আশুলিয়া তে এখন পর্যন্ত ১২৫ জন আর চট্রগ্রাম এ এখন পর্যন্ত ১৫ জন (independent tv)। কি বলব এখন আর। গতকাল রাত এ ঘুমানোর আগে চট্রগ্রাম এর খবর শুনেছিলাম। তখনি চট্রগ্রাম এর বন্ধুরা বলছিল কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছে। আর আশুলিয়ার খবর মাত্র পেলাম।
আমরা কি এক দেশে বাস করি যে ৬ ঘণ্টার মধ্যে ১৪০ জন মানুষ ভয়ঙ্কর ভাবে মারা যায়।
ফ্লাইওভার এর গার্ডার চাপা পরার আগে কি ভাবছিল আজকে বাসায় গিয়ে বিশ্রাম করব। বাচ্ছাদের সময় দিব।
নাইট ডিউটি করার সময় কি ভেবেছিল। সকাল এ একবারে বাজার করে ফিরব।
এইসব চিন্তা তো আমরা সবাইই করি ঘর থেকে বের হবার আগে। কিন্ত কত জন বিশ্বাস করি যে যা চিন্তা করেছিলাম সেই মত ঘরে ফিরতে পারব ????
বিশ্বাস করবেন না আমার কোম্পানি এর ফ্যাক্টরি সাভার এ আমি যতবারই ফ্যাক্টরি যাই ততবার আমার মা আমি না ফেরা পর্যন্ত খাওয়া দাওয়া করে না .. শুধু উপরওয়ালা আর কাছে প্রথনা করে আমার নিরাপদ ফেরার জন্য।
এইটা মার ভালোবাসা বলেন আর যাই বলেন । এইটা সত্যি যে আমারা আজ ঘর থেকে বের হলে ঠিক মত ফিরব তার কোন গ্যারান্টি নেই।
আমাদের হয়ত তেমন কোন বিপদ নেই যারা গার্মেন্টস এ কাজ করে অথবা ওই ফ্লাইওভার এর নিচ দিয়ে চলাচল করে তারা কতটা ঝুকি নিয়ে বেঁচে আছে।
অনেক কষ্ট নিয়ে পোস্ট তা লিখলাম। গতকাল রাত থেকে মনটা খারাপ। গত অগাস্ট এ চট্রগ্রাম এর দুর্ঘটনা এলাকার পাশ দিয়ে যাতায়াত করেছিলাম। আর আশুলিয়া তো সাপ্তহে ৫ বার যাই ।
আজকে তো আমার ও এমন হতে পারত।
হউক আমার কিছু হয়নি, আমার আত্মীয় - স্বজনদের কিছু হয়নি।
কিন্তু ওই ১৪০ জন তো মারা গেছে। ওরা আর কেউ না হক ওরা তো বাংলাদেশি ওরা তো এই দেশেই মানুষ ওদের কি বাঁচার কোন অধিকার নেই???????
বিঃ দ্রঃ সাভার এর আগুনের ঘটনায় BIGMEA ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিবে। আর চট্রগ্রাম এর ফ্লাইওভার এর ঘটনার কত ক্ষতিপূরণ এর কোন ঘোষণা এখনো আসেনি।
হা হা হা হা কত মজার এই বঙ্গ দেশ
নোট ঃ অভ্র দিয়ে লেখার কারণ এ বানান এ ভুল থাকতে পারে। দয়া করে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি তে দেখবেন