somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আসেন দেখি সকপাপেটের রঙ্গীন কারখানা, শোনেন বলি নতুন করে পুরান ঘটনা--মহাজনীয় পুঁথি ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৭:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কর্তৃপক্ষরে সাধুবাদ জানাইলাম, দেরীতে হইলেও এমন সুন্দর কাজটা করার জন্য। তবে কথা হইল কর্তৃপক্ষকে একটু ভাইবা দেখতে হইব যারা এখন নষ্টমনা , গালিবাজ আর ফ্লাডিং করা ব্লগারগো কমরেড কইয়া তাদের আনব্যান দাবী কর্তাছে তারা একের ভেতর কয়। একজনের বহু নিক দিয়া বলতাছে অমুক ব্লগার ভাল ছিল তারে আনব্যন করেন, তমুক ব্লগার স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি তারে আনব্যান করেন। বলি এইসব কথা বেইচ্যা আর কতদিন? ঐসব কমরেডগো মুখের ভাষা দেইখা বমি হইতে বাকি ছিল আর খালি ভাষায় যখন কাম হয়নাই তখন শুরু কর্ছিল কমোড, মল এইসবের ছবি সহ পোষ্ট দিয়া পোষ্টানো। সামহোয়ার ইনে মুক্তিযুদ্ধের ঝান্ডাধারী ব্লগাররা 'ুদানো' 'ুদা' 'ুদুম' - এইসব কথা ছাড়া পোষ্ট করতেই পারেনা। বাহবারে বাহবা। তারা হইলেন আবার কমরেড! কমরেড শব্দটারে একেবারে যাচ্ছেতাই রকম বস্তাপঁচা বানাইয়া ফালাইল, শব্দটার এরকম অপমান দেইখা নিজের লজ্জা ঢাকতে কিছুক্ষনের জন্য ব্লগ থেইকা বাইর হইয়া গেসিলাম! কিন্তু ওদের লজ্জা হয়না।

আমাদের রাগীব ভাই একবার একটা পোষ্ট দিছিলেন, সেখানে সক পাপেটের কান্ড কারখানা লিপিবদ্ধ করা আছে। সবাই একটু পইড়া লইবেন। যারা এখন নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ আর অন্যদেরকে বিপক্ষ শক্তি হিসেবে অংকন করেছেন তাদের আচরণটা হইল ঐরকম সকপাপেটের মত। প্রথমে এমন ভাণ দেখাইব যাতে বোঝা যাইব যে সে বুঝি মুক্তিযুদ্ধ করছে স্বশরীরে, মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া আর কিছুই বোঝেনা। কিন্তু পরে শুরু হয় খেলা। মহান মুক্তিযুদ্ধের পতাকাতলে আশ্রয়গ্রহণকারীরা ব্লগের মেয়েদের গনধর্ষনের হুমকি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধর্ষন করে। মহান মুক্তিযুদ্ধের ঝান্ডা ধারি সক পাপেটেরা গালির তুবড়ি ছুটিয়ে ব্লগের বাক্যগুলিতে মুক্তিযুদ্ধকে আর মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা ছাড়া আর বিশেষ কিইবা করে? ব্লগের পাতায় পাতায় নোংরা ছবি দিয়ে যারা আমাদের প্রানপ্রিয় শহীদদের আত্মাকে কষ্ট দেয় তারা কখনই সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধপ্রেমি, সত্যিকারের দেশপ্রেমিক আর সত্যিকারের স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি হতে পারেনা। আমার খালি আফসোস যারা এইরকম কাজ গুঅ করতেছে তারা সকপাপেট সাজনের লাইগা আমাগো মহান মুক্তিযুদ্ধরে বাইছা নিল!!! কতবড় ধৃষ্টতা তাদের! আমিতো মনেকরি ওদেরকে শুধু ব্লগ থেকেনা আমার দেশ যথেকেও বের করে দেয়া উচিত! বিনা পয়সায় ব্লগিং করতে করতে একজন বিদেশীরও সন্মান রাখতে পারলনা, এমন সব গালি লিখিত ভাষায় প্রকাশ করল মনে হয় বাঙ্গালীদের প্রতি তাঁর মনোভাবই পরিবর্তন হয়ে গেছে গতকাল। ছিঃ, এইবুঝি দেশপ্রেম! একেই কি বলে মুক্তিপ্রেম! এটাকি সকপাপেটের মত আচরণ নয়?

তথাকথিত কমরেডদের সাথে যদি অন্য ব্লগারদের কোনো মতবিরোধ হয় তবেই তার নাম হয়ে যায় রাজাকার। একটু উদাহারণ দেই, ২৩/২৪ বছরের এক মেয়ে। ব্লগ লিখতে গিয়ে একদিন বলল , " আমি ভাত খাই"। সেইখানে এক কমরেড নামধারি ছাগল আসিয়া বলিল( সে নিজেকে নিজেই কমরেড কমরেড বলিয়া চিল্লায়, আদতে সে ছিল এক নামকরা ছাগল) , " তুই ভাত খাস! আমরাতো রুটি খাই, এখন থেকে তুই বলবি , আমি রুটি খাই।" কিন্তু সেই বালিকা যেহেতু অন্যের কাছে মাথা বেঁচে নাই সেহেতু সে বলল, "আমি ভাত খাই।" এইনা দেখিয়া কমরেডেরা খেপিয়া গিয়া বলিল," তুই আমাদের কথা অমান্য করলি? তুই রাজাকার। তোকে আমরা গনধর্ষন করব।" দলে দলে একজনের অসংখ্য নিক দিয়ে অকথ্য আর অশ্রাব্য ভাসায় গালি চলতে থাকল। আসলে সেই মেয়েব্লগারটির ভাত খাইতে চাওয়ার সাথে রাজাকার বা মুক্তিযুদ্ধের অসন্মানের কোনো লিংকই ছিলনা। পাঠক, এইবার আপনারা বুইঝা লন এইখানে কমরেড কারা আর কি তাদের উদ্দেশ্য!

কেউ যদি নিজ দোষে একবার বেশ অনেকদিনের জন্য ব্যান খেয়ে মনের মধ্যে পুষে রাখে ক্ষোভ আর বলে যেকোনো ছলে বলে কৌশলে ব্লগটাকে অস্থীর করব, আমাকে ব্যান করে দেবার মজা দেখাব, তখনই সে কেবল অন্য ব্লগ সাইটের বিজ্ঞাপন দিতে পারে এই ব্লগে , তখনই সে একপক্ষকে রাজাকার আর নিজ পক্ষকে মুক্তিযুড্ধের পক্ষধারি বলে সেফ সাইডে থাকতে পারে এবং সেইফ সাইডে থেকে ব্লগ অস্থির করতে পারে। কিন্তু ধরা পড়ে যাওয়াতে এখন কমরেড নামধারন করে আর ব্যান খাওয়াকে শহীদ হওয়া বলে চালিয়ে দিচ্ছে! শহীদ হওয়া তাহলে এত সহজ! ব্যান করাটাকে বলা হচ্ছে শহীদ হয়েছেন! এটা কি শহীদদের প্রতি অসন্মান দেখানো নয়? যারা নিজ জীবনের মায়া তুচ্ছ করে দেশের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তাদের সাথেকি গালিবাজের গালি বন্ধ করে দেয়ার তুলনা চলে? একজন গালিবাজকে নিষিদ্ধ করার মানে কি তাকে শহীদ করা? পাঠক এবারও দেখুন কি তাদের উদ্দেশ্য!

পরিশেষে বলব, যাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ে হয়েছে তাদের প্রতি আগে যথেষ্ট সহনশীলতা দেখানো হয়েছে। ফ্লাডিং করা পোষ্ট মুছতে মুছতে আরিল নিজেই হাঁপিয়ে উঠেছিল পরশুদিন, তারপর নেয়া হয়েছে আ্যকশন কিন্তু কাউকে রাজাকার প্রমানিত করতে পারে অথবা মুক্তিযুদ্ধকে অসন্মান করা কোনো পোষ্ট খুঁজে পায়নি। এখন যারা ব্যান হয়ে যাওয়া নষ্ট ব্লগারদের আনব্যান করার দাবী জানাচ্ছেন তাদের যুক্তি কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা বিবেচনা করার দাবী জানচ্ছি। যারা কী-বোর্ডে হাত দেবনা, ব্লগ টিকতে দেবনা এইসব হুমকি ধামকি দিচ্ছেন তাদের বলছি এতে কোনো কাজ হবেনা। আইন সবার জন্যই সমান, সকপাপেটদের জন্যও একই যদিও তাদের জন্য আরও কঠোর হবার দরকার ছিল। আনব্যান করা হোক, দাবী জানাই, ব্লগ ধ্বংস করা হবে এবং একই বিষয়ের উপর যারা বারবার পোষ্ট দিয়ে প্রথম পাতাকে কলুষিত করছেন তাদেরকে আবারও ব্যান করা হোক নইলে অনেক দেরী হয়ে যাবে ব্লগের পরিবেশ সুন্দর করতে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৮:০৪
২৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ট্রাম্প ভাইয়ের প্রেসিডেন্সিয়াল টিমের সদস্য এর মধ্যে এই তিন জন সদস্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

লিখেছেন অতনু কুমার সেন , ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৮

প্রথম জন হলো: জেডি ভান্স, উনি মেবি ভাইস প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। ভদ্রলোকের বউ আবার ইন্ডিয়ান হিন্দু। ওনার নাম উষা ভান্স। পেশায় তিনি একজন অ্যাডভোকেট।

দ্বিতীয় জন হলো বিবেক রামাস্বামী। এই ভদ্রলোক আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২



বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসল 'আয়না ঘর' থাকতে রেপ্লিকা 'আয়না ঘর ' তৈরির প্রয়োজন নেই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩৮


স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ৫ই আগস্ট সর্বস্তরের জনতা রাস্তায় নেমে এসে। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসন আমলে অসংখ্য মানুষ কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯






ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×