চলতি মাস পরেই বিজয়ের মাস। বহু ত্যাগের ফসল এই বিজয়ের মাস বছর ঘুরে এলে অামরা একটু বেশী অাবেগী হই। কারন এমাসকে ঘিরে অাছে অানন্দ, বেদনার বহু কাহন। পেমিকা নেড়ে'চেড়ে দেখেন যোদ্ধা প্রেমিকের রক্তে ভেজা চিঠি। মা বুকে চেপে ধরেন সন্তানের রক্তাক্ত জামা। বোন কাদেন শহীদ ভাই'র জন্য। ভাই অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন দানবদের অত্যাচার চিহ্ন বয়েবেড়ান প্রিয় বোনটির দিকে। সবমিলিয়ে এমাসটি বাংলাদেশীদের জন্য খুবই স্পর্শ কাতর একটি মাস। অাবেগে উন্মাদ হওয়ার মাস। অথচ কি বললেন জামাতী নেতা মুজাহীদ!
বাংলাদেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নেই, ছিলনা!!!
এমন একটি কথা বলার সাহস তিনি কোথায় পেলেন?
এই ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য করার জন্য কেন বেছে নিলেন এই সময়টা?
এটাকি তাদের পূর্বপরিকল্পনা হীন একটা সাধারণ বক্তব্য!
অামার কাছে তা মনে হয়নি। অন্তত বিজয়ের মাসের অাগ দিয়ে এমন একটা উস্কানী মূলক কথা বলার মতো বাজনীতিক জামাতীরা নয়।
অামার মনে হয়েছে তাদেরকে দিয়ে ঠিক এই মুহুতে কথাটা বলান হয়েছে। একটি মহল বলিয়েছে বিশেষ উদ্দেশ্যে। কারন বাংলাদেশে এই একটি মাত্র বিষয় অাছে যা নিয়ে কটু মন্তব্য করলে দেশের সকল মানুষ রুখে দাড়াবে। সর্বস্তরের মানুষ প্রতিবাদ মূখর হবে।
হতে পারে বর্তমানের ক্ষমতাসীনরা জামাতকে দিয়ে একাজটা করিয়েছে। দেশের পরিকল্পিত বিশৃক্ষলা সৃষ্টির জন্য। তাতে দুটি কাজ হবে, সাধারণ মানুষের দৃষ্টি দ্রব্যমূল্যসহ তাদের বিভিন্ন ব্যর্থতা থেকে অন্যদিকে প্রবাহিত করা যাবে। এবং সেনাপ্রধানের টুপি পরার একটা ক্ষেত্র তৈরী করা যাবে। যা সম্ভব হয়নি ছাত্র বিস্ফরন ঘটিয়ে বা প্রথম অালো ও ২০০০ কে ইস্যু করে।
দৃশ্যত বাংলাদেশের রাজনীতিতে গত ৬ বছর যাবত সিঅাই'র সবচেয়ে অাস্থা ভাজন রাজনৈতিক দল জামায়াত!
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা নভেম্বর, ২০০৭ ভোর ৫:১৩