অপরাহ্নের মধ্য ভাগটাতেও তপ্ত রোদের শাশা তেজের কমতি নেই। কিন্তু এরই মধ্যে ফুটবল মাঠের কোথাও কোথাও বিশেষত দক্ষিণের গকুল গাছের তলায় দর্শক রাশির জায়গা দখলের হালকা প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। বিকাল চারটেয় ফুটবল ম্যাচ। আজ সেমি ফাইনাল। তাই আমেজটা একটু বেশিই বটে। মাত্র কয়েকদিন আগে কলেজের প্রথম বার্ষিকীটা পেরুনো তমালদের ছোট্র দলটাও আসতে শুরু করেছে। পাশাপাশি জমজ দু’টো গ্রাম বড়সলা ও ত্রিবেদী, মাঝখানে মাঠ। প্রতি বর্ষেই খেলা নামে, চলে প্রায় দেড় মাস। আশপাশের গ্রাম, ইউনিয়ন,থানা পেরিয়ে নানা জেলা থেকেও দল আসে এখানে খেলতে। তমাল কামাল মিঠু রনি উজ্জল গ্রামের হাইস্কুল পেরিয়ে উপজেলার একই কলেজে ভর্তি হয়েছে। সংকল্পটাও তাই ছিল। তমাল মিঠু রনি এসেছে কামাল আর উজ্জল এখনও আসেনি।
মাঠের পশ্চিম পাশটা ঘেঁষে বাজারের সারি সারি দোকান ঘর। মাঝের কোন একটি ঘর থেকে মাঝে মাঝেই জনা কয়েকের চিৎকার চেঁচামেচি জমায়িত লোকের কৌতূহলী চাহনি টেনে ধরছে। ওদিকটাতেই কামালদের ঘর। খেয়াল হতেই তমাল মিঠু রনি উঠে দৌড়।
ঘরের এক কোনার ডেরার একটা অস্থায়ী চৌকির উপর কামাল একজন প্রৌঢ়োত্তর বৃদ্ধকে ঠেস দিয়ে ধরে খিস্তি খেউর গাচ্ছে। অচেনা কয়েকজন লোক নির্বৃত্ত করার চেষ্টা করছে। সবাই মিলে যখন শান্ত করা গেল তখন জানা গেল বৃদ্ধটি আর কেউ নয়। কামালের বয়োজেষ্ঠ বাবা তছলিম শেখ।
ফুটন্ত বয়স অফুরন্ত সময়। তার উপর সবে কলেজের প্রখম বার্ষিকী শেষ হয়েছে। অতএব সন্ধ্যের শেষ প্রহর অবধি বাইরে কাটানোর বৈধতা তমালদের আছে বৈকি। কিন্তু কামাল আজ যে কান্ড ঘটিয়েছে তার জেরটা যে কি তা সে বাড়ী ফিরলেই টের পাবে। বিষয়টি রনি ইতিমধ্যেই বলে ফেলেছে। কিন্তু যাকে নিয়ে এত কথা সেই কামালের মধ্যে এ ভাবনার ভ্রুক্ষেপটুকু নেই। খেলা চলাকালীন তার মধ্যে যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে তাতে মনে হচ্ছে এমন অপরাধকর্মে সে সিদ্ধহস্ত এবং পরিণামটাতে সে গা সওয়া।
কামাল তছলিম শেখের শেষ পক্ষের ছোট সন্তান। তছলিম শেখের হাতের কোর গলিয়ে জল বেরুতে পারলেও কারও জন্য একটা সিকি পেরুতে পারে না। গৃহস্থের পালিত মেয়েকে দিয়ে সংসার ধর্ম শুরু। শশুরের দেওয়া বাড়ীটুকুতেই প্রথম পক্ষের বাস। ঐশ্বর্যের বাড়ন্ত হাওয়াটা শেষ পক্ষকে ঘিরেই। কিন্তু সেই সম্পদটাতেই শত প্রশ্ন, কেবল প্রতারণা আর ফাঁকি ঝাঁকির গুঞ্জন। প্রতিটা সম্পদেই নির্যাতিতের দীর্ঘশ্বাস। বাজারের এই ঘরটা, মাঠ সংলগ্ন পাটে পাটে জমি সবটাতেই অভিশাপের দীর্ঘশ্বাস। প্রাণের চেয়েও প্রিয় এ সম্পদের মায়ায় তছলিম শেখের দিন রাত্রী কাটে দোকানের ডেরায়। ক্ষেতে কার গরু ঢুকল কার ছাগলে ফসল অনিষ্ট করল ইত্যকার দেন দরবার নিয়েই কাটে তার সময়।
বাজারের উত্তর-পশ্চিম কোনায় জোগিন্দ ঠাকুরের বসতঘর। ঘরই বললাম কারণ প্রকান্ড বাড়ীটার প্রায় অর্ধেকটা ভেঙে খেয়েছে উত্তর পাড়ের জলাধার। গ্রামের জোদ্দারেরা পুকুর জলাশয়ের হিসাবটাতে সিদ্ধহস্ত। ঘরের বউ ঝিয়ের জন্য উপরে একখানা প্লাস্টিকের ট্যাঙকি নীচে দু’খানা গোসলখানা। সরকারী রাস্তাঘাটে মাটি বিক্রি করে যে ডোবার সৃষ্টি হয় তাতে চলে মাছ, হাঁস-মুরগীর চাষ। গাঁয়ের লোকেরা ভূলেও গামছা লুঙি কাঁধে ওদিক মাড়ায় না। জোগিন্দ যে ডোবা কেটে গত হয়েছেন তাতেই চলে গোছল আত্তি। দামাল ছেলেদের লম্পঝম্ফের ঢেউ আর বৃষ্টির পানির তোড়(তীব্র পানির স্রোত)চাপ চাপ মাটি ফেলে দিয়ে ডোবাটিকে জলাশয় করে ঘরকোন পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। উঠানের সব্জি বিক্রিতেই চলে বুড়ি ঠাকুরুনের একপেট। পয়সা ঠেকিয়ে ছ’মাস আগে একটা বকরি কিনেছেন। হাত খসকে তাহাই আজ তছলিম শেখের ক্ষেত মাড়িয়েছে(পদদলিত করেছে)। শেখ তাহা বুড়ির সামনেই ধরে নিয়ে খোঁয়াড়ে(ছেড়ে দেওয়া গবাদি পশু বন্দী করে রাখার স্থান)দিয়ে এসেছে। বুড়ি ঠাকুরণ তাহাই ফেরত পাবার আশায় শেখের পায়ে পড়ছিল আর কাতরোক্তি করছিল।
কামাল ছোট থেকেই ডানপিঠে স্বভাবের। বাড়ীর কাজের ধার ধারে না। তবে লেখাপড়ায় তমালদের চেয়ে মেধায় কম নয়। ব্যতিক্রমটা হ’ল যে কারও দুঃখ কষ্টে মনটা একটু বেশীই গলে। মমমানুষেমামানুষের বিপদের কথা শুনলে সবটা দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। উচিৎ কথা বলতে আপনকেউ পরোয়া করে না। এই ভরসাতেই অনেকে শেখের জ্বালায় তিষ্ট হয়ে কামালের কাছে নালিশ জানায়। আজ বুড়ি ঠাকুরণ সেই কাজটিই করেছে। কিন্তু সেই ন্যায় বিচারটা করতে গিয়ে যে অবিচার সে ঘটাইল তাহাও তো সভ্য নয়। মা
মাঠ থেকেই উজ্জল মিঠু বিদেয় হয়েছে। বেজো নাপিতের মোড়টাতে রনি তার বাড়ীর দিকে হাঁটা দিলেও কামাল ডানদিকে না গিয়ে তমালের সাথে বাম দিকেই উদ্ধত হ’ল।
-কিরে বাড়ী যাবি না?
-হুম, যাচ্ছি তো।
-হুম, যাচ্ছিস, তো এদিকে আমার বাড়ী।
-তোর বাড়ী কি আমার বাড়ী নয়?
-বাড়ীর কথা জানি না, তবে ঘরটা তো তোরই।
-সেই ভরসাতেই তো যাচ্ছি।
-কিন্তু সেই থেকে তো বীর বাহাদুরের মতই ভাব করছিলি।
-বলছিনা ও নিয়ে কথা বলবিনে।
-কান ধরছি,ঢের হয়েছে চল্ চল্ বাড়ী চল।
গ্রামের রাত, দশটাতেই সুন-শান নীরবতা। চারিদিকে ঝিঁঝিঁ পোকার অবিশ্রান্ত কূজন। মাঝে মাঝে দূরের পিচ ভাঙা দাঁতাল রাস্তায় দ্রুত রিক্সার অশ্লীল চিৎকার এ ব্যঞ্জনায় ছেদ করে। দত্ত বাড়ীর বাহির ঘরটার এক কোনে একটা বৈদুতিক আলোয় সামনের রাস্তা সমেত বাড়ীর গেটটা স্পষ্ট দেখা যায়। অশোক দত্ত ঘরটা পেরোনোর আগেই বাড়ীর কুকুরটা ঘেউ ঘেউ করতে করতে রাস্তায় গিয়ে দাঁড়াল। সন্দেহটা অমূলক নয়। উত্তর দিক থেকে একটা টর্চ লাইটের পেছনে জনা দু’য়েক মৃদু কন্ঠ এদিকেই আসছে। আলোর কাছাকাছি হতেই কুকুরটি পিছিয়ে দত্তের কাছে গিয়ে আরও উচ্চ স্বরে ঘেউ ঘেউ করতে লাগল। ততক্ষণে অশোক দত্তও আলোয় এসে দাঁড়িয়েছেন।
-আদাব কাকা।
-জামাল নাকি?
- আজ্ঞে, হ কাকা।
-তয় এত রাইতে কই যাও?
-আজ্ঞে, আমাদের কামালটা এখনও বাড়ী ফেরে নাই। দু’জায়গায় দেখলুম পেলাম না। ভাবলাম যদি তমালের সাথে…..
-বাড়ী ফেরে নাই, ফিরবে। রাইত তো এখনও অনেক বাকী। আমাদের তমাল তো অনেক আগেই ফিরেছে। ওতো না বলে রাত করে না।
-ও কথা বলছিনে কাকা। শুনলাম সন্ধ্যে অবধি ওরা এক সাথেই ছিল। তাই ভাবলাম যদি এখানে…….
-আজকালকার ছেলেপেলে না বড্ড বেড়েছে,বুঝলে! ঘরের আলোটাও দেছছি নেভানো। তুমি না হয় একটু দাড়াও,কেমন। আমি ওকে ডেকে তুলছি।
-না না কাকা তার দরকার নেই। ও এখানে দিন থাকলেও রাত থাকবে না, জানি। আমি না হয় ছোট ফুপুর ওখানটা দেখে আসি।
-আচ্ছা বাপু, তাই কর।
-আদাব,কাকা।
-নমস্কার।
জামাল চলে গেলেও অশোক বাবু পিছু পিছু রাস্তাটির আলোয় দৃশ্য অংশটি পর্যন্ত গেল। ফিরে গেটটা পার হতেও পিছন ফিরে খানিক ভেবে আবার ভেতরে গেলেন। গেটের ছিটকানিটা লাগাতেই হঠাৎ একটা ভরাট আলো এসে গোটা গেটের ভেতর দিকটাসহ বাহির ঘরের উঠানমুখো দরজা ভাসিয়ে দিল। আলোটি তমালের ঘরের। লাইট জ্বালতেই খোলা জানালা দিয়ে বাইরে চলে এসেছে।
-কি রে তমাল তুই কি আমাদের শুনছিলি নাকি ? ততক্ষণে তমাল দরজা খুলে বারান্দায় দাঁড়িয়েছে।
-হ্যাঁ বাবা, শুয়ে শুয়ে আমি সব শুনেছি।
-ওরা বলছিল “সন্ধ্যে অবধি কামাল তোর সাথেই ছিল।”
-হ্যাঁ বাবা এখনও আমার ঘরেই আছে।
-সে কি বলছিস তুই? আর ছেলে দু’খান কষ্ট করে গ্রামময় হাঁটছে। বলেই অশোক বাবু ঘরে ঢুকে গেলেন। কামাল বিছানায় বসে আছে।
-কি হে বাপু, তুমিও কি সব শুনছিলে,নাকি?
-না, কাকু আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
-তো এতো রাতে খোঁজাখুঁজি কিসের ? এপাড়া আর ওপাড়াই তো !
-কাকু আপনি বসেন,আমি বলছি।
-হঁ বসলুম। দেখতো দেখি ছেলে দু’টো কেমন গরু খোঁজা খুঁজছে।
-বাবা, ও বাড়ীতে যেতে ভয় পাচ্ছে। বলেই তমাল ঘটনাটি সংক্ষেপে বর্ণনা করল।
খানিকক্ষণ নিরবতার পর অশোক বাবুই মুখ খুললেন।
-আগেতো অনেক করেছো কিন্তু এতদূর শুনিনি। না না বাপু, এ তুমি বড্ড ভূল করেছো। ঐ দেখ এখন চোখের পানি মুচ্ছ! আমিতো---
-না কাকা, আব্বাকে স্বপ্নে দেখছিলাম। খুব খারাপ লাগছে।
-তা তো লাগবেই, বাপটা না থাকলে আরও বুঝবে।
- কাকা, আব্বাকি বুঝবে না আমরা এখন বড় হয়েছি। উনার কারণে আমরা লোকজনের সাথে ভালোভাবে মিশতে পারি না। আজ একজনের আইল ঠেল্বতো কাল আরেকজনের গরু ছাগল খোঁয়াড়ে দিব। এর সাথে জমি নিয়ে মামলা, ওর সাথে দখল নিয়ে কাজ্জে। ছোট থেকে থানা পুলিশ আর তারিখে তারিখে হাজিরা এই দেখতে দেখতে আর ভাল লাগে না।
-শোন বাপু, দুই ভাই সমান তালে নেতা হতে গেলে বাপ যা করে দিয়ে যাচ্ছে তা আবার চলে যেতেও বেশি সময় লাগব না। সময় থাকতে সাবধান হও। যদি সমস্যা হয় লোকজনের সাথে না হয় কমই মিশলা। আর অভিযোগ বলছ? ওকে ওর জায়গায় রেখে পাশ কেটে চলো।
-কাকা,আপনী এ কথা বলছেন?
-আমি যে কামালকে জানি সে চোর নয়,ডাকাত নয় আবার চাঁদাবাজ বা জবরদস্তিকর ছেলে নয়। তাই বলি তোমার হাতে যে দামি মোবাইলটা দেখছি তার টাকাটা অবশ্যই তোমার বাবা তছলিম শেখের সংসার থেকে নেওয়া।
-না কাকা আমি বলছিলাম,দু'বছর আগে আপনিই না বড় ক্ষেত নিয়ে মামলায় হেরে গেলেন।
-হ্যাঁ, তোমার আব্বা রাইট ছিল তাই কোর্ট তারঁ পক্ষে রায় দিয়েছে।
-তাহলে গেদু চাচা আর অষ্টগ্রামের নাগ ঠাকুরের জমির মামলায়ও কি আব্বা জিতে যাবে?
-কোর্টের কাছে রাইট মনে হলে রায় তাই হবে।
-আব্বা, ছোট কাকা বলছিলেন আপনাকে উনার কি যেন দরকার ছিল।
-হ্যাঁ রে আমাকে ফোন করেছিল। দেখ না,হাট থেকে ফিরতেই রাত হয়ে গেল। তোর ছোট কাকার বাড়ীর দিকেই যাচ্ছিলাম।
-বাবা,সাথে আসব?
-না,তোমরা ঘুমাও। বলেই উঠে হাঁটা দিলেন।দরজা থেকে আবার ফিরে আসলেন।
-কামাল,তুমি বলছিলা বড় হউছো। তবে কিছু মনে না করলে একটা কথার উত্তর চাই,দিবা?
-জি,বলেন কাকা।
-তোমার কি মনে হয় তোমার বাবা যে সকল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন বা হচ্ছেন তা সব ফাঁকি-ঝুকি,জবরদস্তি আর প্রতারণার মাধ্যমে? ঐ বুড়ি ঠাকুরুনের মত গ্রামের আর দশজন বলে তাইকি তুমি বিশ্বাস কর?
-সত্য হলে কেন বিশ্বাস করব না!
-আচছা ইশ্বর না করুক,আজ তোমার বাবা মারা গেলেন। পিতার ঐরসজাত সন্তান হিসেবে তুমি পিতার সম্পদের ভাগিদার হলে।তবে দশজনের কথার বিশ্বাস মতে তুমি তোমার ভাগের সম্পত্তি লোকজনকে ফেরত দিবে?
-(কিছুক্ষণ সময় নিয়ে আমতা আমতা গলায়) ন্যায়মত তো তাই করা উচিৎ।
-তোমার সততাকে সাধুবাদ জানাই। তা যাগ্গে। তুমি কিন্তু আমার পস্করিনীর মাছ ধরার সময় থাকবা বাপু। গত বছর তুমি থাকাতেই পাড়ার ছেলেপেলে কাছে ঘেঁষতে পারে নাই।
অশোক বাবু বেরিয়ে যাবার পর কামালও আলনা থেকে জামাটা নিয়ে পরতে যাচ্ছিল-
-কিরে তুই জামা পরছিস ক্যান?
-বাড়ী যাব।
-বাবার কথায় চটেছিস?
-কোন দিন দেখেছিস?
-তবে জামা পড়ছিস যে!
-আব্বার কথা মনে পড়ছে।ঘুমের মধ্যে সত্যিই আব্বাকে স্বপ্নে দেখছিলাম।আর কাকু যেভাবে মরা ধরার কথা বলছিল।ভয় করছে।
-আসলে তুই কাজটি ঠিক করিসনি। চল তোদের বাড়ীর খবর নিয়ে আসি।
-গেলে আজ আর আসব না। সাথে গেলে তোকেও আমার ওখানে থাকতে হবে।
-মানে তুই একা যাবি?
-আমি তোর বিছানায় থাকতে পারলে তুই পারিস না ক্যান?
-এখানেই তোর সাথে আমার ব্যবধান।
-তোর টর্চ লাইটা দে। বাড়ী পৌছে কল দিচ্ছি।
-বাবা বললে কি জবাব দিব।
-বুঝিয়ে বলিস।
কামাল বের হয়ে যায় বাড়ীর উদ্দেশ্যে। রক্তের টানে অনুশোচনাটা বার বার নাড়া দিচ্ছে। তার চেয়েও বড় কথা তার মাথায় ঘুরপাক খাচেছ। বৃদ্ধ পিতা এ বয়সেও কত খাটুনি করে। সে তো আর এসব কবরে নিয়ে যাবে না।আমাদের সুখের জন্যই তো করছে।এ সম্পদ কেন মানুষকে ফেরত দিতে যাব? দেশে আইন আছে আদালত আছে।পিতা বেঁচে থাকতে ওখানেই তারা যুদ্ধটা করে নিক। আর নয় মানুষের কথায় কান ভারী। যে দু’খানা হাতে এই কুমন্ত্রকেরা নির্ভরতা পায় সে দু’খানা হাতের সাহায্য আগে জন্মদাতা পিতারই পাওয়া উচিৎ। বৃদ্ধ পিতার কথা আরেকবার মনে হতেই কামাল আরও দ্রুত পায়ে বাড়ীর দিকে হাটতে থাকে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪৬