পৃথিবী হল সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহগুলোর মধ্যে বসবসবাসযোগ্য একমাত্র গ্রহ। এখানে বিচিত্র ধরনের প্রাণির বসবাস। তাই প্রজাতিভেদে এসব প্রাণির আচার-আচরণও বিচিত্র ধরনের, এদের জীবনপ্রণালী যেমন অদ্ভুত তেমনি অনেকেই পরিবেশ বিবর্তনের ফলে জীবনধারনের তাগিদেই অর্জন করেছে অদ্ভুত অদ্ভুত সব বৈশিষ্ট্য। মানুষের যেমন জানার শেষ নেই, তেমনি তাদের কৌতুহলেরও অন্ত নেই। তাই তাদের জন্য বিশেষ কয়েকটি প্রাণির অদ্ভুত কিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো এই লেখাতে।
১. এক্স-রে মাছ নামে এক ধরণের মাছ আছে যাদের মাংশপেশী অতি স্বচ্ছ। দেখলে মনে হয় যেন অ্যাকুরিয়ামে একটা কঙ্কাল ভেসে বেড়াচ্ছে।
২. সাপ জিহ্বা দিয়ে গন্ধ শোঁকে, আর কোনো কর্ণেন্দ্রিয় না থাকা সত্ত্বেও এরা ফুসফুসের সাহায্যে কিছু কিছু শব্দ শুনতে পারে।
৩. দক্ষিণ মেরুর এক প্রকার মাছের রক্তে লোহিত কণিকা না থাকায় এদের রক্ত লাল নয়, সাদা হয়।
৪. বাদুড়ের পায়ের হাড্ডি এতটাই নরম যে, এরা হাঁটতে পারে না।
৫. একটা হাতি প্রায় ৩ মাইল দূর থেকে পানির গন্ধ পায়।
৬. একটি জিরাফের বাচ্চা জন্মানোর সময় প্রায় ৫ ফিট উপর থেকে মাটিতে পড়ে, কিন্তু অধিকাংশ সময়ই এরা ব্যাথা পায় না বা আহত হয় না।
৭. মাছের চোখে কোন পর্দা নেই বলে এরা চোখ খুলে ঘুমায়।
৮. শ্বেত ভালুক কোনোরকম বিশ্রাম না নিয়ে একটানা ৬০ মাইল পর্যন্ত সাঁতার কাটতে পারে।
৯. তিমি-তিমিনী শব্দতরঙ্গের মাধ্যমে কয়েক শত কিলোমিটার দূর থেকে পরস্পরের সাথে বাক-বিনিময় করে।
১০. মশারা নীল রঙের প্রতি খুব দুর্বল। ঘরের বাতি নীল রঙের হলে মশার সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে।
১১. একটি অজগর সাপ দেহের কোনো ক্ষতি না করে এক বছরেরও বেশি সময় পর্যন্ত না খেয়ে থাকতে পারে।
১২. গোক্ষুর সাপের বাচ্চা জন্মের সময়ই ফণা তুলে দাঁড়াতে পারে।
১৪. সাপের বহু প্রজাতি ডিম পাড়লেও অ্যানাকোন্ডা কিন্তু ডিম পাড়ে না, সরাসরি বাচ্চা জন্ম দেয়।
১৫. শঙ্খচূড় সাপ ফণা তুলে মানুষ সমান খাড়া হয়ে পূর্ণবয়স্ক মানুষের কপালে দংশন করতে পারে।
ফেসবুক থেকে পাওয়া।