
দেশে থাকতে রান্নাঘরে যাওয়ার তেমন সৌভাগ্য হয়নি। কিন্তু এখানে এসে এসব নিয়ে প্রতিদিন আমার নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হচ্ছে। কখনো হাত কেটে ফেলতেছি ত আবার কখনো হাত পুড়াই ফেলাতেছি। একবার ত পিয়াজ কাটতে গিয়ে হাতের নখ ও সাথে চলে গেছে।পিয়াজ কাটা আমার জন্য দুনিয়ার সবচেয়ে কঠিন কাজ। সারা বছরের কান্না একদিনেই কেদেঁ ফেলি পিয়াজ কাটার সময়। কিন্তু কোনো উপায় নেয়, কারন আমি ছাড়া আম্মু কে সাহায্য করার কেউ নেই। বাসার বড় মেয়ে হলে এই একটাই সমস্যা। মাঝে মাঝে মনে হয় যদি আমি বাসার ছোট মেয়ে হতাম তাইলে কতো ভালো হত

বাসাই যখন কোন মেহমান আসে তখন আমার অবস্থা বেশি খারাপ হয়ে যায়। ওরা পারলে ত ঘরের সব কাজ আমাকে দিয়েই করাই।কিন্তু আমিও কম ফাজিল না। যখন আমার মেজাজ ভাল থাকে না আর কেও যদি আমাকে কিছু করতে বলে তখন আমিও ওই কাজ ঠিকভাবে করিনা।যেমন কেও আমাকে চা করতে বল্লো, তখন আমার যদি ইচ্ছা না থাকে তাইলে আমি এমন চা করি যে আর কোনদিন বলবে না আমাকে চা করে দেওয়ার জন্য

কয়েকদিন আগে নুডলুস রান্না করছিলাম, রান্না করার পর ত আমি নিজেই খেতে পারছিলাম না......কিন্তু আমাকে খেতে হইছে( যাতে বাসার অন্য কেও খেয়ে কিছু বলতে না পারে) ......আর বাসার সবাইকে বলছি অনেক মজা হইছে তাই আমি নিজেই সব খেয়ে ফেলছি....কি বলবো ওই দিনের কথা...অনেক কষ্টে খেতে হয়েছে.........

তখন আমার একটা কবিতা মনে পড়ছিলো বারবার......ছোটবেলায় লিখে রেখেছিলাম......
রাধতে জানি অনেক কিছু আলু, পটল, শিম
লবন ছাড়াও রাধতে পারি তরকারি ও ডিম
হোক না তাতে হলুদ কম কিংবা ডালে পানি
বেশি হলেই ক্ষতি ত নেই রাধতে আমি জানি
চালকুমড়ার তরকারী তে মাছটা থাকে কাচাঁ
মরিচ ছাড়াই করতে পারি ডিমটা পুরো ভাজা
এত কিছুর পরে আমার শেষ হলো যেই রান্না
খেতে বসে অঝোর ধারায় ঝরলো শুধু কান্না
কোন কিছুই হাসিমুখে যায় না মুখে তোলা
ভাত টা যেন ঠান্ডা জলে শক্ত চালের গোলা
এই শিখেছি রান্না আমি? রান্না আমার এই !
গাল ফুলে লাল অভিমানে হারাই কথা খেই
রাধতে জানি বলবো না আর এই ধরেছি কান
শাস্তি হলো, শিক্ষা হলো, রাধার গেলো মান!!!
**** অনেক দিন পর আজকে বাংলা লিখলাম......অনেক ভুল হতে পারে......কেউ হাসবেন না কিন্তু ......

সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০১২ রাত ৯:২৮