বাংলাদেশ এশিয়ার ছোট্র একটি দেশ।কিন্তু এর গর্ভে জন্ম নেয়া সন্তান জনবসতির সর্বোচ্চ সীমা পেরিয়ে দেশ উপচিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বময়।জনবসতির ভাড়ে ন্ব্যজ এই ছোট দেশটিকে পৃথিবীবাসী চেনে ক্ষুধা,দারিদ্র,অর্থনৈতিক মন্দা আর ঝড় জলোচ্ছাসের প্রাকৃতিক দূর্যোগের দেশ হিসেবে। জন্মাবধি এসব সমস্যার সাথে মাঝে মাঝে আরেকটি সমস্যা কোলে এসে ভিড় করে।তা হলো রাজনৈতিক অস্থিরতা। তিনদিকে বিশাল ভারত।এমন বৈরাগ্য সীমান্ত ভাগ্য পৃথিবীর খুব কম দেশেরই আছে!ভারত আমাদের বৃহৎ স্থল প্রতিবেশী,বন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধে সহযাত্রী দেশ। কিন্তু সেই বন্ধু রাষ্ট্রের একান্ত স্ব ইচ্ছায় সৃষ্ট কতকগুলো সমস্যা আজও বাংলাদেশকে মরা চিবানোর মত নিষ্কন্টচিত্তে হজম করতে হচ্ছে। ছ্টিমহল সমস্যা তারই একটি।
ছিটমহলের সংগা
বাংলায় ছিটমহল আর ইংরেজীতে নাম Enclave. Enclave is a portion of territory within or surrounded by a larger territory whose inhabitants are culturally and ethnically distinct. -ছিটমহল হল একটি অঞ্চলের অংশ যার অধিবাসীরা সাংস্কৃতিক ও জাতিগতভাবে স্বতন্ত্র হয়েও অন্য একটি বৃহত্তর অঞ্চল দ্বারা পরিবেষ্টিত।পৃথিবীর বহু দেশেই ছিটমহল রয়েছে। সেগুলোর এরঅধিবাসীরা সাংস্কৃতিক ও জাতিগতভাবে হয়ত আলাদা। তাইতো Dictionary তে এমন সঙ্গা হয়েছে।কিন্তু ভারত বাংলাদেশের ছিটমহলগুলোতে বসবাসকারী অধিবাসীরা জাতিগতভাবে সবাই বাঙ্গালী।সংস্কৃতিটাও প্রায় কাছাকাছি। কেননা সবাই বাংলাতে কথা বলে। ধর্মের বিভাজনটাও একই। তবুও এগুলোকে ছিটমহলের সঙ্গায় ফেলে রাখা হয়েছে এবং বিশ্ববাসীকে তা শোনানোও হচ্ছে।তাই আমাদের কাছে ছিটমহল হচ্ছে কোন দেশের মূল ভৌগোলিক সীমানা থেকে বিচ্ছিন্ন এবং অন্য একটি দেশের মূল ভৌগোলিক সীমানার অভ্যন্তরে বিরাজমান ভূখণ্ড বা জনপদ। যার সংস্কৃতি ও জাতি সত্বা আলোচনার বিষয় নয়!
ছিটমহল সৃষ্টির ইতিহাস
ছিটমহলগুলো যে অঞ্চলে অবস্থিত তা প্রাগৈতিহাসিককাল থেকেই ছিল কামরূপ রাজ্যের অধীন। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কামরূপ প্রাচীন কাল থেকেই পবিত্রতম স্থান। এই কামরূপ রাজ্যের সীমানা বহুবার পরিবর্তন হয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য স্থানের মত কামরূপ রাজ্যও জাতিগত বিভাজনের বাইরে ছিল না। সময়ের পরিক্রমায় কামরূপ রাজ্যের পূর্ব অংশ অহোমদের কর্তৃত্বে আর পশ্চিশ অংশ(বর্তমান কোচবিহার, উত্তরবঙ্গের বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুর,বৃহত্তর জলপাইগুড়ি)কোচদের কর্তৃত্বাধীন হয়ে পড়ে।পশ্চিশ অংশ যা কোচদের কর্তৃত্বাধীন ছিল ইতিহাসে তাকে কামতা বলা হয়।
১৪৯৩ খ্রিস্টাব্দে গৌড়ের সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ (১৪৯৩-১৫১৯ খ্রি.) কামতা অধিকার করে জয়যাত্রা অহোমদের কর্তৃত্বে থাকা পূর্ব অংশ পর্যন্ত বিস্তৃত করে অহোমের আজকের আসামের সমভূমি অঞ্চল অধিকার করিয়া সেখানে জ্যেষ্ঠপুত্র দানিয়েলকে প্রতিষ্ঠিত করিবার ব্যবস্থা করে গৌড়ে প্রত্যাবর্তন করেন।
এর ফলে বিশেষত আলাউদ্দিন হুসেন শাহের বিজিত অঞ্চলে আসে ভৌগোলিক পরিবর্তন।আর লোকজনের মধ্যে ভিন্ন রীতিনীতি ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য তৈরী হতে থাকে।এখানে আরও উল্লেখ্য যে বঙ্গবিজয় অব্যাহতি পর ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে ইখতিয়ারউদ্দীন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজী কামরুপের মধ্যদিয়ে তিব্বত অভিযান করেন। কামরুপের কিছু কিছু এলাকা তখনও বাঙ্গালী তথা মুসলমানদের কর্তৃত্বাধীন হয়।
ইখতিয়ারউদ্দীন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজীর অভিযান পথ (মানচিত্র)
এরপর বঙ্গদেশ হইতে বহুপথে বহুবার কামতা/অহোম রাজ্য আক্রমণ করা হয়। কিন্তু মহাপরাক্রমশালী কোচ পুরোধা বিশ্ব সিংহ ও তার তৃতীয় পুত্র বিশ্বখ্যাত বীর সেনানায়ক শুক্লধ্বজের(চিলের মত ক্ষিপ্রতার জন্য যিনি চিলা রায় নামে বেশি পরিচিত ছিল) ধীরতায় কোচবিহার গৌড়ীয় অধিকার থেকে রক্ষা পায়। তারপরও অঞ্চল বিশেষে দখল-পুনর্দখল, যুদ্ধ ও সন্ধির মাধ্যমে ততততএরএরতভৌগোলিক সীমানা,মানুষের জাতীয়তা ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তন ছিল চলমান।
কোচবিহার শহরের প্রাণকেন্দ্র সাগরদিঘি চত্বরের এককোণে চিলা রায় আজও সশস্ত্র পাহারায়
ভারত বর্ষে মোগল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয় ১৫২৬ সালে। আর আজকের ভারত উপমহাদেশের অধিকাংশ
অঞ্চল নিয়ে বিস্তৃত ছিল এই মোগল সাম্রাজ্য।ভারতবর্ষের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক মোগল সম্রাট আকবরের বাহিনীর কাছে ১৫৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জুলাই বিহারে রাজমহলের যুদ্ধে সুলতান দাউদ খান পরাজিত হলে বাংলায় মোগল শাসনের সুত্রপাত ঘটে।মোঘলদের দ্বিগ্ধিজয়ে কোচ রাজারা ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় কোচ রাজা নরনারায়ণের মাধ্যমে কোচবিহার রাজ্য মোগল সামাজ্যের করদ মিত্র রাজ্যে পরিণত হয়।ভারতবর্ষের সাথে আজকের কোচ বিহারের যাত্রা তখন থেকেই। ১৫৮০ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট আকবর রাজা টোডরমলকে বাংলার সুবেদার করে পাঠান। টোডরমল ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে তৈরি করেন বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার রাজস্ব সেটেলমেন্ট। ছিটমহলের আলোচ্য অঞ্চলটি ঘোড়াঘাটের আওতায় দেখানো হয় টোডরমলের রাজস্ব সেটেলমেন্টে।
সম্রাট শাহজাহানের পুত্র শাহ সুজা (১৬৩৯-১৬৫৯ খ্রি.) বাংলার সুবেদার থাকাকালে টোডরমলের সেটেলমেন্ট কাগজ সংশোধন করে ১৬৫৯ খ্রিস্টাব্দে আরেকটি রাজস্ব সেটেলমেন্ট কাগজ প্রস্তুত করেন। ছিটমহলের আলোচ্য অঞ্চলটি কোচবিহারের মধ্যে ধরা হলো এবং তা মোগল সাম্রাজ্যভুক্ত বলে গণ্য হলো মোগলদের হিসেবে। সে সময় মোগলদের উত্তরাধিকার দ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারণ করে। সুযোগ বুঝে কোচরাজ প্রাণনারায়ণ (১৬৩২-১৬৬৫ খ্রি.) মোগল অধিকৃত বহু এলাকাসহ ঘোড়াঘাট পর্যন্ত অধিকার করে ঢাকা আক্রমণ করেন। (When a struggle for succession in the Mughal empire began between Aurangzeb and his brothers. Pran Narayan invaded Bengal, seizing Ghoraghat, the center of Mughal power in 1658, and in 1661 capturing Dhaka, the capital.) -- http://en.wikipedia.org/wiki/Koch_Bihar. This page was last modified on 15 June 2014 at 11:34.
মোগল মসনদে আওরঙ্গজেবের আসন পাকাপোক্ত হলে ১৬৬১ খ্রিস্টাব্দে সুবেদার মীর জুমলা ঢাকা থেকে অভিযান পরিচালনা করে ১৯ ডিসেম্বর কোচ রাজধানী অধিকার করে ইসফান্দিয়ার নামক একজন সেনাধ্যক্ষকে কোচবিহারের অস্থায়ী ফৌজদার নিয়োগ করে ১৬৬২ খ্রিষ্টাব্দের ৪ জানুয়ারী আসাম অভিযানে যাত্রা শুরু করেন। এর ফলে আলোচ্য অঞ্চল আবার মোগলদের অধিকারে চলে যায়। মীর জুমলার অভিযানে অবস্থা বেগতিক দেখে অনেক অহোম প্রধান মোগলদের বশ্যতা স্বীকার করে সন্ধি করেন ।মীর জুমলা ১৬৬৩ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জানুয়ারি সন্ধির পর ঢাকা মুখে যাত্রা করেন।পথিমধ্যে ৩১ মার্চ মীর জুমলার মৃত্যু হয়।মৃত্যুর সংবাদ শুনে রাজ্যচ্যূত মহারাজা প্রাণনারায়ণ আদিবাসী প্রজাদের সহায়তায় রাজধানী হতে ইসফান্দিয়ারকে হঠিয়ে পুনরায় কোচবিহার অধিকার করেন।১৬৬৪ খ্রিষ্টাব্দের ৮ মার্চ নব নিযুক্ত বাংলার সুবাদার শায়েস্তা খাঁ কোচবিহার আক্রমন করবেন বলে জানতে পেরে মহারাজা প্রাণনারায়ণ ভয়ে বশ্যতা স্বীকার করে শায়েস্তা খাঁর সাথে একটি সন্ধি করে।ফলে সন্ধির শর্তে আলোচ্য এলাকাটি মোগলদের হস্তচ্যুত হয়।
প্রাণনারায়ণের মৃত্যুর পর তার পুত্র মোদ নারায়ণ মোগল সম্রাটকে কর প্রদানে অস্বীকার করলে ১৬৮৫ খ্রিষ্টাব্দে শায়েস্তা খাঁর পুত্র এবাদত খানের নেতৃত্বে কোচবিহারে অভিযান চালান হয়। অভিযানে মহারাজা মোদ নারায়ণ পরাজিত হলে কোচবিহার আবারও করদ মিত্র রাজ্য এবং এ সময় কোচবিহার রাজ্যের ৬টি পরগনার ৩টি পরগনা- ১.ফতেহপুর (বর্তমান কাউনিয়া, পীরগাছা, বামনডাঙ্গা, নলডাঙ্গা এলাকা), ২.কাযিরহাট (বর্তমান নীলফামারী জেলা) ও ৩.কাকিনা (বর্তমান পাটগ্রাম উপজেলা বাদে লালমনিরহাট জেলার অধিকাংশ এলাকা) স্থায়ীভাবে বাংলা সুবাদারীর অন্তর্ভূক্ত হয়। ১৭১১ খ্রিষ্টাব্দে কোচবিহার মহারাজা রুপনারায়ণ ফৌজদার আলী কুলী খাঁর সঙ্গে একটি সন্ধি করলে বাকী ৩টি পরগনা- ৪.বোদা (বর্তমান পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলা), ৫.পাটগ্রাম (বর্তমান লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলা) এবং ৬.পূর্বভাগ (বর্তমান কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা এবং লালমনিরহাট সদর উপজেলার কিয়দাংশ) চূড়ান্তভাবে মোগল সাম্রাজ্যভূক্ত হয়।কিন্তু সন্ধির শর্তমতে কর দানের স্বীকৃতিতে মোগলদের নিকট থেকে মহারাজা কর্তৃক তা ইজারা হিসেবে গৃহীত হয়।
১৭১১ খ্রিস্টাব্দের এই সন্ধি মোগল কর্তৃপক্ষের পছন্দ হয়নি। মোগল সেনাপতি ইয়ার মোহাম্মদের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে কোচরাজের হস্তচ্যুত হলো ইজারা হিসেবে পাওয়া তিনটি পরগনা। এগুলো দখল করে বিক্ষিপ্ত মোগল সৈন্যদের স্থায়ী অবস্থানের জন্য সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় তাদের প্রতিষ্ঠিত করে মোগল কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থার বিরুদ্ধে কোচবিহারে প্রজাবিদ্রোহ দেখা দেয়। ১৭১২ খ্রিস্টাব্দে বাংলার নাজিম খানজাহান খান পরগনা তিনটি মোগল অধিকারে নিয়ে নেন পাকাপোক্তাভাবে। প্রজাবিদ্রোহের মাত্রায় ১৭১৩ খ্রিস্টাব্দে আবার কোচ-মোগল সন্ধি হয়। মোগল-কোচ সন্ধির ফলাফলই মূলত আজকের ছিটমহল উৎপত্তির প্রধান কারণ। সে সময় লক্ষ করা হয় যে, সীমান্তের কাছাকাছি কোচবিহারের অধিকারভুক্ত বেশকিছু এলাকায় (বোদা, পাটগ্রাম ও পূর্বভাগ পরগনায়) রয়েছে কোচবিহাররাজের প্রতি অনুগত প্রজা ও কর্মচারী। এসব এলাকা রাজগির নামে পরিচয় পেল। সন্ধির ফলে স্থির হয় যে, কোচবিহার রাজ্যভুক্ত মোগল আনুগত্য পোষণকারী প্রজা ও কর্মচারীদের দখলকৃত (মোগলমি) জায়গাগুলোর ওপর মোগল আধিপত্য স্বীকার করতে হবে। অনুরূপভাবে মোগল অধিকারভুক্ত রাজগিরে কোচবিহাররাজের অধিপত্য মেনে নেয়া হবে। মূলত এই সন্ধির ফলাফলই ছিটমহল সৃষ্টির আদিসূত্র।
ছিটমহল সৃষ্টির দ্বিতীয় মত
ছিটমহল সৃষ্টির দ্বিতীয় আরেকটি মত এখানে প্রচলিত যে-কোচ রাজাগণ এবং রংপুরের মহারাজাগণ (রংপুর অঞ্চল তখন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত) মূলত ছিল সামন্ত। তাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল, ছিল ঋণ পরিশোধের উদ্দেশ্যে মহলের বিনিময়। তখন সীমান্ত এখনকার মত অত দূর্ভেদ্যও ছিল না। বলা হয়ে থাকে, সেই মোগল আমলে প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই ক্ষুদ্র রাজ্যের রাজা ও মহারাজারা মিলিত হতো তিস্তার পাড়ে দাবা ও তাস খেলার উদ্দেশ্যে। খেলায় বাজি ধরা হতো বিভিন্ন মহলকে যা কাগজের টুকরা দিয়ে চিহ্নিত করা হতো। খেলায় হারজিতের মধ্য দিয়ে এই কাগজের টুকরা বা ছিট বিনিময় হতো। সাথে সাথে বদলাতো সংশ্লিষ্ট মহলের মালিকানা। বিষয়টা তেমন যেমন এককালে প্রাচীন মধ্যযুগীয় ইউরোপীয় দাসের বাজারে দাস কেনা-বেচা হ’ত।
ভারত-বাংলাদেশের ছিটমহলের সংখ্যা
ভারত-বাংলাদেশের মূল ভৌগলিক সীমানা থেকে বিচ্ছিন্ন এবং উভয় দেশের মূল ভৌগলিক সীমানার অভ্যন্তরে বিরাজমান এমন ভূখণ্ড বা জনপদ আবার একটি দুটি নয়।কম করে হলেও এ সংখ্যা ১৬২। তবে এ সংখ্যাই মূল সংখ্যা নয়। অনেক ছিটমহলই কালের পরিক্রমায় ভারত বাংলাদেশের মূল ভূ-খন্ডের সাথে বিলীন হয়ে গেছে।নীচের মানচিত্রেই তার প্রমাণ দেখুন।
বাংলাদেশ ভারতের ছিটমহল। প্রকৃত সংখ্যার ধারণা আকাশের তারা গনণার মতই কঠিন।
বাংলাদেশের সীমানা শেষ। এরপর ভারতের ভূখন্ড। কিন্তু সেই ভারতের ভিতরেই আবার এক চিলতে বাংলাদেশ।আবার তদ্রুপ ভারতের সীমানা শেষ। এরপর বাংলাদেশের ভূখন্ড। কিন্তু সেই বাংলাদেশের ভিতরেই আবার এক চিলতে ভারত। বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশের সীমান্তে এ যেন রহস্য মাখা এক একটি জনপদ।
ছিটমহলের ভেতর ছিটমহল
শুনতে আরও রোমাঞ্চকর ও সত্য হল যে মূল ভৌগলিক সীমানা থেকে বিচ্ছিন্ন ভারত-বাংলাদেশ উভয় দেশের অভ্যন্তরে সম্পূর্ণ স্বাতন্ত্র এসব ভূখণ্ড বা জনপদের কোন কোনটির মধ্যেই আবার পরস্পর দুটি দেশের মালিকানাধীন আরেকটি ভূখণ্ড রয়েছে। যেন আমের মধ্যে আঁটি আবার সেই আঁটির মধ্যে বীজপত্র।
বাঁ দিকে একটি ছিটের চারিদিকে বাংলাদেশ তার মধ্যে ভারতের ছিট।সেই ভারতের ছিটের মধ্যে আবার রয়েছে বাংলাদেশের ছিট।
ডান দিকে একটি ছিটের চারিদিকে ভারত তার মধ্যে বাংলাদেশের ছিট।সেই বাংলাদেশের ছিটের মধ্যে আবার রয়েছে ভারতের ছিট।
মোঘল বৃটিশ পেরিয়ে আজকের ভারত
ভারতবর্ষে দুটি সাম্রাজ্য সকল ঘটন অঘটনের প্রত্যক্ষ সাক্ষী।একটি মোঘল সাম্রাজ্য,যাদের কথা আগেই কিছু বলেছি। অন্যটি বৃটিশ সাম্রাজ্য।১৭৭২ সালে ভুটানের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে কোচবিহার-রাজ ধৈর্যেন্দ্র নারায়ণ ও ব্রিটিশ ওয়ারেন হেস্টিংসের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির ফলে কোচবিহার ব্রিটিশদের একটি করদ রাজ্যে পরিণত হয়। আজকের ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশের সমস্ত ভূমি ব্রিটিশ রাজ্যের অর্ন্তগত ছিল না।প্রায় ৪০ শতাংশ ছিল বিভিন্ন তথাকথিত ‘স্বাধীন রাজ্য’যেগুলিকে বলা হতো
‘নেটিভ স্টেট’ বা ‘প্রিন্সলি স্টেট। এ রাজ্যগুলি কার্যত ছিল ব্রিটিশদের অধীন তবে অভ্যন্তরীণ বিষয়াদিতে রাজাদের কর্তৃত্ব বজায় ছিল। হায়দ্রাবাদের নিজামের মত কোচ রাজারাও ব্রিটিশদের নেটিভ স্টেট-এর রাজা হিসেবে থেকে যান। ভারত ভাগের সময় এরুপ রাজ্যগুলিকে স্বাধীনতা দেয়া বা ভাগ করার এখতিয়ার ব্রিটিশ রাজের ছিল না। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের দ্বারা প্রণীত আইনে বলা হয়,উপমহাদেশের স্বাধীন অঞ্চলগুলো তাদের নিজেদের ইচছা অনুযায়ী ভারত বা পাকিস্থানের যেকোন একটি দেশের সাথে যোগ দিতে পারবে অথবা তারা নিজেদের স্বাধীন সত্ত্বা নিয়েও থাকতে পারবে । দেশের মধ্যে আরেকটি
[১৯৫৬ সালের রাজ্য পুর্নগঠন আইন অনুযায়ী ভাষার ভিত্তিতে ভারতীয় রাজ্যগুলির সীমানা পুননির্ধারিত হয়। এই আইন বলবৎ হলে বিহারের একটি অংশ পশ্চিম দিনাজপুর জেলার সঙ্গে যুক্ত হয় এবং ১৯৫৬ সালের ১লা নভেম্বর বিহারের মালভূম জেলার পুরুলিয়া মহকুমাটি একটি পূর্ণাঙ্গ জেলার আকারে পশ্চিমবঙ্গের সাথে অর্ন্তভুক্ত হয়। পরবর্তীকালে কয়েকটি বৃহদাকার জেলাকে ছোট জেলায় দ্বিখন্ডিত করা হয়। ১৯৯২ সালের ১লা এপ্রিল পূর্বতন পশ্চিম দিনাজপুর জেলা ভেঙে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা গঠিত হয়।]
স্বাধীন দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই পটেলের কাছে অবাস্তব প্রস্তাব মনে হল। বিভিন্ন রাজন্যবর্গ দ্বারা শাসিত রাজ্যগুলি ভারতভুক্তির জন্য বল্লভভাই পটেল কোমড় বেঁধে নেমে পড়লেন। তখনও কোচ বিহারের মহারাজা শ্রী শ্রী জগদীপেন্দ্র নারায়ণ ভূপবাহাদুর ভারতীয় ইউনিয়নে যোগ দেননি। তিনি কোচ বিহারকে নিয়ে সরাসরি ব্রিটিশের অধীনেই থাকতে ইচছা পোষণ করেছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী ডা.বিধান চন্দ্র রায়ের এক কূটনৈতিক বিজয়ের মাধ্যমে কোচ বিহার রাজ্য ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের অর্ন্তভুক্ত হয়। ১৯৪৯ সালের ২৮ আগষ্ট মহারাজা শ্রী শ্রী জগদীপেন্দ্র নারায়ণ ভূপবাহাদুর কোচ বিহার রাজ্যকে এক চুক্তির মাধ্যমে ভারতীয় অধিরাজ্যের হাতে তুলে দেন।এভাবেই বর্ণচ্ছটে বর্ণ মিলে গড়ে উঠেছে বহুজাতির আজকের ভারত।তখন স্বাভাবিক কারণেই কোচবিহারের মহারাজার অধীন জমিজিরাত
{ব্রিটিশ ভারত ১৭টি প্রদেশ ও ৫৬২টি দেশীয় রাজ্য নিয়ে গঠিত ছিল। প্রদেশগুলি ভারত বা পাকিস্থানের অর্ন্তভুক্ত হয়। কয়েকটি (বিশেষত পাঞ্জাব ও বঙ্গ) প্রদেশ খন্ডিত করে দুই রাষ্ট্রেরই অর্ন্তভুক্ত করা হয়। দেশীয় রাজ্যগুলিকে অবশ্য স্বাধীন থাকা বা কোন একটি রাষ্ট্রে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে স্বাধীনতা দেওয়া হয়। এর ফলে ভারত রাষ্ট্রটির মধ্যে নানা স্থানে মধ্যযুগীয় ও ঔপনিবেশিক রাজ্য ও উপরাজ্য বিচ্ছিন্ন দ্বীপের ন্যায় অবস্থান করতে থাকে। সর্দার বল্লভভাই পটেলের নেতৃত্বে ভারতের নতুন সরকার এই রাজ্যগুলির সঙ্গে রাজনৈতিক বোঝাপড়া শুরু করে। রাজ্যগুলিকে জানানো হয়,ভারতের সংবিধানের অধীনতা স্বীকার না করলে তাদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।}
প্রজাকূল ভারতীয় ইউনিয়নে যুক্ত হয়। ১৯৪৯ সালের ১২সেপ্টেম্বর থেকে কোচবিহার ভারতের কমিশনার শাসিত প্রদেশে পরিণত হয়। ১৯৫০ সালের ১লা জানুয়ারী ভারত শাসনআইনের ২৯০(ক) ধারা বলে কোচবিহার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি জেলায় পরিণত হয়।
Cooch Behar Merger Agreement :
Agreement made this twenty eighth day of August 1949 between the Governor General of India and His Highness the Maharaja of Cooch Behar.
Whereas in the best interests of the State of Cooch Behar as well as of the Dominion of India it is desirable to provide for the administration of the said State by or under the authority of the Dominion Government :
It is hereby agreed as follows :~
Article - 1 :-
His Highness the Maharaja of Cooch Behar hereby cedes to the Dominion Government full and exclusive authority, jurisdiction and powers for and in relation to the governance of the State and agreeso to transfer the administration of the State to the Dominion Government on the 12th day of September 1949 (hereinafter referred to as 'the said day').
As from the said day the Dominion Government will be competent to exercise the said powers, authority and jurisdiction in such manner and through such agency as it may think fit.
Article - 2 :-
His Highness the Maharaja shall continue to enjoy the same personal rights, privileges, dignities and titles which he would have enjoyed had this agreement not been made.
Article - 3 :-
His Highness the Maharaja shall with effect from the said day be entitled to receive for his lifetime from the revenues of the State annually for his privy purse the sum of Rupees eight lakhs fifty thousand free of all taxes. After him the privy parts will be fixed at Rupees seven lakhs only. this amount is intended to cover all the expenses of the Ruler and his family, including expenses on account of his personal staff, maintenance of his residences, marriages and other ceremonies, etc., and will neither be increased nor reduced for any reason whatsoever.
The Government of India undertakes the said sum of Rupees eight lakhs fifty thousand shall be paid to His Highness the Maharaja in four equal installments in advance at the beginning of each quarter from the State Treasury or at such Treasury as may be specified by the Government of India.
Article - 4 :-
His Highness the Maharaja shall be entitled to the full ownership, use and enjoyment of all private properties (as distinct from State properties) belonging to him on the date of this agreement.
His Highness the Maharaja will furnish to the Dominion Government before the 15th September 1949, an inventory of all the immovable property, securities and cash balances held by him as such private property.
If any dispute arises as to whether any item of property is the private property of His Highness the Maharaja or State property, it shall be referred to a Judicial Officer qualified to be appointed as High Court Judge, and the decision of that Officer shall be final and binding on both parties.
Article - 5 :-
All the members of His Highness' family shall be entitled to all the personal privileges, dignities and titles enjoyed by them whether within or outside the territories of the State, immediately before the 15th day of August 1947.
Article - 6 :-
The Dominion Government guarantees the succession, according to law and custom, to the Gaddi of the State and to His Highness the Maharaja's personal rights, privileges, dignities and titles.
Article - 7 :-
No enquiry shall be made by or under the authority of the Government of India, and no proceedings shall lie in any court in Cooch Behar against His Highness the Maharaja, whether in a personal capacity or otherwise, in respect of anything done or omitted to be done by him or under his authority during the period of his administration of that State.
Article - 8 :-
(i) The Government of India hereby guarantees either the continuants in service of the permanent members of the public services of Cooch Behar on conditions which will be not less advantageous than those on which they were serving before the date on which the administration of Cooch Behar is made over to the Government of India or the payment of reasonable compensation.
(ii) The Government of India further guarantees the continuance of pensions and leave salaries sanctioned by His Highness the Maharaja to servants of the State who have retired or proceed on leave preparatory to retirement, before the date on which the administration of Cooch Behar is made over to the Government of India.
Article - 9 :-
Except with the previous sanction of the Government of India no proceedings, civil and criminal, shall be instituted against any person in respect of any act done or purpoting to be done in the execution of his duties as a servant of the State before the day on which the administration is made over to the Government of India.
In confirmation whereof Mr. Vapal Pangunni Menon, Advisor to the Govt. of India in the Ministry of States has appended his signature on behalf and with the authority of the Governor General of India and Lieutenant Colonel His Highness the Maharaja Jagaddipendra Narayan Bhup Bahadur, Maharaja of Cooch Behar, has appended his signature on behalf of himself, his heirs and successors.
Jagaddipendra Narayan
Maharaja of Cooch Behar V. P. Menon
Advisor to the Govt. of India
Ministry of States
তিন বিঘা করিডোর সৃষ্টির ইতিহাস
১৯৪৭ সালের ১৪ই আগষ্ট ভারতীয় উপমহাদেশ বিভক্তির সময় সীমান্ত এলাকাগুলো যাতে সুষ্ঠভাবে বন্টিত হয় এজন্য লর্ড মাউন্টব্যাটেনের পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্রিটিশ আইনজীবি স্যার সিরিল রেডক্লিফ এর তত্বাবধানে গঠন করা হয়েছিল রেডক্লিফ কমিশন (Radcliffe Commission- the Boundary Commission consisted of two Muslim and two non-Muslim judges with Sir Cyril Radcliffe as a common chairman).রেডক্লিফ মিশন কর্তৃক তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থানের পঞ্চগড় জেলার সীমানা নির্দেশ
চিত্রে—বেরুবাড়ীর ইউনিয়নের অবস্থান(লাল চিহ্ন)
করতে গিয়ে জলপাইগুড়ি জেলার ১২নং বেরুবাড়ি ইউনিয়নকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয় জটিলতা। ভারত ও পূর্ব পাকিস্থানের জরিপ আমিনরা দু’দেশের সীমানা চিহ্নিত করতে গিয়ে ধাঁধায় পড়ে যান।ভারত পাকিস্থানের সীমানা চিহ্নিত হচ্ছিল মূলত রেডক্লিফের অংকিত রেখা ও লিখিত বিবরণ দেখে। অংকিত রেখায় বেরুবাড়ি ইউনিয়নকে দেখানো ছিল ভারতের অংশে।কিন্তু লিখিত বিবরণে একে পূর্ব পাকিস্থানের অংশ বলা হয়েছিল।কোথাও এরকম অসংগতি দেখা দিলে সীমান্তের লিখিত বিবরণকেই প্রাধান্য দেয়া হচ্ছিল।কিন্তু ইউনিয়নের অধিবাসীদের সিংহভাগ অমুসলিম হওয়ায় তারা পূর্ব পাকিস্থানের অংশ হতে ঘোর বিরোধীতা করে।কিন্তু হিন্দু মুসলিমের সংখ্যাগরিষ্টতার সঠিক নিয়ম মানলে খুলনা পূর্ব পাকিস্থানের অংশ হতে পারত না।আবার গাঁয়ে গাঁয়ে লাগানো মুর্শিদাবাদ,মালদা ও এপারের করিমগন্জ ভারতের অংশ হয় না। ওদিকে ইউনিয়নটি ছিল কোচবিহারের ৪ নং পরগণা(বোদা)ভুক্ত। এ নিয়ে প্রজা বিদ্রোহের কথা আগেই বলে এসেছি। অতএব জরিপ টিম বিতর্কমুক্ত থাকে।এভাবেই পেরিয়ে যায় এক দশকেরও বেশি সময়।
১৯৪৭ এর পর সীমানা নিয়ে বিভিন্ন আলোচনায় পাকিস্থান বেরুবাড়ীসহ বিভিন্ন সীমানা নিয়ে ডিসপুট দেয় এবং ১৯৫২সালে পাকিস্থান ভারতের কাছে বেরুবাড়ীর মালিকানা দাবি এবং এর স্বপক্ষে প্রমাণ পত্র উপস্থাপন করে।( Radcliffe had divided the district of Jalpaiguri between India and Pakistan by awarding some thanas to one country and others to the other country. The boundary line was determined on the basis of the boundaries of the thanas. In describing this boundary, Radcliffe omitted to mention one thana. Berubari Union No. 12 lies within Jalpaiguri thana which was awarded to India. However, the ommission of the thana Boda and the errorneous depiction on the map referred to above, enabled Pakistan to claim that a part of Berubari belonged to it.-(India - Bangladesh Relations Documents-http://www.hcidhaka.org/tin_bigha.php) Pakistan raised the question of Berubari for the first time in 1952 alleging that under the Radcliffe Award it should form part of East Bengal and was wrongly included in West Bengal.-http://indiankanoon.org/doc/727445/?type=print)
১৯৫৮ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী ফিরোজ খান নুন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহরু এর মধ্যে সীমানা নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
No. 5252
PAKISTAN
and
INDIA
Agreement on border disputes (with joint communiqué).
Signed at New Delhi, on 10 September 1958
Official text: English.
Registered by Pakistan on 19 July 1960.
………………………
PAKISTAN
et
INDIA
Accord relatif aux différends de frontière ( avec communiqué commun). Signé à New Delhi, le 10 septembrer, 1958.
Texte officiel anglais.
Enregistr par le Pakistan le 19 juillet 1960.
82 United Nations — Treaty Series 1960
No. 5252. AGREEMENT1 BETWEEN PAKISTAN AND INDIA
ON BORDER DISPUTES. SIGNED AT NEW DELHI,
ON 10 SEPTEMBER 1958
…………………………
In accordance with the directives issued by the two Prime Ministers, the Secretaries discussed this morning the following disputes :
West Bengal—East Pakistan
(1) Bagge Awards on Disputes I and II.
(2) Hilli.
(3) Berubari Union No. 12.
(4) Demarcation of Indo-Pakistan frontier so as to include the two chitlands of old Cooch Behar State adjacent to Radcliffe line in West Bengal.
(5) 24 Parganas Khulna
{Boundary disputes}
24 Parganas Jessore
Assam—East Pakistan
(6) Pakistan claim to Bholaganj.
(7) Piyain and Surma Boundary disputes.
Tripura—East Pakistan
(8) Tripura land under Pakistan Railway and Tripura land to the west of the railway line at Bhagalpur.
(9) Feni river Boundary dispute.
West Bengal—East Pakistan
(10) Exchange of enclaves of the old Cooch Behar State in Pakistan and Pakistan enclaves in India. Claim to territorial compensation for extra area going to Pakistan.
2. As a result of the discussions, the following agreements were arrived at :
(1) Bagge Awards on disputes I and II
It was agreed that the exchange of territories as a result of demarcation should take place by 15th January, 1959.
(2) Hilli
Pakistan Government agree to drop this dispute. The position will remain as it is at present in accordance with the Award made by Sir Cyril Radcliffe and in accordance with the line drawn by him on the map.
------------------------------------
1 Came into force on 10 September 1958 by signature.
84 United Nations — Treaty Series 1960
(3) Berubari Union No. 12
This will be so divided as to give half the area to Pakistan, the other half adjacent to India being retained by India. The division of Berubari Union No. 12 will be horizontal, starting from the north-east corner of Dobiganj thana. The division should be made in such a manner that the Cooch Behar enclaves between Pachgar thana of East Pakistan and Berubari Union No. 12 of Jalpaiguri thana of West Bengal will remain connected as at present with Indian territory and will remain with India. The Cooch Behar enclaves lower down between Boda
thana of East Pakistan and Berubari Union No. 12 will be exchanged along with the general exchange of enclaves and will go to Pakistan.
(4) Pakistan Government agree that the two chitlands of the old Cooch Behar State adjacent to Radcliffe line should be included in West Bengal and the Radcliffe line should be adjusted accordingly.
(5) 24./ Parganas—Khulna
{ Boundary disputes }
24 Parganas—Jessore
It is agreed that the mean of the two respective claims of India and Pakistan should be adopted, taking the river as a guide, as far as possible, in the case of the latter dispute. (Ichhamati river).
(6) Pakistan Government agree to drop their claim on Bholaganj.
(7) Piyain and Surma river regions to be demarcated in accordance with the relevant notifications, cadastral Survey maps and, if necessary, record of rights.Whatever the result of this demarcation might be, the nationals of both the Governments to have the facility of navigation on both these rivers.
(8) Government of India agree to give in perpetual right to Pakistan the land belonging to Tripura State to the west of the railway line as well as the land appurtenant to the railway line at Bhagalpur.
(9) The question of the Feni river to be dealt with separately after further study.
(10) Exchange of old Cooch Behar enclaves in Pakistan and Pakistan enclaves in India without claim to compensation for extra area going to Pakistan,is agreed to.
3. The Secretaries also agreed that the question of giving effect to the exchange of territory as a result of the demarcation already carried out, should be given early consideration.
(Signed) M. S. A. BAIG (Signed) M. J. DESAI
Foreign Secretary Commonwealth Secretary
Ministry of Foreign Affairs Ministry of External Affairs,
and Commonwealth Relations, Government of India
Government of Pakistan New Delhi, September 10, 1958
চুক্তির ৩ নং ধারায় সিদ্ধান্ত হয় বেরুবাড়ী ইউনিয়ন নিয়ে। এক্ষেত্রে বলা হয়-“বেরুবাড়ী ইউনিয়ন সমান (উত্তর-দক্ষিণ) দুটি অংশে বিভক্ত হবে এবং একটি অংশ(দক্ষিণ অংশ)পাকিস্থান পাবে। এই অর্ধাংশের সাথে কুচবিহারের ৪ টি ছিটমহলও পাকিস্থান পাবে।” এ চুক্তির ফলে ২২.৫৮ বর্গ কিলোমিটারের বেরুবাড়ীর অর্ধেক ১১.২৯ বর্গ কিলোমিটার এবং ৪ টি ছিটমহল(৬.৮৪ বর্গ কিলোমিটার) সহ মোট ১৮.১৩ বর্গ কিলোমিটার পাকিস্থানের অংশ হয়ে যায়। ১৯৫৮ সালের চুক্তিতে ভারত-পাকিস্থান উভয়ই লাভবান হয়েছিল।
ভারত ও পাকিস্থানের ১৯৫৮ সালের চুক্তিকে বাস্তবায়নের জন্য ভারত সরকার সংবিধানের যে ৯ম সংশোধনী করে তা চ্যালেঞ্জ করে ভারতের সুপ্রিমকোর্টে রীট পিটিশন দায়ের করা হয়। এটার কারণ ভারতীয় কিছু ছিটমহলের বাসিন্দা পাকিস্থানের সাথে যোগদান করতে অসম্মত হয়। তাদের বক্তব্য তারা সুপ্রিমকোর্টে পেশ করে। মামলার রায়ে ছিটমহল হস্তান্তর বন্ধ করতে বাধ্য হয় ভারত সরকার।বলাবাহুল্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলার পুরোভাগে ছিলেন বেরুবাড়ী অঞ্চলের লোকজন।
১৯৪৭ সালে পূর্ব পাকিস্থানের জন্ম। ঠিক পাঁচ বছর পর ১৯৫২সালের ঘটনা আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো পশ্চিম পাকিস্থান ও পূর্ব পাকিস্থান দু’ভাইয়ের পারস্পরিক আস্থা আর বিশ্বাস। জন্মলগ্ন থেকেই পশ্চিম পাকিস্থানের শাসক গোষ্ঠির নানাবিধ শোষণ বঞ্চনা আর চর্তুমূখী হিসাব নিকাশের খেলা মোকাবেলা করতে হয় পূর্ব পাকিস্থানকে। ভাই হয়ে এক ভাই আরেক ভাইকে, এক মুসলিম আরেক মুসলমানকে কচুকাটা করতে পারে তা জগৎ সংসার কারবালার ময়দানে দেখেছিল ইয়াজিদের মধ্যে। আরেকবার দেখল পূর্ব পাকিস্থানে। ১৯৭১ সালে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ১৯৪৭ সালের পূর্ব পাকিস্থান বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বগৌরবে আবির্ভূত হয়।
ভারতের পশ্চিম অংশে পশ্চিম পাকিস্থান এবং পূর্বাংশে ভারতের একেবারে কোলের মধ্যে পূর্ব পাকিস্থান। পুরো একটা মহাদেশের মত ভূমি পাড়ি দিয়ে এসে পশ্চিম পাকিস্থানকে পূর্ব পাকিস্থান শাসন করতে হতো। শুধুমাত্র ধর্মের আবরণে এগারো শত মাইল ব্যবধানের দুটি ভূখন্ড যে একসাথে বাঁধা যায় না পশ্চিম পাকিস্থানীরা না বুঝলেও পূর্ব পাকিস্থানের জনগণের বুঝতে খুব বেশীদিন সময় লাগেনি। তাছাড়া বিপদে আপদে ভারতই পূর্ব পাকিস্থানের একমাত্র বৃহৎ প্রতিবেশি সেক্ষেত্রে পশ্চিম পাকিস্থানের অবস্থা ডাক্টার আসিবার পূর্বেই রুগী মারা যাওয়া।১৯৭১ সালে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ১৯৪৭ সালের পূর্ব পাকিস্থান বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বগৌরবে আবির্ভূত হয়। ১৯৭১ সালের আত্ম পরিচয় পর্বে ভারত বাংলাদেশকে সবদিক থেকে সাহায্য সহযোগিতা করে বন্ধুত্বের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
১৯৫৮ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ভারত সরকার সংবিধানের ৯ম সংশোধনী করতে সুপ্রিমকোর্টের রায়ে বাঁধা পেয়ে পিছু হটে কিন্তু ১৯৭১সালের ২৯শে মার্চ সেই সুপ্রিমকোর্টই কাকতালীয়ভাবে সংশোধনীর পক্ষে রায় দেয়।(The Supreme Court decision on March 29, 1971, finally cleared the way for the implementation of the Agreement.)। ১৯৫৮ সালের পাকিস্থান আর ১৯৭১ সালের যুদ্ধ বিদ্ধস্ত বাংলাদেশ,পার্থক্য অনেক। ১৯৫৮ সালের পাকিস্থানকে যা গিলানোর উপায় ছিল না ১৯৭১ সালের যুদ্ধ বিদ্ধস্ত নবীন বাংলাদেশকে তা বোঝানো সহজ হয়ে যায়। দ্বিজাতি তত্ত্বের আবরণে ভারত যুক্তি দেখায় ১৯৫৮ সালের চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ বেরুবাড়ীর অর্ধাংশ ও এর আশেপাশের ৪টি ছিটমহলসহ যে অংশটুকু পায় ১৯৬৭সালের হিসাব অনুযায়ী তার ৯০%হিন্দু। বিপরিত দিকে ভারত যে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা পায় তার ৮০%এর বেশি মুসলিম(The population of the area including the four enclaves to be transferred, as per 1967 data, was 90% Hindu. The Bangladesh enclaves, Dahagram and Angorpota, were to be transferred to India. Their total area was 18.68 sq. kms. and as per 1967 data more than 80% of their population was Muslim.) অতএব দ্বিজাতি তত্ত্বে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা পুনরায় বাংলাদেশের হয়ে যাবে এবং বেরুবাড়ী ও এর আশেপাশের ৪টি ছিটমহল ভারত পাবে। ১৯৫৮ সালের নুন-নেহেরুর চুক্তির মূল বিষয়বস্তÍ ছিল যে দেশের সাথে যে ছিটের সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে সে ছিট সেই দেশের সাথে যুক্ত হবে। অতএব চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্থান তার অংশে অবস্থিত ভারতীয় ছিটমহল এবং ভারত তার অংশে অবস্থিত পাকিস্থানী ছিটমলের সার্বোভৌমত্ব পেয়ে যায়। বেরুবাড়ী ও তৎসহ ৪টি ছিটমহলের সাথে বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল কিন্তু ভারতের প্রস্তাবিত দেয় দহগ্রাম-আঙ্গরপোতার সাথে বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল না। ১৯৭৪ সালের ১৬ই মে ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরাগান্ধীর মধ্যে এক ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। Agreement between the Government of the Republic of India and Government of the People's Republic of Bangladesh concerning the demarcation of the land boundary between India and Bangladesh and related matters , May 16, 1974
The Government of the Republic of India and the Government of the People's Republic of Bangladesh,
BEARING IN MIND the friendly relations existing between the two countries,
DESIRING TO define more accurately at certain points and to complete the demarcation of the land boundary between India and Bangladesh,
HAVE AGREED as follows :
Article 1
The land boundary between India and Bangladesh in the areas mentioned below shall be demarcated in the following manner :
• MIZORAM-BANGLADESH SECTOR
Demarcation should be completed on the basis of the latest perpetration notifications and records.
• TRIPURA-SYLHET SECTOR
Demarcation which is already in progress in this area on the agreed basis, should be completed as early as possible.
• BHAGALPUR RAILWAY LINE
The boundary should be demarcated at a distance of 75 feet parallel to the toe of the railway embankment towards the east.
• SIBPUR-GAURANGALA SECTOR
The boundary should be demarcated in continuation of the process started in 1951-52 on the basis of the District Settlement Maps of1915-1918.
• MUHURI RIVER (BELONIA) SECTOR
The boundary in this area should be demarcated along the mid-stream of the course of Muhuri River at the time of demarcation. This boundary will be a fixed boundary. The two Governments should raise embankments on their respective sides with a view to stabilizing the river in its present course.
• REMAINING PORTION OF THE TRIPURA-NOAKHALI/COMILLA SECTOR
The demarcation in this sector should be completed on the basis ofChakia-Roshanabad Estate Maps of 1892-1894 and the District Settlement Maps of 1915-1918 for areas not covered by the CkaklaRoshanabad Maps.
• FENNY RIVER
The boundary should be demarcated along the mid-stream of the course at the time of demarcation of that branch of the Fenny River indicated as the Fenny River on Survey of India Map Sheet No. 79MI15, 1st Edition 1935, till it joins the stream shown as Asalong C on the said Map. From that point on, downstream, the boundary should be demarcated along the mid-stream of the course of the Fenny River at the time of demarcation of the boundary. The boundary in this sector will be a fixed boundary.
• REST OF TRIPURA-CHI'ITAGONG HILL TRACT SECTOR
The boundary will follow the mid-stream of that branch of the Fenny River, referred to in para 7 above, upto Grid reference 009779 (Map sheet as in para 7 above) from where the boundary will follow the mid-stream of the eastern-most tributary. From the source of this tributary, the boundary will run along the shortest distance to the mid-stream of the stream marked Bayan Asalong, on the map referred to above, and thence will run generally northwards along the mid-stream of this river till it reaches its source on the ridge (indicated by grid reference 046810 on the map referred to above). From there it will run along the crest of this ridge upto Boghoban Trig Station. From Boghoban Trig Station upto the tri-junction of the Bangladesh- Assam-Tripura boundary (Khan Talang Trig Station), the boundary will run along the watershed of the river systems of the two countries. In case of any difference between the map and the ground, the ground shall prevail. The boundary will be a fixed boundary in this sector.
• BEANIBAZAR-KARIMGANJ SECTOR
The undemarcated portion of the boundary west of Umapati village should be demarcated in accordance with the agreed basis of demarcation, leaving Umapati village in India.
• HAKAR KHAL
The boundary should be demarcated in accordance with the Nehru-Noon Agreement of September, 1958, treating Hakar Khal as a geographical feature distinct from the Ichhamati River. The boundary will be a fixed boundary.
• BAIKARI KHAL
In the Baikari Khal, the boundary should be demarcated on the agreed basis and principles, namely, that the ground shall prevail, i.e. as per the agreement reached between the Directors of Land Records and Surveys of West Bengal and erstwhile East Pakistan in 1949. The boundary will be a fixed boundary.
• ENCLAVES
The Indian enclaves in Bangladesh and the Bangladesh enclaves in India should be exchanged expeditiously, excepting the enclaves mentioned in paragraph 14 without claim to compensation for the additional area going to Bangladesh.
• HILLI
The area will be demarcated in accordance with Radcliffe Award and the line drawn by him on the map.
• BERUBARI
India will retain the southern half of South Berubari Union No.12 and the adjacent enclaves, measuring an area of 2.64 square miles approximately, and in exchange Bangladesh will retain the Dahagram and Angarpota enclaves. India will lease in perpetuity to Bangladesh an area of 178 metres x 85 metres ijear 'Tin Bigha' to connect Dahagram with Panbari Mouza (P.S. Patgram) of Bangladesh.
• LATHITILLA-DUMABARI
From point Y (the last demarcated boundary pillar position), the boundary shall run southwards along the Patharia Hills RF boundary upto the point where it meets the western boundary of Dumabari Mouza. Thence along the same Mouza boundary upto the tri-junction of Mouzas Dumabari, Lathitilla and Bara Putnigaon through the junction of the two Mouzas Dumabari and Lathitilla. From this point it shall run along the shortest distance to meet the mid-stream of Putni Chara. Thence it shall run generally southwards along the midstream of the course of Putni Chara at the time of demarcation, till it meets the boundary between Sylhet (Bangladesh) and Tripura (India).
Article 2
The Governments of India and Bangladesh agree that territories in adverse possession in areas already demarcated in respect of which boundary strip maps are already prepared, shall be exchanged within six months of the signing of the boundary strip maps by the plenipotentiaries. They may sign the relevant maps as early as possible and in any case not later than the 31st December, 1974. Early measures may be taken to print maps in respect of other areas where demarcation has already taken place. These should be printed by 31st May 1975 and signed by the plenipotentiaries thereafter in order that the exchange of adversely held possessions in these areas may take place by the 31st December 1975. In sectors still to be demarcated, transfer of territorial jurisdiction may take place within six months of the signature by plenipotentiaries on the concerned boundary strip maps.
Article 3
The Governments of India and Bangladesh agree that when areas are transferred, the people in these areas shall be given the right of staying on where they are, as nationals of the State to which the areas are transferred. Pending demarcation of the boundary and exchange of territory by mutual agreement, there should be no disturbance of the status quo and peaceful conditions shall be maintained in the border regions. Necessary instructions in this regard shall be issued to the local authorities on the border by the two countries.
Article 4
The Governments of India and Bangladesh agree that any dispute concerning the interpretation or implementation of this Agreement shall be settled peacefully through mutual consultations.
Article 5
This Agreement shall be subject to ratification by the Governments of India and Bangladesh and Instruments of Ratification shall be exchanged as early as possible. The Agreement shall take effect from the date of the exchange of the Instruments of Ratification.
SIGNED in New Delhi on May 16, 1974, in two originals each of which is equally authentic.
For the Government of the Republic of India
Sd/-
INDIRA GANDHI
Prime Minister of India. For the Government of the People's Republic of Bangladesh
Sd/-
SHEIKH MUJIBUR RAHMAN
Prime Minister of Bangladesh.
চুক্তির অনুচেছদ-১ এর উপঅনুচেছদ-১৪তে বলা হয় ভারত দক্ষিণ বেরুবাড়ী ইউনিয়ন নং-১২ এর দক্ষিণ দিকের অর্ধাংশ ও পার্ম্ববর্তী ছিটমহলগুলোর অধিকারী হবে আর বিনিময়ে বাংলাদেশ দহগ্রাম-আঙ্গরপোতার* অধিকারী হবে। দহগ্রাম-আঙ্গরপোতাকে বাংলাদেশের মূল ভূ-খন্ডের সাথে সংযুক্ত করার জন্য ভারত বাংলাদেশকে "তিনবিঘা"(১৭৮মিটার দৈর্ঘ্য ও ৮৫মিটার প্রস্থ) এলাকা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত (লীজ) দেবে। ১৭১৩ খ্রিস্টাব্দে কোচ-মোগল সন্ধির ফলাফলই আজকের ছিটমহল উৎপত্তির প্রধান কারণ। আর ১৯৭৪ সালের ১৬ই মে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরাগান্ধীর মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিই তিন বিঘা করিডোর সৃষ্টির কারণ।
তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রতি সন্মান প্রদর্শন করে সংসদে আইন পাশ করে চুক্তিটিকে বাংলাদেশের সংবিধানের অর্ন্তভূক্ত করে নেয় এবং দক্ষিণ বেরুবাড়ী ও এর আশেপাশের ৪টি ছিটমহল ভারতকে বুঝিয়ে দেয়। এর পরের ইতিহাস কেবলই ভারতের বাংলাদেশকে নিয়ে ছেলেখেলার ইতিহাস। বাংলাদেশ সরকার সংসদে আইন পাশ করে চুক্তিটিকে সংবিধানের অবিচেছদ্য অংশ করে নিলেও ভারত সরকার তার প্রয়োজনও বোধ করেনি। ১৯৭৪ সালের ১৬ই মে ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পর ঐ বছরের নভেম্বর মাসেই ভারত বিশাল বেরুবাড়ীর দখল নেয়।কিন্তু ভারত সরকার ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির বাস্তবায়নে কালক্ষেপণ করতে থাকে। তিনবিঘা করিডোর দহগ্রাম-আঙ্গরপোতাবাসীর কাছে স্বপ্নই থেকে যায়।
তথ্য সংগ্রহ
১।হুসেনশাহী বংশের অধীনে বঙ্গদেশ
২।Ikhtiaruddin - Profile of Bengal ইখতিয়ারউদ্দীন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খালজীর বঙ্গবিজয়
৩।রেনেলের দেখা বাংলা বদলে গেছে অনেকটাই
৪।গৌড়
৫।History of Bengal
৬।ছিটমহলের গোড়ার কথা
৭।হামার লালমনিরহাট
৮।
Panchagarh District (পঞ্চগড় জেলা)
৯।Kamakhya
১০।রোড টু সুবা রঙ্গপুর থেকে বিভাগ রংপুর
১১।কোচ জাতির পরিচয়
১২।কামতা-কোচ বিহার
১৩।Koch Bihar- কোচ বিহার
১৪।Kamarupa-কামরূপ
১৫।Kamata Kingdom-কামতা