একি! পিন্টু তো এখনও ঘুমুচ্ছে। মেলাতে যাবে না? আয় তার মাকে গিয়ে বলি। তার মা বলল, পিন্টুটা এখনও যায়নি? বলো কি! তিনি আঁচলে হাত মুছতে মুছতে এসে দেখেন পিন্টু উপুড় হয়ে শুয়ে ঘুমুচ্ছে। আজ তোর কী হয়েছে শুনি? রবি, কামাল রেডি হয়ে এসে দাঁড়িয়ে আছে আর তুই এখনো...। ওঠ, ওঠ বাবা ওঠ জলদি রেডি হয়ে নে। চট করে চারটে খেয়ে ওদের সাথে মেলা থেকে ঘুরে আয়, যা। বাবারা তোমরা একটু বসো।
দুটি চোখ আরেকটা ঘুড়ি, কথাটি দুই বার পাড়ল পিন্টু। তোরা খাটের তলে দেখ, দরজার চিপায় দেখ, চাঙে উঠে দেখ। দুটি চোখ আরেকটা ঘুড়ি। এসব কী বলছিস তুই?
আরে দেখ্ না। ভয়ংকর কাণ্ড। মাথা আমার ভন ভন করছে। মাথার ভেতরে দুটি চোখ আরেকটা ঘুড়ি ছাড়া কিছুই নেই। গোলমাল লাগছে সব।
দুই.
খট করে একটা শব্দ হতেই পিন্টু ভাতের থালাসহ খাটের উপর চিৎ হয়ে পড়ে গেল। তার মুখের ভাত মুখেই আছে, সরছে না। পিন্টুর কাণ্ড দেখে রবি আর কামাল খলখলিয়ে হেসে উঠল। বলল ঘটনা কি, এমন লাফিয়ে উঠলি যে!
কেনো দেখিসনি? ঘুড়ি!
ধুর, কী সব আবোল তাবোল বকছিস তুই। একটা বিড়াল চাঙ থেকে লাফিয়ে পড়ল। ঘুড়ি দেখলি কই।
এসব বাদ দিয়ে তাড়াতাড়ি খেয়ে নে তো। টাইম নেই।
ঝটপট রেডি হয়ে নিল পিন্টু। মেলাতে যাচ্ছে তারা।
অর্ধেক পথ যেতেই দেখে হাতে ঘুড়ি নিয়ে মেলা থেকে ফিরে আসছে পিন্টু।
রবি আর কামাল পেছনে তাকিয়ে দেখে, কেউ নেই!!