somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বজলু মহাজনের তিতা কথা!

১৮ ই নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্লগে আইসা কত কি দেখুম! মানুষ মইরা যাইতাছে আর একেকজনে লইয়া আইছে অমুক সাহায্য আর তমুক সাহায্যের কথা। কেউ কেউ ব্যানার ফেষ্টুন লইয়া মরতাছে। কে মরে কার রঙ্গে আর কানি মরে চৌক্ষের রঙ্গে! এইসব ঢেঁকিগো লইয়া যে কই যামু! কোনো কোনো ঢেঁকি পোষ্টের পর পোষ্ট দিয়া ভাসাইয়া ফালাইতাছে রেড ক্রীসেন্ট আর হমুক তমুকের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর লাইগা। আরে বেটা, যেই লোক ব্লগ পড়তে আইছে, লেখতে আইছে হেই লোকে কি জানেনা কেমনে সাহায্য করন লাগব? যারা বিদেশে আছে হেরা যে যার বাড়িতে সাথে সাথে বাড়তি কিছু টাকা পাঠাইয়া দিলেইতো হয়। সাহায্য করনের সঠিক ইচ্ছা থাকলে আর অন্যের লাইগা বইয়া থাকতে হয়না।
যারা মরছে তারাতো মরছেই, হেগো লইয়া আর ফালাফালি না কইরা যারা বাইচ্যা রইছে হেগো লাইগা ভাবনের টাইমকি এহনও হয়নাই? এহনওকি স্বজন হারা মানুষগুলানের লাইগা হাতে কইরা কিছু লইয়া যাবার সময় হয়নাই? এহনওকি বইয়্যা থাকতে হইব রেডক্রিসেন্টের ঠিকানার লাইগা? আমারতো মনে হয় ব্লগের কোনো শালাই এহন পর্যন্ত রেডক্রীসেন্টের মাধ্যমে টাকা পাঠাইনাইকা। ওরাতো নিজেগো এলাকা আর আশেপাশের এলাকার মানুষগুলানের জন্য নিজেরাই ব্যাক্তিগতভাবে টাকা পাঠাইতে পারে।প্রথমদিন থেইকাই আমরা সব বন্ধুবান্ধব সহ নিজের ফ্যামিলির কাছে কিছু কিছু টাকা পাঠাইয়া দিছি যার যার গ্রামের মানুষগুলানরে নিজ হাতে ঘরবাড়ি তুইলা দেওনের টাকার লাইগা। আমার এক ডাক্তার বন্ধু ওর ভাইয়েরে কইছে নিজেগো ফার্মেসি থেইকা বিনামূল্যে পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট আর স্যালাইন দিতে।
এইভাবে যদি মানুষ সবাই যার যা কিছু আছে তা নিয়া ঝাপাইয়া পড়ে তাইলে আর এই দূর্যোগ কাটাইয়া উঠতে বেশিদিন সময় লাগব না। অসহায়, প্রিয়জনের মৃত্যুতে পাথর হয়ে যাওয়া মানুষগুলানের মুখে অন্তত একটু হাসি ফুটানো যাইব। কিন্তু তা না কইরা আমরা ব্লগবাসী একজনের পিছনে আরেকজন লাইগাই রইছি আর কার চাইতে কার আইডিয়া বেশি সেইটা নিয়াই ভাবতাছি। হায়রে হারামখোরের দল! কার পোষ্ট টপে উঠব, কে বেশি দুর্গতগো লাইগা পোষ্ট দিছে , কার কথায় ধার বেশি, কে জামাতি কে ছাগললীগ এইসব নিয়াই বেশি বাড়াবাড়ি চলতাছে! বিপক্ষের কোনো ব্লগার ভাল কোনো কতা কইলেও তাতে যতই দুস্থদের জন্য ভালো কাজ থাকব,হেইডা হেরা মানতে রাজীনা । নিজে যা বুঝুম , নিজে যা করুম হেইডাও হেগো কাছে বেস্ট! আর বাকিসব বরাহনন্দন আর হরিদাশ পাল। বলি ঐসব বাইড়াইয়া আর কতকাল? এইবার একটু দ্যাশের দিকে নজর দাও। তোমরাযে কত ছিড়ু হেইডা তোমাগো আচরণ দেখলেই জানা যায়। যেই লোক সত্যিকারের উপকারের ইচ্ছা পোষন করে হেই লোক এত বকর বকর করেনা যে অমুকের আইডিয়া খারাপ, তমুকের কমেন্ট সব নাশ কইরা দিল, তমুক আছিল রাজাকার হের কতা হুনোন যাইবনা, অমুকের চৌদ্দগুষ্টি নাস্তীক হের সাহায্য লওন যাইব না। কই, ফিল্ডে নাইমা শালারা কার কোন উপকার করছত ক দেহি। এহানে আইয়্যা জনদরদী মারাও। এত করলাম সেত করলাম!

এহনও সময় আছে ভালো হইয়্যা যা। সত্যিকারের ভালবাস দেশেরে। হেই ভালবাসা দেখানোর লাইগা কাউরে রাজাকার আর কাউরে ভন্ড মুক্তিযোদ্ধাও কওন লাগব না। দেশ তোগো থেইকা এইডা আশা করেনা। দ্যাশ অহন চায় খাওন, পড়ন আর ঔষধ। লোক দেখানো পিড়িতীতে বজলু মহাজন মুতে!
৮৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ট্রাম্প ভাইয়ের প্রেসিডেন্সিয়াল টিমের সদস্য এর মধ্যে এই তিন জন সদস্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

লিখেছেন অতনু কুমার সেন , ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৮

প্রথম জন হলো: জেডি ভান্স, উনি মেবি ভাইস প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। ভদ্রলোকের বউ আবার ইন্ডিয়ান হিন্দু। ওনার নাম উষা ভান্স। পেশায় তিনি একজন অ্যাডভোকেট।

দ্বিতীয় জন হলো বিবেক রামাস্বামী। এই ভদ্রলোক আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২



বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসল 'আয়না ঘর' থাকতে রেপ্লিকা 'আয়না ঘর ' তৈরির প্রয়োজন নেই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩৮


স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ৫ই আগস্ট সর্বস্তরের জনতা রাস্তায় নেমে এসে। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসন আমলে অসংখ্য মানুষ কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯






ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×