পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সমস্ত সমস্যা বিদ্যমান তার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো সেশনজট। বিভিন্ন কারণে তৈরি হওয়া ভয়াবহ সেশনজটে আটকে পড়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষ ব্যবস্থাপনায় হাতেগোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজট কিছুটা কমিয়ে আনলেও ১ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত সেশনজটে পড়েছে দেশের অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। নিয়মানুযায়ী যেখানে অনার্সে ৪টি এবং মাস্টার্সে ১টি ব্যাচ থাকার কথা সেখানে ৭ থেকে ৮টি ব্যাচ রয়েছে। সেশনজটের সর্বোচ্চ চূড়ায় অবস্থান করছে দেশের সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থীর আশ্রয়স্থল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। চার-পাঁচ বছরের স্থলে এখান থেকে পাস করে বেরিয়ে আসতে সময় লাগে সাত-আট বছর। এমনকি অনেক সময় তারও বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। এ অবস্থায় শিক্ষা ব্যয় বাড়ছে, শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে ঝরে পড়ছে অনেক সম্ভাবনাময় বছর। ফলে তাদের চাকরিতে ঢোকার সুযোগও সংকুচিত হয়ে পড়েছে। অপচয় হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মঘণ্টা। এতে প্রতি বছর বড় ধরনের সঙ্কটের মুখে পড়ছে হাজার হাজার শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় এ সঙ্কট থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে আনার চেষ্টা করেও খুব একটা সফলতা অর্জন করতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের দীর্ষ সময় পর ভর্তি, ফল প্রকাশের দীর্ঘসূত্রতা ও শিক্ষাঙ্গনের রাজনীতিই সেশনজটের অন্যতম প্রধান কারণ। শিক্ষকদের কনসালটেন্সি, শেয়ার ব্যবসা ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন চাকরিকে বেশি গুরুত্ব দেবার কারণে যথাসময়ে ক্লাস-পরীক্ষা নিতে পারছেন না শিক্ষকরা। এতে সঙ্কট আরো বেড়ে যাচ্ছে। এছাড়া শিক্ষকের অভাব, একাডেমিক ক্যালেন্ডারের যথাযথ প্রয়োগের অভাব ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাসহ বিভিন্ন কারণে অনির্ধারিত ছুটি এবং সেমিস্টার পদ্ধতির প্রভাবে সেশনজট আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে কলেজগুলোতে শিক্ষক সঙ্কট, পর্যাপ্ত শ্রেণীকক্ষের অভাব, পৃথক পরীক্ষার হল না থাকায় সব বর্ষের ক্লাস বন্ধ করে পরীক্ষা নিতে হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে। ফলে এই প্রতিষ্ঠানটির সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ে ফল প্রকাশের বাধ্যবাধকতাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে এর মধ্যেই সেশনজট কমিয়ে এনেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন সেশনজটের যে চিত্র তা সব শিক্ষার্থীর কাছেই অনাকাঙ্ক্ষিত।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সবচেয়ে সমস্যায় রয়েছে ১০ লাখ শিক্ষার্থীর আশ্রয়স্থল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। সেশনজট সমস্যায় ভুগছে বছরের পর বছর। সঙ্কট থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে আনার চেষ্টায় খুব একটা সফলতা অর্জন করতে পারছে না দেশের ১৮ শতাধিক কলেজ নিয়ে গড়ে ওঠা এই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যেখানে শিক্ষার্থী আছে প্রায় ১০ লাখ। বিশ্ববিদ্যালয়ের চার বছর মেয়াদি স্নাতক ডিগ্রি কোর্সেই সেশন রয়েছে ছয়টি। এগুলো হলো— ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষ, ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষ, ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষ, ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষ, ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষ এবং ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষ। দেখা গেছে, যে সেশনের চলতি মাসে স্নাতক ফাইনাল পরীক্ষা দেয়ার কথা সেই সেশনের শিক্ষার্থীরা অনার্সে ভর্তি হয়েছে ২০০৫ সালে। তাদের ২০০৮ সালে স্নাতক ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শেনজটের কারণে তা শেষ হচ্ছে এই ২০১০ সালের শেষের দিকে। স্নাতকোত্তরেও একই অবস্থা। এখানে বর্তমানে রয়েছে দু’টি সেশন। এখানে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতেই লাগে এক বছর। ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট পেতে পেতে আরও চলে যায় এক বছর। ডিগ্রি পাস কোর্সে রয়েছে প্রায় চার লাখ শিক্ষার্থী। সেশনজটের দিক দিয়ে এ কোর্সের অবস্থা ভয়াবহ।
গড়ে অন্তত ১ বছরের সেশনজটে আটকে আছে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ৬৬টি বিভাগ ও ২টি ইনস্টিটিউটের মধ্যে সবগুলোতেই কমবেশি সেশনজট রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামজিক বিজ্ঞান অনুষদে সেশনজট কিছুটা কম থাকলেও বাণিজ্য অনুষদে ৫ থেকে ৬ মাসের জট রয়েছে। এছাড়া বিজ্ঞান অনুষদে ৭ থেকে ৯ মাসের সেশন জট রয়েছে। ২০০৩-০৪ শিক্ষা বর্ষে ভর্তি হয়ে এখনও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিতে পারেনি কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বেশকিছু বিভাগ। এখানে অবস্থা এমন যে, একই সেশনে ভর্তি হওয়ার পরেও কিছু বিভাগের শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করলেও অনেকে সেশনজটের গ্যাঁড়াকলে পড়ে এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নিতে পারেনি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান ব্যাপক সেশনজট আস্তে আস্তে কমে আসছিল। কিন্তু সম্প্রতি বেতন ও বিভিন্ন ফি বৃদ্ধির ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় দেড় মাসের অনির্ধারিত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ সেশনজট আবার বেড়ে গেল। বন্ধের আগে ৩৮টি বিভাগে গড়ে ২টি করে ব্যাচের ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল। বেশ কয়েকটি ব্যাচের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। এতে আগের সেশনজটের সঙ্গে আরো ২ থেকে ৩ মাসের সেশনজট যুক্ত হলো। এছাড়া হল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাওয়ার ফলে পড়াশুনা না করতে পারায় বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরপরই পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে গড়ে ৬ থেকে দেড় বছরের সেশনজট রয়েছে।
অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে বার বার ক্যাম্পাস ত্যাগসহ বিভিন্ন কারণে ভয়াবহ সেশনজটের কবলে পড়েছে উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। হাতেগোনা কয়েকটি বিভাগ ছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সবগুলো বিভাগেই কমবেশি সেশনজট লেগে আছে। এর মধ্যে কোনো বিভাগে ৬ থেকে ১০ মাসের এবং কোনো বিভাগে দেড় থেকে দুই বছরের দীর্ঘ সেশনজট তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি সেশনজট বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের বিভাগগুলোতে। এ অনুষদের মার্কেটিং, ব্যবস্থাপনা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং এবং হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের প্রতিটি বর্ষেই প্রায় দেড় থেকে দুই বছরের সেশনজট লেগে আছে। অনুষদটির হাতেগোনা কয়েকজন শিক্ষক ব্যতীত অধিকাংশ শিক্ষকই একাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করছেন। আবার অনেকেই ক্লাস বাদ দিয়ে প্রতিদিন সকাল-বিকাল শেয়ার মার্কেটে গিয়ে সময় কাটাচ্ছে। তবে মার্কেটি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগে সেশনজটের ভয়াবহতা সবচেয়ে বেশি। বিভাগটির বিবিএ ও এমবিএ’র পাঁচটি বর্ষে দশটি সেমিনারে পাঁচশ’ শিক্ষার্থী থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে আটশ’রও বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। বিবিএ চার বছর ও এমবিএ এক বছর মিলে মোট পাঁচ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার জীবন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন তা আট বছরেও শেষ হচ্ছে না। কোন কোন ইয়ারে ৪ মাসের সেমিস্টার দীর্ঘ ১৬ মাসেও শেষ হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কলা অনুষদের মধ্যে আরবি বিভাগের সেশনজট সবচেয়ে বেশি। এছাড়া গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, অর্থনীতি, নৃবিজ্ঞান ও ফার্মেসি বিভাগে সেশনজটের মাত্রাটা অন্যান্য বিভাগের চেয়ে তুলনামূলক বেশি। সেশনজটের এই ভয়াল চিত্রে শিক্ষাজীবন নিয়ে আতঙ্কিত সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সেশনজটের কারণে কুষ্টিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি রীতিমত ভয়াবহ। ২০টি বিভাগের মধ্যে অধিকাংশ বিভাগেই এখনও ২ থেকে তিন বছরের সেশনজট রয়েছে। এখানে ব্যবস্থাপনা, আইন ও মুসলিম বিধান, বায়োটেকনলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স এবং ইংরেজি বিভাগে দেড় থেকে ২ বছরের সেশনজট রয়েছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা আল-ফিকহ বিভাগে। এ বিভাগে ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে ছাত্রছাত্রী ভর্তির মাধ্যমে ক্লাস শুরু হলেও এখনও ওই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ৪র্থ বর্ষ পরীক্ষা শেষ হয়নি। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১৭ জন শিক্ষকের মধ্যে ৬২ জন শিক্ষকই শিক্ষা ছুটি নিয়ে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। এছাড়া ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষের ফলে বার বার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ সেশনজট আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। এতে শিক্ষার্থীদের হতাশা আরও বেড়ে যাচ্ছে। তবে এত সমস্যার মধ্যে ভাগ্যবান হলো ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি, রাষ্ট্রনীতি ও লোকপ্রশাসন এবং আরবি সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ তিনটি বিভাগে কোনো সেশনজট নেই। সেশনজট কমানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন উদ্যোগ বার বার ব্যর্থ হচ্ছে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে।
যথাসময়ে পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশের বাধ্যবাধকতা করার ফলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট কমে আসলেও এ সমস্যা থেকে একেবারে মুক্ত হতে পারেনি। ২৯টি বিভাগের মধ্যে অল্প কয়েকটি বিভাগ ছাড়া অধিকাংশ বিভাগে এখনও সেশনজট রয়েই গেছে। সকল বিভাগেই আছে ৬ থেকে ৭টি করে ব্যাচ। সরকার ও রাজনীতি, দর্শন, গণিত ও পরিসংখ্যান বিভাগে কোনো সেশনজট নেই। সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব, প্রাণিবিদ্যা, ইংরেজি ও ভূতত্ত্ব বিভাগে। এসব বিভাগে রয়েছে ৭টি করে ব্যাচ। নৃবিজ্ঞান, উদ্ভিদবিদ্যা, ফার্মেসি, ইতিহাস, অর্থনীতি, ভূগোলসহ অন্যান্য বিভাগে আছে ৬টি করে ব্যাচ। এখানে অবস্থা এমন যে, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৩৪তম ব্যাচের যখন মাস্টার্স পরীক্ষা চলছিল একই সময়ে প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ৩২তম ব্যাচের মাস্টার্স পরীক্ষা চলছিল। সম্প্রতি সেশনজটের কবলে পড়ে হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৩৩তম ব্যাচের ছাত্র সোহান উল হাসান আত্মহত্যা করেছেন বলে তার ডায়েরিতে লিখে গেছেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর, ফল প্রকাশে বিলম্ব, সংঘর্ষ, আন্দোলনসহ বিভিন্ন কারণে গড়ে অন্তত ২ বছরের সেশনজটে পড়েছে পুরাতন ঢাকায় অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। জানা গেছে, এখানে নতুন খোলা ৬টি বিভাগ ছাড়া আগের ২২টি বিভাগেই আছে ৬ থেকে ৭টি করে ব্যাচ। নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা না হওয়া এবং ফল প্রকাশের জন্য মাসের পর মাস সময় লাগা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে।
সদ্য প্রতিষ্ঠিত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ও সেশনজটমুক্ত নয়। এখানে বিভিন্ন বিভাগের ৬ মাসের সেমিস্টার সম্পন্ন হতে সময় লাগছে প্রায় ১২ মাস। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৪ বছর চললেও ১ম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা শেষ করেছে মাত্র ৪ সেমিস্টার। অথচ শেষ করার কথা ছিল ৭ সেমিস্টার। একই অবস্থা ২য় ও ৩য় ব্যাচের শিক্ষার্থীদের। অর্থনীতি বিভাগের ১ম ব্যাচের ৪র্থ সেমিস্টার শেষ হয়েছে প্রায় ১১ মাসে। ২য় ব্যাচেরও ৩য় সেমিস্টার শেষ হয়েছে ১১ মাসে। ইংরেজি বিভাগের ২য় ব্যাচের ৩য় সেমিস্টার শুরু হয়েছে প্রায় ১০ মাস চলছে। অথচ এখনও ফাইনাল পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ হয়নি। মার্কেটিং বিভাগের ২য় ব্যাচের ২য় সেমিস্টার শেষ হয়েছে ১১ মাসে। ৩য় ব্যাচের দেড় বছরে মাত্র ২য় সেমিস্টার ফাইনাল শুরু হয়েছে। একই চিত্র হিসাববিজ্ঞান, লোক প্রশাসন, গণিত ও কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগেও। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ছাত্রলীগের ডাকা হরতাল। এ কারণে আরো বেশি পিছিয়ে পড়ছে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সেশনজটের বাইরে নয় রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে ২টি অনুষদের সবগুলো বিভাগেই প্রায় ৭ থেকে ৮ মাসের সেশনজট রয়েছে। প্রত্যেকটি বিভাগেই অনার্সে ৪টি ব্যাচ থাকার কথা থাকলেও ৫টি করে ব্যাচ রয়েছে। তবে মাস্টার্সে সেশনজট নেই বললেই চলে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া সঙ্গটে আছে দেশের অন্যান্য সব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ই। কিছুটা কমিয়ে আনলেও ৬ মাস থেকে দেড় বছর পর্যন্ত সেশনজটে জড়িয়ে আছে সিলেটে অবস্থিত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কম-বেশি সেশনজটে রয়েছে।