বাংলাদেশের ক্রিকেট অধ্যায়ে অনেক দিনের কাঙ্ক্ষিত একটা জয়ে সবাই খুশি।ভ শুধু মাত্র কিছু নাম ধারী বাঙ্গালী খুশি হতে পারে নাই। যখন মাহমুদুল্লাহ আউট হয়ে ফেভিলিয়নে ফিরে যাচ্ছিল ঠিক কখন শুয়োরেরা আউট আউট বলে চিৎকার দিয়ে উঠছিল। তারা ভেবেছিল বাংলাদেশের শুভদ্বয় এখানেই শেষ হয়ে যাবে। ঠিক যকন ৩০ ওভারে রান রেটটা কিছুটা কমতি ছিল তখনো তাদের মুখে জয়ের হাসি ছিল। আমি নিজে দেখেছিলাম। আর যখন তামিমের সেঞ্চুরির উদযাপন হলো, তখন অকপটে সবাইকে তার সেঞ্চুরি উদযাপনের দৃশ্যটা বুচিয়ে দিলেন হাত দিয়ে- অনেকটা এরকম, আমাকে নিয়ে বকবকানি বন্ধ করো, আমাকে নিয়ে বকবকানি বন্ধ করো। সত্যিই দেখার মত ছিল এবং উপভোগ্যের মতই ছিল সেলেব্রেশনটি। একটা ব্যাটসম্যানের খারাপ সময় যেতেই পারে- তাই বলে এখন অনেকে মতামত দিবেন একটা সেঞ্চুরির কল্যানে আবার তাকে কয়টা ডাক খেতে হয় ! এই কথাটা আমার মোটেই ভালো লাগে নাই। একটা দলে প্রতিম্যাচে সেই ভালো করবে এবং করতেই হবে, এমন কোন বাদ্ধবাদকতা এখনো কোন ক্রিকেটিয় রুলে তৈরী হয় নাই। একটা ম্যাচে ২/৩ বা ৩/৪ জন ভালো একটা ফার্টনারশিপ করতে পারলেই ভালো একটা স্কোরের ফরমেটে যেতেই ফারে। সে ক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানদের ভূমিকা আর বলতে হয় না। যেমনটি দেথেছিলাম গতকালকে। বলতেই হয় মুসফিকের বিয়ের পর প্রথম সেঞ্চুরির কথা। এবং সাকিব ও সাব্বি রুম্মনের নৈপূন্যে ভরা ব্যাটিংয়ের কথা।
বলিংয়ের কথায় আসলে বাংলাদেশের গতে মানব রুবেল এবং তাসকিনই ছিল মাঠে, তাদের নিয়ে ছোট করে বললেও ভুল হবে। সবে মাত্র লোকটি রবির এড শেষ করে মাঠে আসলো স্টাম্প ভাঙ্গার জবাবে। স্টাম্প ভাংতে পারুক আর না পারুক উইকেট কিন্তু ভাঙছেই। তার তাসকিন, বাচ্ছা ছেলেটিও দেখাই দিল সে বড় হচ্ছে।
আর ব্রেক থ্রু বলতে গেলে জয়ের টার্নি পয়েন্টের বল হাতের নায়ক সানি। ১৬ বছরের প্রতিক্ষিত উল্লাস হবেই, সেটা নির্জীব ভাবে হোক আর গলা হাকিয়ে হোক নতুবা তামিমের হাতের ইশারায় হোক।
বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম ভাল খেলতেছে দেখে নয়, তারা মানুষকে ভাল কি তা বুজাতে পারতেছে দেখে ভালো লাগে। সাবাস বাংলাদেশ, এগিয়ে যাও টাইগার্স।
আর যারা বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদেরকে ধইরা হিজরা বানাই দেয়া ধরকার এটা এখন সময়ের দাবি।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪