somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীর জেরা: ১৯৭১ সালে সাক্ষীর বয়স ছিল ১২ বছর। না পড়লে Miss করবেন...

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির বিশিষ্ট আলেম মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্যদানকারী প্রথম সাক্ষী মাহবুবুল আলম হাওলাদারের বয়স ১৯৭১ সালে ছিল ১২ বছর। গতকাল মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীর জেরার জবাবে তিনি জানান, এসএসসির নিবন্ধনে তার জন্মতারিখ ২০ মার্চ ১৯৫৯ সাল। অথচ গত সাত নভেম্বর আদালতে দেয়া সাক্ষ্যে তিনি তার বয়স উল্লেখ করেছিলেন ৬০ বছর। সে হিসেবে ১৯৭১ সালে তার বয়স হওয়ার কথা ২০ বছর এবং জন্ম তারিখ হওয়ার কথা ১৯৫১। কিন' এসএসসি নিবন্ধন অনুযায়ী ১৯৭১ সালে তার বয়স ছিল ১২ বছর।
জন্মসাল ১৯৫৯ হওয়ার বিষয়ে মাহবুবুল আলম জেরার সময় বলেন, লেখাপড়ার ক্ষেত্রে বয়স এরকম হতে পারে। তিনি এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তবে পাস করতে পারেননি বলে জানান। তার প্রথম স্ত্রী ফিরোজা বেগমের দায়ের করা যৌতুক মামলায় তিনি হাজত বাস করেছেন এবং একটি চুরির মামলায় জেল খাটার কথাও তিনি আদালতে স্বীকার করেন জেরার সময়। প্রথম স্ত্রীর যৌতুক মামলা বিষয়ে মাহবুবুল আলম বলেন, সেটা ছিল একটি ষড়যন্ত্র মামলা এবং বর্তমানে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে আছেন। চুরির মামলায় সাজা ভোগের বিষয়ে তিনি জানান, সুভাষ চন্দ্র নামের এক লোক তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছিলেন। তিনি যে ওই মামলায় আরো কয়েকজনের সাথে আসামি তা জানতেন না। পরে ওই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বলে জানান।
চুরির মামলায় রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে হাজির ছিলেন কি না- আইনজীবীর এ প্রশ্নের পর আদালত বলেন, মামলা থেকে খালাস পাওয়ার পর আর কিছু থাকে না, তাই এ নিয়ে আর প্রশ্ন করার দরকার নেই। তখন মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম বলেন, রায়ের দিন আদালতে হাজির থাকা এবং রায়ের পর জেলে পাঠানোর ভিন্ন মানে আছে। সাজা হয়েছিল বিধায়ই তো খালাসের প্রশ্ন আসে।
এ ছাড়া স্ত্রীর দেয়া যৌতুক মামলা বিষয়ে জেরার সময় আদালত ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটির ক্ষেত্রে আপত্তি জানালে মাওলানা সাঈদীর অপর আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, যে ব্যক্তি স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি করেন সে তো আরো অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে অনেক কিছু করতে পারেন। যৌতুক দাবি একটি ফৌজদারি অপরাধ অথচ মাহবুবুল আলম সে রকম অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন। কাজেই এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা অপরিহার্য। এ সময় মাওলানা সাঈদীর অপর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম বলেন, আমার মক্কেল আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে তিনি অনেক অভিযোগ এনেছেন। কিন' তিনি নিজে কোন ধরনের লোক, তার চরিত্র কি রকম সেটা জানা অবশ্যই দরকার।
তখন আদালত এ বিষয়ে জেরার অনুমতি দেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আপত্তি সত্ত্বেও।
মাহবুবুল আলম প্রথম দিন সাক্ষ্যে তিনি গোটা পিরোজপুর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা গোয়েন্দা ছিলেন বলে দাবি করলেও গতকালের জেরায় তিনি পিরোজপুরের রাজাকার কমান্ডার কে ছিলেন তা বলতে পারেননি। পিরোজপুর সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি কে ছিলেন তাও বলতে পারেননি। জেরাকালে তিনি স্বীকার করেছেন জিয়ানগরে রাজাকার, আলবদর, আলশামসের কোনো লোক ছিল না।
স্বাধীনতার পর দালাল আইনে পিরোজপুর এলাকায় হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে তিন শতাধিক লোকের বিরুদ্ধে মামলা হলেও সে বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি। তিনি সে সময় মাওলানা সঈদীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা, জিডি বা কোথাও কোনো অভিযোগ করেননি বলে স্বীকার করেন। তা ছাড়া স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের শাসনামল, এরপর এরশাদের শাসনামল এবং তারপরে আবার ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনামলেও তিনি মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি। ২০০৯ সালে তিনি কার দ্বারা প্ররোচিত হয়ে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলা করেন এ প্রশ্নের জবাবে মাহবুবুল আলম বলেন, তিনি নিজ উদ্যোগে মামলা করেছেন।
গত ৭ নভেম্বর সাক্ষী মাহবুবুল আলম আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে বলেছিলেন, ২ জুন সকাল আনুমানিক ১০টায় পারেরহাট শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনী উমেদপুর গ্রামে হিন্দু পাড়ায় আক্রমণ চালায়। এ সময় বিশাবালী অসুস' থাকায় তাকে ধরে ফেলে এবং একটি নারিকেল গাছের সাথে বেঁধে মারধর করে রাজাকার ও শান্তি কমিটির লোকজন। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নির্দেশক্রমে তারা বলে যে, ওটাকে যখন পেয়েছি ওটাকে গুলি করো। জনৈক রাজাকার গুলি করে বিশাবালীকে হত্যা করে।
কিন' গতকাল মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম আদালতে দাখিলকৃত রাষ্ট্রপক্ষের তদন্ত সংস'ার ডকুমেন্ট উল্লেখ করে বলেন, ডকুমেন্টে লেখা আছে বিশাবালীকে উমেদপুরে নারিকেল গাছের সাথে বেঁধে নয় বরং পিরোজপুর বলেশ্বর নদীর খেয়াঘাটে গুলি করে হত্যা করার কথা বলা আছে।
গতকাল তৃতীয় দিনের মতো সাক্ষী মাহবুবুল আলম হাওলাদারকে জেরা করেন মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিকসহ কয়েকজন আইনজীবী।
আইনজীবী : ভলিউম-৩, পৃষ্ঠা ২০৯ এ শান্তি কমিটি কর্তৃক বলেশ্বর নদীতে হত্যার কিছু লোকের একটি তালিকা আপনি দিয়েছেন।
সাক্ষী : হ্যাঁ।
আইনজীবী : বলেশ্বর বেদীই বলেশ্বর নদীর পুরনো খেয়াঘাট নামে পরিচিত।
সাক্ষী : হ্যাঁ।
আইনজীবী : উমেদপুর থেকে খেয়াঘাটের দূরত্ব কত?
সাক্ষী : সাড়ে পাঁচ মাইল।
আইনজীবী : তালিকায় ২৬ জনকে হত্যার যে তালিকা দিয়েছেন তাদের সবাইকে কি খেয়াঘাটে হত্যা করা হয়?
সাক্ষী : না।
আইনজীবী : তাহলে তাদের সবার নাম এখানে কেন দিলেন?
সাক্ষী : মন্ত্রণালয় থেকে চাওয়ার প্রেক্ষিতে তাদের মৃত্যু এক জায়গায় না হওয়া সত্ত্বেও মোট মৃত্যুর সংখ্যা বোঝানোর জন্য শুধু বেদীর কথা উল্লেখ করেছি।
আইনজীবী : তালিকায় সব শেষে উল্লেখকৃত ব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়ে পৃথক বর্ণনা আছে। ইব্রাহিম কুট্টি, পিতা মৃত গফুর শেখ, গ্রাম বাদুরা, পিরোজপুর। তার শ্বশুরবাড়ি পারেরহাট। হোগলাবুনিয়া থেকে তাকে ধরে এনে পারেরহাট বন্দরের পুলের নিকট খালের পাড়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।
সাক্ষী : বর্ণনা আছে।
জেরার এ পর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা হলে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আদালতে বিতর্ক চলে চার্জশিটের বিষয়বস' থেকে প্রশ্ন করা যাবে কি না। মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম বলেন, তারা এ ডকুমেন্ট আদালতে জমা দিয়েছেন, এগুলোর ওপর তারা নির্ভর করেন বিধায় এর ভিত্তিতে আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করা হয়েছে এবং আপনারা তা আমলে নিয়েছেন। সাক্ষী নিজের হাতে স্বাক্ষর করে এসব ডকুমেন্ট তদন্ত সংস'ার কাছে জমা দিয়েছেন। এসব তথ্যই আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। কাজেই চার্জশিটের সব ডকুমেন্ট থেকে প্রশ্ন করা যাবে। আদালত তখন তার সাথে একমত পোষণ করেন এবং চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা এগুলো জমা দিয়েছেন। কাজেই এর ওপর তারা ক্রস চেক করতে পারবেন না ইট ডাজ নট সাউন্ড গুড (এটা ভালো শোনাচ্ছে না)।
তখন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, বিষয়বস' নিয়ে প্রশ্ন করতে পারবেন। কিন' কখন এবং কাকে প্রশ্ন করা হবে সেটা নিয়েই আমাদের আপত্তি।
প্রত্যুত্তরে মিজানুল ইসলাম বলেন, যে সাক্ষী এটা জমা দিয়েছেন তাকে যদি জিজ্ঞেস করা না হয় তাহলে আর কাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হবে। তিনি যখন ডকে থাকবেন তখনই তো জিজ্ঞেস করা হবে।
এভাবে এক ঘণ্টারও বেশি সময় যুক্তিতর্কের পর আদালত বলেন, বিষয়বস' আনা যাবে না। তার পরও মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীদের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হলে আদালত বলেন, যে বিষয়বস'র ওপর প্রশ্ন করা যাবে না তা আমলেও নেবে না আদালত।
এরপর অ্যাডভোকেট মিজানুল হক মুলতবির আবেদন করেন। কিন' আদালত জেরা অব্যাহত রাখার আদেশ দিলে আবার জেরা শুরু হয়।
আইনজীবী : আপনার লেখাপড়া বিষয়ে বলেন।
সাক্ষী : এসএসসি পাস করিনি, তবে পরীক্ষা দিয়েছিলাম।
আইনজীবী : পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত কোন স্কুলে পড়েছেন?
সাক্ষী : উমেদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
আইনজীবী : এরপর পারেরহাট রাজলক্ষ্মী উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি হন ষষ্ঠ শ্রেণীতে?
সাক্ষী : জি।
আইনজীবী : ওই স্কুলে আপনি এসএসসির নিবন্ধন করেননি?
সাক্ষী : জি।
আইনজীবী : এসএসসি নিবন্ধন করেছেন বালিপাড়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে?
সাক্ষী : হ্যাঁ।
আইনজীবী : ওই নিবন্ধনে আপনার জন্মতারিখ লেখা আছে ২০ মার্চ ১৯৫৯ সাল?
সাক্ষী : জি। লেখাপড়ার বেলায় হতে পারে।
আইনজীবী : ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট পর্যন্ত আল্লামা সাঈদী পিরোজপুরের কোনো এমপি, উপজেলা বা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বার ছিলেন না।
সাক্ষী : না, ছিলেন না। তিনি তখন সাধারণ ব্যক্তি ছিলেন।
আইনজীবী : ওই সময় রাজাকার, পিস কমিটি কর্তৃক হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অপরাধের বিচারের জন্য দালাল আইনে মামলা হয় তা কি জানেন?
সাক্ষী : জি।
আইনজীবী : পিরোজপুরে ওই সময় তিন শতাধিক লোকের বিরুদ্ধে মামলা হয় দালাল আইনে জানেন?
সাক্ষী : আমি সংখ্যা জানি না।
আইনজীবী : আপনি ওই সময় সাঈদীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা জিডি বা অন্য কোথাও কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি?
সাক্ষী : না করি নাই।
আইনজীবী : এরশাদের শাসনামল এবং ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনামলের সময়ও আপনি কোথাও কোনো মামলা, জিডি বা লিখিত অভিযোগ করেননি মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে- এ কথা সত্য?
সাক্ষী : সত্য।
আইনজীবী : ১৯৯২ সালে যে গণআদালত হয় সেখানেও আপনি কোনো অভিযোগ করেননি।
সাক্ষী : না করি নাই।
আইনজীবী : ১৯৯৪ সালে যে গণতদন্ত কমিশন হয় সেখানে আপনি কোনো অভিযোগ করেননি বা সাক্ষী দেননি।
সাক্ষী : আমার কাছে চেয়েছিল কিন' আমি কোনো অভিযোগ করিনি বা সাক্ষী দেইনি।
আইনজীবী : ২০০৯ সালে পিরোজপুর আদালতে মামলা করেন কার দ্বারা উৎসাহিত হয়ে?
সাক্ষী : নিজ উদ্যোগে।
আইনজীবী : এই মামলার আগে আল্লামা সাঈদীকে সরকার বিদেশ যেতে বাধা দেয় তা কি জানেন?
সাক্ষী : জানা নেই।
আইনজীবী : সরকারের বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে আল্লামা সাঈদী রিট পিটিশন দায়ের করেন এবং তাতে আদালত আল্লামা সাঈদীর পক্ষে রায় দিয়েছিলেন তা কি জানেন?
সাক্ষী : জানা নেই।
আইনজীবী : সরকার আবার ওই আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছিলেন এবং এর শুনানিতেই অ্যাটর্নি জেনালের বলেছিলেন মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে। তা কি জানেন?
সাক্ষী : না জানা নেই।
আইনজীবী : এরপরই আপনি সরকারের নির্দেশে পিরোজপুর আদালতে মামলা করেন?
সাক্ষী : সত্য নয়।
আইনজীবী : ওই মামলায় আপনি আল্লামা সাঈদীর নাম মওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী লেখেন। সাঈদী কথাটির আগে ‘বর্তমানে’ শব্দটি যোগ করেননি। (সাত নভেম্বর সাক্ষ্যদানের সময় মাহবুবুল আলম মাওলানা সাঈদীর নাম ‘দেলাওয়ার হোসাইন বর্তমানে সাঈদী’ এভাবে বলেছিলেন বার বার।)
সাক্ষী : হতে পারে।
আইনজীবী : পিরোজপুর আদালতে আপনি যে দরখাস্ত করেছেন তা স'ানীয় প্রশাসনের সহায়তায় তদন্ত কর্মকর্তা লিখে দেন এবং আপনি শুধুমাত্র সই করেন- এ কথা কি সত্য?
সাক্ষী : সত্য নয়।
আইনজীবী : আপনি বিয়ে করেন কত সালে?
সাক্ষী : ৪/২/১৯৭৩।
আইনজীবী : প্রথম স্ত্রীর নাম?
সাক্ষী : ফিরোজা বেগম।
আইনজীবী : যৌতুকের জন্য প্রথম স্ত্রী পিরোজপুর আদালতে আপনার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন?
সাক্ষী : আমি তার বিরুদ্ধে প্রথমে একটি মামলা করি। তারপর সে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক যৌতুক মামলা করে। সে মামলায় আমি বর্তমানে জামিনে রয়েছি।
আইনজীবী : আপনার মামলার ফল কি হয়?
সাক্ষী : তালাক এর মাধ্যমে আপস।
আইনজীবী : সুভাষ চন্দ্র হালদারকে চেনেন?
সাক্ষী : হ্যাঁ।
আইনজীবী : তার বাড়িতে চুরির মামলায় আপনার জেল হয়?
সাক্ষী : তার মামলায় আমার অবর্তমানে সাজা হলেও পরে খালাস পাই।
আইনজীবী : রায়ের দিন আদালতে উপসি'ত ছিলেন?
সাক্ষী : খেয়াল নেই।
আইনজীবী : রায়ের দিন আদালতে উপসি'ত ছিলেন এবং জেলে যান?
সাক্ষী : মনে নেই।
আইনজীবী : ১৯৭১ সালে পত্রিকা পড়তেন?
সাক্ষী : না, তেমন একটা না।
আইনজীবী : খুলনা কুষ্টিয়ায় জামায়াতের কে কবে মিটিং করত তা আপনার জানবার কথা নয়?
সাক্ষী : সঠিক তারিখ জানি না।
আইনজীবী : বাংলাদেশে পিস কমিটি কবে হয়?
সাক্ষী : জানা নেই। ২৫ মার্চের পরে।
আইনজীবী : পূর্ব পাকিস্তান পিস কমিটির সভাপতি কে ছিলেন?
সাক্ষী : আমার জানামতে গোলাম আযম।
আইনজীবী : পিরোজপুর পিস কমিটি কবে গঠন হয়?
সাক্ষী : জানা নেই।
আইনজীবী : পিরোজপুর সদরের পিস কমিটির সভাপতি কে ছিলেন?
সাক্ষী : সঠিক বলতে পারব না।
আইনজীবী : মহকুমার সভাপতি কে ছিলেন?
সাক্ষী : আফজাল সাহেব।
আইনজীবী : জিয়ানগরে আলবদর, আলশামস, রাজাকার বাহিনীর কোনো লোক ছিল না।
সাক্ষী : জি।
১৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজকের ডায়েরী- ১৫২

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৯ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৫:২৩



এনসিপি আওয়ামীলীগকে এত ভয় পাচ্ছে কেন?
অলরেডি আওয়ামীলীগের তো কোমর ভেঙ্গে গেছে। তবু রাতদুপুরে এত আন্দোলন কেন? দেশে ১৮/২০ কোটি মানুষ। তারা তো আওয়ামীগকে ভয় পাচ্ছে না। তাহলে এনসিপির এত... ...বাকিটুকু পড়ুন

বৃথা হে সাধনা ধীমান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৯ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:৩২

বৃথা হে সাধনা ধীমান.....

বিএনপি মিডিয়া সেল এর সদস্য সচিব ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানী সকল পত্রিকা কতৃপক্ষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ কর্মসূচি শুরু করেছেন- বিএনপির এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি কি দু’জন ভারতীয়র আচরণ দিয়ে পুরো ভারতকে বিচার করব?

লিখেছেন প্রগতি বিশ্বাস, ০৯ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:৩৬

সাম্প্রতিককালে একটি আন্তর্জাতিক কমিউনিটিতে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার সুযোগ হয়েছে। এই আন্তর্জাতিক কমিউনিটিতে ভারত এবং চীনের জনসংখ্যাগত আনুপাতিক কারণে অংশগ্রহণ বেশি। এই কমিউনিটিতে ভারত, চীন ছাড়াও পাকিস্তান, নেপাল, ইউক্রেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুদ্ধের মঞ্চে রাজনীতির খেলা: জনগণের বেদনা ও শাসকের বিজয়গাথা

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১০ ই মে, ২০২৫ রাত ১২:০৮


দীর্ঘ তিন বছরের কূটনৈতিক আলোচনার পর ৬ মে ভারত ও যুক্তরাজ্য একটি ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি সাক্ষর করে, যা উভয় দেশের অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনীতির অনিশ্চয়তার মাঝে... ...বাকিটুকু পড়ুন

"মা বড় নাকি বউ বড়", প্রসঙ্গ এএসপি পলাশ সাহার মৃত্যু

লিখেছেন সোহানী, ১০ ই মে, ২০২৫ সকাল ৭:৫৮



এএসপি পলাশ সাহার আত্মহত্যা নিয়ে অনলাইন গরম। কেউ মা'কে দোষারোপ করছে কেউ বউকে। আর কেউ অভাগা পলাশকে দোষ দিচ্ছে। অনেকটা শাবানা জসিমের বাংলা ছবির মতো, "মা বড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×