। সে কয় কী যা দেখে তাই ছবি তুলন লাগে......শুকনা ........টা দেখলেও ছবি তুলে। এসব শুনে দুই পোলা হাসে। এইজন্য এই বদ বেটার সাথে বেড়াইতে যাইতে মন চায় না। এই ছবিগুলো যদি দেখে ঠোঁট বেকাইয়া হাসবো আর কইবো সংসারের কাজে মন দাও, বাচ্চাদের জন্য রান্না করো গা। ইশ.. রান্না বান্নায় আমার মন নাই হেইডা কী আপনে বুঝেন না মিয়া। পারলে রাইন্ধা খাওয়ান আমারে আর আমি ছবি তুলি আর কবিতা লিখি হাহাহাহা।
এই হলো কাহিনী, আমার একটা স্বভাব হলো লিখতে বইলে খালি লিখি আর লিখি। কই থন কই যাই নিজেও জানি না। কখনো প্রথম লাইন দেখে শেষ লাইন কী লিখবো তা দেখি না বা ভাবি না। লেখা যেখানে গিয়ে থামতে কয় সেখানেই গিয়ে থামি। তাই আমার লেখার আগামাথা নাই। তবুও অনেকেই আমার লেখা পছন্দ করে। একদিন আমার কলিগ জিগাইলো আপা আপনার কবিতার বই কয়টা বিক্রি হইছে। আমি বললাম ৩৫ এর মত। তখন উনি বললেন আপা লেখার স্বার্থকতা এখানেই । যদি একজন লোকও মনোযোগ দিয়ে আপনার লেখা পড়ে তাতেই আপনি খুশি হবে। এই ভাগ্যও অনেকে পায় না। তার কথা শুনে মনটা কৃতজ্ঞতায় ভরে গেলো। লেখায় সাহস পাইলাম হাহা।
আজকে আর কবিতা লিখলাম না। তাই বইলা কবিতা মনের মধ্যে গুতাগুতি করে নাই তা কিন্তু নয় । আজকে হলো ফান পোস্ট । শুধু ফান আর ফান। কবিতা অবশ্য ফানও লিখা যায় কিন্তু লিখতাম না। এখন ছবি দেখেন, আর ক্যাপশন কিতা লিখতাম কইয়া দেন। ফি আমানিল্লাহ। ভালো থাকুন সবাই।
২। ক্রিমিনালী হাসি মনে হয়
৩।েআরে বেটা জনসম্মুখে পাপ্পি দিবি নাকি, থাবড়াইড়া দাঁত ফালায় দিমু কইলাম
৪। আলাপ আলোচনা চলছে ভুত পেত্নিদের মাঝে
৫।ঠোঁট মোটা ঝগড়াইট্টা মহিলা
৬। পাখি সাপওয়ালা
৭। পাতার আদর
৮। ঠোঁট মোটা ঝগড়াইট্টা নর
৯। ইহা একটি সাপ
১০। সমজোতায় সুন্দর জীবন , কিন্তু বুঝে না সে বুঝে না
১১। ভুতের আড্ডাখানা
১২। প্রেমালাপ অতপর ছেড়ে যাওয়ার ক্ষণে বিষণ্ণ মুখ
১৩। মানুষ আর মানুষ
১৪। ডাকাতির ফন্দি আঁটার মুহুর্ত
১৫। দে দে কপালেটে দে পাপ্পি হাহাহাহা ....
১৬। বলে দে মাটির পৃথিবী কোথায় শান্তি আমার জীবনে...
১৭। রঙ্গ ব্যাঙ্গ আর দুষ্টুমি মুহুর্ত....
১৮।নাক মোটা মানুষ
১৯। সুখের হাসি
২০। কইলাম কপালে তুই দেহি গালেই হামলে পড়লি.......ভালা । লাভিউ
২১। আরেকটা সাপ পাইছি
২২। ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা.........
২৩। আসলে ইহা একটি বিছানার চাদর
চাদর বহুত পুরাতন, বাচ্চাদের ঘরে চাদর মাদর কিছু ঠিক থাকে না। সারাদিন আওলা ঝাউলা থাকে। তামীম কলমে একে একে সব চাদরের বারোটা বাজায় ছাড়ে। আর বেটারে বইয়া ভাত খাওয়াই আর ভাত তরকারীর মাখামাখি। যাই হোক চাদর ময়লা টয়লা আছে এ নিয়া কথা ছাড়ুইনা যে কেউ। আজকের মত আসি। বাচলামি বহুত হইছে। সালাম সবাইকে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:১৫