ঢাকা: বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান পদে থাকার বৈধতা নিয়ে করা আবেদনের শুনানি চলছে।
বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির ও বিচারপতি একেএম জহির আহমেদ এ শুনানি শুনছেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা ও যুদ্ধাপরাধে আটক দেলওয়ার হোসেন সাঈদী গত ২৭ অক্টোবর এ রিটটি করেন।
উল্লেখ্য, শুনানিতে অংশ নিতে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসেছেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও জামায়াতের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবীর সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম বদরুদ্দোজা।
এদের মধ্যে মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ও অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন তাদের শুনানি শেষ করেছেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী অ্যাডভকেট সৈয়দ হায়দার আলী শুনানিতে অংশ নেন।
এখন মধ্যহ্নভোজের বিরতি চলছে। দুপুর ২টায় আবার শুনানি শুরু হবে।
শুনানির পর ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৯৪ সালে যে গণতদন্ত কমিশন হয়েছিল, সেই কমিশনের তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন আজকের ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিজামুল হক। একজন তদন্ত কর্মকর্তা বিচারক হিসেবে কখনো নিরপেক্ষ বিচার করতে পারেন না। তাই নিজের ও আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের মর্যাদা রক্ষায় তার উচিত হবে পদত্যাগ করা। এতো কিছুর পরও তিনি যদি তার কাজ চালিয়ে যান তাহলে বিষয়টি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে তুলে ধরা যায়।
সরকার যখন তাকে নিয়োগ দিয়েছিলো তখন আপনারা বিষয়টি নিয়ে কথা বলেননি কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার এ নিয়োগ নিয়ে কোনো বিবেচনা করেনি। তাদের উচিত ছিলো তা বিবেচনা করা। তাছাড়া সরকার যদি না জেনে এ নিয়োগ দিয়ে থাকে তাহলে এখন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।