সরকারি দলের নেতাকর্মীদের হাতে প্রায়ই লাঞ্ছিত হচ্ছে পুলিশ। এই অপকর্মে দলীয় ক্যাডার-মাস্তানদের পাশাপাশি সংসদ সদস্যদের কেউ কেউ পুলিশ পেটানোর তালিকায় নাম তুলেছেন। কোনো এমপির বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে—এমন ঘোষণার পর মার খেয়েও এমপিদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারছে না পুলিশ। লাঞ্ছিত হওয়া প্রসঙ্গে পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, এক্ষেত্রে পুলিশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ‘জিরো টলারেন্স’ দেখানো হবে।
কয়েকটি ঘটনায় পুলিশ নিজে বাদী হয়ে অভিযুক্ত ওইসব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করছে। কিন্তু এর কোনো কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দায়সারা গোছের সাধারণ ডাইরি করেই ঘটনা ধামাচাপা দেয়া হচ্ছে। গত সপ্তাহে যশোরের শার্শায় এমপির হাতে থানার ওসি লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাতেও কোনো মামলা হয়নি। শুধু একটি জিডি হয়েছে। মার খেয়েও প্রতিকার না পাওয়ায় মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
সরকারি দলের নেতাকর্মীদের হাতে মার খেয়ে মামলা করায় উল্টো পুলিশকেই ক্ষমা চাইতে হয়েছে। পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, সরকারি দলের এমপি এবং নেতাকর্মীদের হাতে মাঝেমধ্যেই পুলিশ সদস্য লাঞ্ছিত এবং শারীরিকভাবে নির্যাতিত হওয়ায় মাঠ পর্যায়ের পুলিশের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিহিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, এর প্রতিকার না হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রেও এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। তাছাড়া পুলিশ নিজেও পেশাগত দায়িত্ব পালনে উত্সাহ হারিয়ে ফেলবে।
কয়েকটি ঘটনা : ১৪ আগস্ট রাতে যশোরের শার্শার লক্ষ্মণপুর ইউনিয়নের পারুইঘুপি গ্রামের বিএনপি কর্মী আবদুল হামিদ খুন হয়। এ ব্যাপারে থানায় আওয়ামী লীগের কয়েক নেতাকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ ওই মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করে। পরদিন বিকালে স্থানীয় এমপি আফিল উদ্দিনের পিএ আসাদ শার্শা থানার ওসি এনামুল হককে ডেকে পাঠান। সঙ্গে করে মামলার এজাহার নিয়ে যেতে বলেন। ওসি শার্শা বাজারের অদূরে আফিল উদ্দিনের জুটমিলে গেলে এমপি এজাহারের কপি দেখে ওসিকে থাপ্পড় মারেন। এ ব্যাপারে ওসি এনামুল হক বলেছেন, বাসা থেকে ডেকে নিয়ে এমপি আফিল উদ্দিন তার কক্ষে বসে তাকে প্রথমে দু’তিনটি থাপ্পড় মারেন। এরপর আওয়ামী লীগের অপর প্রভাবশালী নেতা মুসা মাহমুদ ওসির ইউনিফর্মের কলার চেপে ধরে তলপেটে দু’তিনটি লাথি মারেন। ওসি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে মুসা লাথি মারতে মারতে তাকে ঘরের বাইরে নিয়ে আসেন। আবার তাকে ঘরের মধ্যে নিয়ে এমপি তিন-চারটি চড়-থাপ্পড় মেরে যশোর ছেড়ে চলে যেতে বলেন। অবস্থা বেগতিক দেখে এসআই আসাদ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় শুক্রবার পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। শুধু একটি জিডি হয়েছে।
গত মে মাসে পুরনো ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চাইলে ছাত্রলীগের মারধরের শিকার হন সূত্রাপুর থানার এএসআই সাইফুর রহমান। জগন্নাথ কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি মাসুদ রানার মোটরসাইকেলের কাগজপত্র চেক নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সাইফুর রহমানকে টেনেহিঁচড়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিয়ে যায়। সেখানে একটি রুমের মধ্যে আটকে রেখে তাকে মারধর করা হয়।
গত ১৭ জুলাই কামরাঙ্গীরচর থানার লোহার ব্রিজের কাছে চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনকালে এসআই এবারত হোসেন কাগজপত্রবিহীন একটি মোটরসাইকেল আটক করেন। ওই মোটরসাইকেলটি ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য ঘটনাস্থলে আসে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা জুম্মন ও মোহাম্মদ আলী পলাশ। এর আগে জুম্মন মোটরসাইকেলটি ছেড়ে দেয়ার জন্য মোবাইল ফোনে এসআই এবারতকে নির্দেশ দেয়। তার নির্দেশ অমান্য করায় ওই দুই ছাত্রলীগ নেতাসহ ১০ থেকে ১৫ জন ঘটনাস্থলে গিয়ে এবারতকে মারধর করে। এসআই এবারত মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ‘তার ডান গালে থাপ্পড় দিয়ে বলে কুত্তার বাচ্চা চোখ তুলে কথা বলিস! নিচের দিকে তাকা।’ পুলিশকে মারধর করে তারা অবৈধ মোটরসাইকেলটি নিয়ে চলে যায়।
গত ৩০ জুন আশুলিয়া ব্রিজের কাছে সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লা রাস্তায় যানজটের অজুহাতে ওই এলাকার দায়িত্বরত পুলিশ সার্জেন্ট শরিফুল ইসলামকে বেদম মারধর করেন। এ ঘটনায় ইলিয়াস মোল্লার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার পর বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার এমন অসৌজন্যমূলক আচরণকে অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক বলে মন্তব্য করে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকা কলেজের সামনে এক সার্জেন্টকে বেদম প্রহার করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িতরাও গ্রেফতার হয়নি। সম্প্রতি রাজধানীতে এক সংসদ সদস্যের পিএসের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন এক পুলিশ সদস্য। বিদ্যুত্ বিভাগের দুই কর্মচারীকে সরকারি দলের লোকজন আটকে রাখলে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে ওই পুলিশ সদস্য মারধরের শিকার হন।
এর আগে ময়মনসিংহ-৮ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আবদুস সাত্তার রিকশায় যাওয়ার সময় জাতীয় ঈদগার কদম ফোয়ারার সামনে ট্রাফিক সিগন্যাল পড়লে তিনি চালককে যেতে বলেন। এসময় ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশ লিয়াকত আলী রিকশাচালককে বাধা দিলে আবদুস সাত্তার ক্ষিপ্ত হয়ে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে ট্রাফিক পুলিশকে চড় মারেন। এ অবস্থা দেখে কর্তব্যরত পুলিশ সার্জেন্ট এগিয়ে আসেন। আবদুস সাত্তার তার ওপরও ক্ষিপ্ত হয়ে লাঞ্ছিত করেন। পরে অবশ্য পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল।
সর্বশেষ ১৮ আগস্ট রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় ইভটিজিংয়ে বাধা দেয়ায় পুলিশের ওপর হামলা চালায় এলাকার ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা। তারা পুলিশকে লাঞ্ছিত করে এবং অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে।
শুধু আওয়ামী লীগ কর্মীরাই নয়, সম্প্রতি বসুন্ধরা গ্রুপের লোকজন চার পুলিশকে বাড্ডা এলাকায় মারধর করে। বাড্ডা থানার এসআই শেখ সাইফুল ইসলামসহ চারজনের একটি টিম নিয়ে সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করার সময় গাড়িতে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে বসুন্ধরার নিরাপত্তা কর্মীরা পুলিশকে মারধর করে। এ অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের দুই নিরাপত্তা কর্মীকে আটক করেছিল পুলিশ।
একটি কেস স্টাডি : গত ৩০ জুন দায়িত্ব পালনরত ট্রাফিক সার্জেন্ট শরিফুল ইসলামকে আশুলিয়া বাজার সংলগ্ন সেতুর পাশে অনেক লোকজনের সামনে মারধর করেছেন ইলিয়াস মোল্লা এমপি। ট্রাফিক সার্জেন্ট শরিফুল ইসলামের ‘অপরাধ’ ছিল, ওই এমপি কেন সেদিন এত লম্বা ট্রাফিক জ্যামে আটকা ছিলেন! ট্রাফিক সার্জেন্ট কেন এমপিকে দ্রুত উদ্ধার করে তার প্রতি যথাযথ সম্মান দেখালেন না! শরিফুল ইসলাম ৮ জুলাই আশুলিয়া থানায় ইলিয়াস মোল্লার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু এবং অন্য কর্তাব্যক্তিদের টনক নড়ে। মামলা দায়েরের পর তারা জানতে পারেন যে, একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট এমপির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করেছেন।
গত ১৩ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় মন্ত্রী সাহারা খাতুন এবং প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু সিদ্ধান্ত দেন যে, কোনো এমপির বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীর যুক্তি ছিল, ‘কাজ করতে গেলে যে কারোরই ভুলত্রুটি হতে পারে। সংসদ সদস্যদের ছোটখাটো ভুলের বিষয়ে মামলা করার আগে থানার ওসিকে অবশ্যই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে এবং অনুমতি নিতে হবে।’
মন্ত্রীদ্বয়ের এই যুক্তিতে একটি বিষয় লক্ষণীয়। ট্রাফিক সার্জেন্ট তার ওপর অর্পিত নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করছিলেন সেদিন সে জায়গায়; আর তখন তাকে মারধর করা হয়। মন্ত্রীরা মনে করেন, এটি একটি ছোটখাটো ভুল। এমন ভুল যে কারোরই হতে পারে। সুতরাং সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে এমনসব ছোটখাটো ভুলত্রুটির প্রতিকার চেয়ে মামলা করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে। তাদের আরও যুক্তি হলো, সংসদ সদস্যরা হচ্ছেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও সম্মানিত ব্যক্তি। তাদের বিরুদ্ধে হুট করে মামলা করার সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। এখানে আরও লক্ষণীয় বিষয় হলো, ঘটনা ঘটেছে ৩০ জুন, আর মামলা করা হয়েছে ৮ জুলাই; মানে ৮ দিন পর। তারপরও হুট করে মামলা করা হলো? এই ৮ দিন মন্ত্রীরা ঘটনাটি জানতেও পারেননি!
মন্ত্রীরা বলেছেন, সংসদ সদস্যরা হলেন ‘নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি’ ও ‘সম্মানিত ব্যক্তি’। কিন্তু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হলেই তিনি সম্মানিত কি হবেন? গত ২৭ জুন বিএনপির হরতালের দিন বিএনপির সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে যখন শাহবাগ মোড়ে গ্রেফতার করা হয়, সেখানেও কি দায়িত্ব পালনরত পুলিশের এ্যানিকে গ্রেফতারের আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি নেয়ার দরকার বা বাধ্যবাধকতা ছিল? থাকলে সেটা কেন নেয়া হয়নি?
আইনের দৃষ্টিতে সব নাগরিকই যদি সমান হয়ে থাকেন, তাহলে যারা আইন প্রণয়নের জন্য এমপি হয়েছেন, তাদেরকে কেন এমন দায়মুক্তি দিতে হবে? এমপিদের কেউ খুন করলেও তার বিরুদ্ধে মামলা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি লাগবে? এক্ষেত্রে অবশ্য ভোলার এমপি শাওনের কথাও বলা যায়। তার বিরুদ্ধে প্রমাণসহ যুবলীগ নেতা ইব্রাহিম হত্যা মামলার অভিযোগ আসলেও তার বিরুদ্ধে থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে বাধ্য হয়ে তার স্ত্রী আদালতে মামলা করেন।
মাঠ পর্যায়ে পুলিশে ক্ষোভ : মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা যশোরের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন শীর্ষ কর্মকর্তাদের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ না পাওয়ায় এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে পুলিশ সদর দফতর থেকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ধরনের ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ না নেয়া হলে মাঠ পর্যায়ের পুলিশের চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়বে। ইউনিফর্ম পরিহিত পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় এরই মধ্যে পুলিশ বিভাগে ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। একের পর এক পুলিশ লাঞ্ছিতের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে পুলিশ প্রশাসনে। এর আগে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের একাধিক বৈঠকে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের অনেকে বলেছেন, এ ঘটনা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, কোনো পুলিশ সদস্য অপরাধ করলে তার শাস্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু এভাবে মারধর করার ঘটনা পুরো বিভাগের মর্যাদাহানিকর।
দলীয় লোকজনের হাতে পুলিশ লাঞ্ছিত হওয়া প্রসঙ্গে অতিরিক্ত আইজিপি ডিএমপি কমিশনার শহীদুল হক খান বলেন, পুলিশকে মারধরের সঙ্গে জড়িত যেই হোক, তার ব্যাপারে ‘পুলিশ জিরো টলারেন্স’ দেখাবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। যশোরের শার্শায় ওসি লাঞ্ছিত হওয়ার পরও মামলা না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে জিডি হয়েছে। জিডির তদন্তের পর নন এএফআইআর মামলা দায়ের হবে এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হবে। অভিযুক্ত যেই হোক, তাদের পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই