বগুড়ায় যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, আল-বদরের তালিকায় জামায়াত নেতা এক ইউপি চেয়ারম্যানের নাম থাকায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ১৯৭১ সালে ওই জামায়াত নেতার বয়স ছিল ৪ বছর ১ মাস ১৬ দিন। গতকাল বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি অবুঝ শিশু ছিলেন। তারপরও নির্বাচনী প্রতিপক্ষ ষড়যন্ত্র করে তাকে নানাভাবে হয়রানি করছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বগুড়া সদর উপজেলার লাহিড়ীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা কর্মপরিষদের সদস্য আবদুর রশিদ বলেন, ২০০৩ সালের নির্বাচনে আমি বিপুল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি।
নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার মানুষের সার্বিক কল্যাণে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে ধর্মীয় সম্প্রীতি অটুট রেখে ইউনিয়নের রাস্তাঘাট, কালভার্ট নির্মাণ, স্যানিটেশন কার্যক্রমসহ ব্যাপক কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করেছি। ফলে জনগণের মাঝে আমার জনপ্রিয়তা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমার এই জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। তারা ইউনিয়নে একেক সময় একেক ধরনের মিথ্যা কাহিনী প্রচার করে আমাকে হেয় করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে কয়েকটি পত্রিকায় রাজাকার হিসেবে আমার নাম ছাপা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ১৯৬৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আমার জন্ম। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল ৪ বছর ১ মাস ১৬ দিন। জাতির বিবেক হিসেবে আপনারাই বলুন, ৪ বছরের শিশুর পক্ষে স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ বোঝার কোনো ক্ষমতা থাকে কিনা?
সংবাদ সম্মেলনে আ’লীগের সহসভাপতি খোকা মিয়া, আ’লীগ নেতা মোস্তফা নুর আলম নাইস, দিন মোহাম্মদ দিনের আলো, বিএনপি নেতা সরোয়ার হোসেন মুকুল, সাইদুল ইসলাম, আপেল মাহমুদ টিটু, আবদুল বারী মান্টারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।