সামাজিক যোগাযোগের মধ্যে বাংলাদেশে সবার থেকে এগিয়ে facebook. আজ প্রায় ১ সপ্তাহের বেশী সময় নিয়েও খুলে দিব বলে বলে খোলা হচ্ছে না। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাজনীত কারন দেখিয়ে সবাই এখনো এমন সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাচ্ছে। কেউ কেউ আবার তার ব্যতিক্রমও বলতে শোনা যাচ্ছে। তবে এতে দোষের কিছু দেখছি না। একটা রকমারির ঘাত থাকলে তার প্রতিঘাত থাকবেই। তবে সাম্প্রতিক কালের এই ফেসবুক বন্ধের ঘোষনাকে কোনভাবেই স্বাভাবিকভাবে কেউই গ্রহন করতে পারে নি যেমন স্বাভাবিক তেমনি এর সেকেন্ডারি ভিপিএন ব্যবহারের দিক দিয়ে বা সরকারিভাবে/ বিআরটিএর অনুমতি সাপেক্ষে যেভাবে অনলাইন নিউজ সার্ভারগুলো বিভ্রান্তি চড়াচ্ছে এতে করে সাধারন জনমনে আরো বেশী প্রতিহিংসার জন্ম নিচ্ছে।
ফেসবুক যদি এভাবে ব্যান করে দেয় বাংলাদেশের বডি সার্ভার থেকে, তাহলে বড় ধরনের একটা ধাক্কা খাবে ইন্টারনেট অপারেটররা(বাংলাদেশের ক্ষেত্রে)। সে ক্ষেত্রে ফেসবুক ইউজারের দিক লক্ষ করলে দেখা যায় বেশীরভাগই স্টুডেন্ট। তার মধ্যে মাধ্যমিক, নিন্মমাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেনীর শক্ষিার্থীরাই বেশী। এ দিক থেকে তারা যে কত সময় অপচয় করে তার কোন ইয়াত্তা নেই। কে কেমন সময় অপচয় করে এই ফেসবুকের উপর আমার তা জানা নেউ, তবে ব্যাক্তিগতভাবে আমি নির্ধিদ্বায় বলতে পারি, সে সময়টা অন্য কাজে ব্যবহার করলে আমার নিজের হয়ত কোন দিকে উন্নতি হত।
এমনও দেখা যায় ফেসবুকটা এমন একটা মাধ্যমে পরিচিত হয়ে উঠতেছে। তারা একটা শ্রেনীর। তারা হলেন পরীক্ষার আগের দিন তারা একটা পেইজে বা একটা গ্রুপে প্রশ্ন ফাঁস করার জন্য বসে বসে টেক্সটবুক বাদ দিয়ে ফেসবুক পড়ে। অসাধারন ক্রিয়েটিভিটি।
এবার যদি ফেসবুকের নিজস্ব বৈশিষ্ঠ বলতে যাই। সে ক্ষেত্রে এর ব্যবহার প্রনালি বা ব্যবহারের পরিধী একটা নির্দিষ্ট জায়গায় আটকে ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে কিছু গুরুত্বপূর্ন কাজে ফেসবুক বিশেষভাবে ভূমিকা রাখছে তার একটা দিক বলতে গেলে অনলাইন বিজনেস। সবচেয়ে বেটার হয় যদি বলা হয় ফেসবুক বিজনেস। কারন অনলাইন বিজনেস যে কোন ওয়েব সাইট থেকে ব্যবহার করার উপযোগী। আর আমাদের ফেসবুক এক্টিবিষ্টরা বিভিন্ন পেজের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে ছিল। হঠাৎ তাদের বিজনেস বন্ধ হয়ে গেল!
সবচেয়ে বড় মানবোপকারও করা হয় এই ফেসবুক থেকেই। যেমন রক্ত দান করা। এর চেয়ে মহৎ এবং নির্ভেজাল উপকার আর দ্বিতীয়টি নেই। সেই কাজটিই সম্পাদন হয় এই ফেসবুকের আদলে।
ফেসবুকটা খোলা হউক, কিছু ভালো মানুষের ভালো এক্টিভিটির জন্য। আর যদি মনে করা হয় ফেসবুক আমাদের জাতীয় সার্থে খারাপ বয়ে আনে তাহলে তাকে ব্যান করা হউক, আমাদের জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯