কত মানুষ কত মানুষের উপকার করে, সত্যিকার অর্থে সব উপকার উপকার না। কেউ স্বার্থের জন্য কেউ ভালোবাসার জন্য, কেউবা কর্তব্য পরায়নের জণ্য উপকার করে। এ যাবৎ কালের একটি মাত্র উপকারই নির্ভেজাল এবং নিঃস্বার্থের পরিচয় দেয়। আর সেটা হলো রক্ত দান করা। পৃথিবীতে এর মতো বড় উপকার আর দ্বিতীয়টি মনে হয় নেই। আমাদের ফ্রেন্ডের মা অসুস্থ এখন রক্তের প্রয়োজন মাত্র ২ ব্যাগ আর আমরা রক্ত দিতে গিয়েছিলাম ৪ জন। কিন্তু জানতামই না যে রক্ত দেওয়ার আগে গ্রুপটা জানা জরুরি। এক ফ্রেন্ডের সাথে মিলে যাওয়ায় সে দিয়েছিলো তার শরীর থেকে তাজা থরথরে এক ব্যাগ রক্ত নিয়ে বাচিয়ে দিলো এক অসুস্থ ব্যাক্তিকে মাত্র কয়েক দিনের জন্য। সে চিনে না জানে না অহেতুক উপকার করতে গেছে, যাকে রক্ত দিয়েছিলো উনি তার সপ্তাহ খানেক পরেই মারা গেলেন। ইন্নালিল্লাহি..... রাজিউন।
উপকার এমনিরে বোকা... যে উপকারে আসলে কোনো স্বার্থ লিখা থাকেনা।
আর নির্ভেজাল এই অর্থে আপনার শরীরে কোনো পরমালিন যুক্ত রক্ত অবশ্যই নাই, আর আপনি অবশ্যই পরমালিন যুক্ত উপকার করবেন না। কারন এই উপকার কোনো ব্যাবসা নয়, যাকে দান করবেন তিনি আপনাকে সুস্থভাবে বাচার প্রয়াস পেয়ে আপনাকে একটা হাসি উপহার চাড়া আর কিছুই দিতে পারবেনা।
অনেকেই অনেকভাবে পরপকার করে থাকেন কিন্তু একজনকে রক্ত দিয়ে বাচানোর মত আনন্দ আর কোনো উপকারে আপনি পাবেন না।
রক্ত দান করতে তেমন কিছু লাগেনা... আপনার বয়স ঠিক রেখে নূনতম শরীরের ওজন ৫০ হলেই হয়। ভয় পাওয়ার কিছু নেই প্রতি তিন মাস পরপর আপনার শরীরের রক্ত কনিকা পরিবর্তীত হয়ে নতুন রক্ত তৈরী হয়। আর যারা এ পর্যন্ত রক্ত দিছে তাদের অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কোনো রকম সংবাদ এখনো শুনা যায় নাই।
আসুন নিঃস্বার্থে উপকার করি, রক্ত দিয়ে মানুষের জীবন বাচাই, মানুষের মুখে বাচার হাসি ফুটাই।