১। বন্ধ দেউড়ির খিল- সে-কি লোহার না তামার. স্পর্শ না করতেই দেখো মরিচা পড়ে গেছে খিলে। তেমন মন দেউড়িটা বন্ধই রাখলে, নরম আঙ্গুলের স্পর্শেও দাও না খুলে-ফিরে যাই বারবার আশাহত মন নিয়ে।
২। মেজাজে ঝাল মাখিয়ে মুখিয়ে থাকো কখন আমায় করবে ধরাশায়ী, বলি- মুখে মধু নেই কেনো তোমার, এসো তোমার ঠোঁট সেঁটে দেই মৌ-পোকার বাসায়-শিখে যাবে তখন মধু কথা।
৩। বৃষ্টি ধুয়ে নিয়ে যায় পাতার মলিনতা। কিন্তু চোখের বৃষ্টি তোমার ভিতরবাড়ি পরিশুদ্ধ করতে পারে না, ব্যর্থতার নীল মালা পরে একটি সবুজ দিনের অপেক্ষায়।
৪। জারুল রঙ প্রেম দিয়োনা, এ বেগুনি রশ্মি আর সহ্য নয়-বরং কচুরিপানা প্রেম দাও, তুমি হও কচুরি ডোবা জল আর আমি ভাসতে থাকি তোমার বুকে কচুরিপানা হয়ে।
৫। স্বপ্ন বুক পকেটে নিয়ে ওড়ে যাচ্ছো দৃষ্টির সীমা ছেড়ে। ভেবেছো নীলের ওপ্রান্তে পৌঁছে বিরহে নীল বৃষ্টি হবে-ঝরবে আমার উপর- তার চে গোধূলির রঙ নিয়ে ফিরে এসো-উর্ধ্বমুখি তাকিয়ে।
৬। উপছে পড়া আলোর ভিড়ে ফুলের হাসি, এমন সকাল কার না ভাল লাগে, সকালের প্রান্ত ছুঁয়ে আসি ঘুমকে দিয়ে ছুটি। এমন জ্বলমলে দিন, শুরু হোক ভাল কিছুর প্রত্যাশায়।
৭। রোদ্দুর হও গলে পড় চোখে, পুড়ে যাই এ প্রেম খরায়। তার চেয়ে ঢের হেমন্ত হও, আলতো ছুঁয়ে দাও মুখ চোখের পাতা, স্নিগ্ধ প্রেমের জলে স্নান সেড়ে নিব।
৮। এক মুঠো লাল গোলাপ পাপড়ি, একটু হাসি, ভালবাসার লাল পালক মেঘখাম চিঠিতে পোরে দিয়ো রোদ্দুরের ঠিকানায়-নরম পালক স্পর্শ লেগে থাকুক অধরজুড়ে।
৯। আমি নিশাকর, তুমি স্বচ্ছ জলের দীঘি, তোমার বুকে ছায়া হই মেঘ না ছুঁয়েও ঝরাই প্রেম জোছনার ঝর্ণা। তৃষ্ণার্থ রাতে ঢেলে দেই তোমার চোখে আমি সুখ মদিরা।
১০। গোধূলীরঙ আকাশ ছুঁয়ে,আহা কি মনোলোভা দৃশ্য,অফিস ছুটি দিয়ে এসো দাঁড়াই কোন হরিৎ প্রান্তরে, ঝরে পড়ুক গোধূলীর রঙ বৃষ্টি হয়ে, স্বস্তির দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে টেনে নিবো সন্ধ্যার শুদ্ধ হাওয়া।
সময়ের অভাবে পোস্ট দিতারি না
অগুছালো পোস্ট দিয়া ভাগলাম
