২১. নিবিড় করে পাওয়ার সুখ বাঙালি নিতে জানে না বলেই সবসময় একটা দূরুত্ব রাখতে চায়। অথচ বাঙালির আকাঙ্খার শেষ নেই।
২২. মুখের ওপর মনের কথা স্পষ্ট উচ্চারণ না করলে দুঃখগুলো দূরে থাকে।
২৩. মানুষ বড় দুঃখের সঙ্গী চায়, কিন্তু অপমান হজম করতে হয় একা, নিজের মতন করে।
২৪. বেপরোয়া নিয়ম না মানা একগুঁয়ে পুরুষকে দূর থেকে পছন্দ করা যায় কিন্তু কাছে গেলে জ্বলে-পুড়ে মরতে হয়।
২৫. উনিশ-কুড়ি বছরের একটি ভালো ব্যবহার করা ছেলের প্রতি সব মেয়েই বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করে।
২৬. মানুষ যখন কোন কিছুকে মরীয়া হয়ে আঁকড়ে ধরে তখন তার ওপর প্রচন্ড নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। কিন্তু কোন কারণে অকৃতকার্য হলে সে যে দিশেহারা হয়ে যায় তা থেকে নতুন করে উঠে দাঁড়ানো অসম্ভব।
২৭. জীবন কখনোই একটা জায়গায় সমানভাবে বয়ে যায় না।
২৮. কারো কাছ থেকে কোনও সুবিধে নিলে তাকে সীমানার বাইরে বেরিয়ে আসতে পরোক্ষভাবে উৎসাহিত করা হয়।
২৯. বিপদ মানুষের ব্যবধান কমিয়ে দেয়।
৩০. মানুষ মরে গেলেই যদি তার সমস্ত আকাক্ষার শেষ তাহলে এখন কিছুই বলার নেই। কিন্তু মরে যাওয়া মানুষ জীবিতদের মনে যে প্রতিক্রিয়া রেখে যায় তার দায় বইতে হয় অনেকদিন, কারো কারো ক্ষেত্রে সারাজীবন।
৩১. সময় মানুষের শরীর এবং জীবন থেকে যত দ্রুত সব কিছু কেড়ে নিতে পারে প্রকৃতির ক্ষেত্রে বোধহয় সেরকম সফল হয় না।
৩২. আচ্ছা, অতীত কেন উদার হতে পারে না! কেন সে এমনভাবে রক্তাক্ত করে চলে সমানে!
৩৩. একটা নির্দিষ্ট সীমার বাইরে যেমন যাওয়া যায় না তেমনি সেই সীমার এপারে কাউকে আসতে না দিতেও চেষ্টা করতে হয়।
৩৪. পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ আলাদা আলাদা অভাববোধ এবং তা থেকে জাত দুঃখ নিয়ে বেঁচে থাকে। জীবন তাদের যতই শিক্ষা দিক তাদের মন তা মানতে চায় না। সে মনে করে তার সমস্যা কেউ বুঝতে পারবে না, তার মত অশান্তিতে কেউ নাই। এই যে নিজেকে আলাদা করে ভাবার চেষ্টা এটা তাকে একধরনের সুখ দেয়। অথচ পৃথিবীর মানুষেরা কেউ তার নিজের জায়গায় সুখী নয়।
৩৫. একটা বিষয়ে সর্বস্ব হয়ে যাওয়া মানুষ কোন কিছুর সাথেই আপোষ করে না। এমন কি তার একটি আবেগের সাথে অন্য আবেগেরও না।
৩৬. ভন্ড গুরু আর রাজনীতিকরা সমান অপরাধী।
৩৭. ঈশ্বর যদি মানুষকে অন্তত একদিনের জন্য অন্যের মনের কথা পড়ার ক্ষমতা ক্ষমতা দিতেন তাহলে নব্বইভাগ মানুষ কেউ কারো সঙ্গে থাকতে পারতো না।
৩৮. চরিত্রহীন বলতে শরৎচন্দ্র কি বুঝাতে চেয়েছেন জানি না, অভিধানে লম্পট বা মন্দ চরিত্র বলা হয়েছে কিন্তু এ নিয়ে বিতর্ক উঠতেই পারে। আমার কাছে চরিত্রহীন শব্দের অর্থ, যে কথা দিয়ে কথা রাখে না।
৩৯. কোন মানুষ ঘুমালে খুব অসহায় দেখায়, কাউকে বীভৎস। যেহেতু ওই সময়ে তার কিছুই করার থাকে না তাই অন্য চেহারাটা বেরিয়ে আসে খোলস ছেড়ে। ঘুমন্ত শিশুর মুখ দেখতে যে আরাম তা কখনেই জ্ঞানবৃক্ষের ফল খাওয়া ঘুমন্ত মানুষের মুখ দেখে পাওয়া যাবে না।
৪০. যে মানুষের অপমানবোধ প্রবল তার পক্ষে পৃথিবীতে বাস করাই অসম্ভব। সব কিছু গায়ে মাখলে আত্মহত্যা করে পৃথিবী থেকে সরে যেতে হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫০