আন্তর্জাতিক বানিজ্যের ক্ষেত্রে একমাত্র বৈধ মাধ্যম হল এলসি। এলসির মাধ্যমেই ব্যবসায়ীরা একদেশ থেকে অন্য দেশে বৈধ পথে পন্য আমদানি-রপ্তানি করে থাকে।
বিদেশ থেকে কোনো পণ্য আমদানি করতে চাইলে অবশ্যই ব্যাংকের মারফত এলসি খুলতে হয়। যে ব্যাংকে আপনি এলসি করতে ইচ্ছুক অবশ্যই সেই ব্যাংকে আপনার একটি চলতি ব্যাংক একাউন্ট (CURRENT A/C) থাকতে হবে।
এলসি করতে আপনার প্রতিষ্ঠানের নীচের কাগজ থাকতে হবে…
. ব্যবসায়ের ট্রেড লাইসেন্স এবং এটি অবশ্যই আপটুডেট হতে হবে।
২. সর্বশেষ অডিট রিপোর্ট।
৩. একটি গ্রহনযোগ্য আইআরসি (IRC-Import Registration Certificate)
৪. স্থানীয় বাণিজ্য চেম্বার বা সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের থেকে সদস্যপদ সার্টিফিকেট।
৫. আয়কর ছাড়পত্র বা নতুন কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য আয়কর ঘোষণা পত্র।
৬. মূসক নিবন্ধন সনদপত্র।
ব্যাংক কাগজপত্র গুলো যাচাই বাছাই করে দেখতে কয়েকদিন সময় নিবে। এলসির সমস্ত কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে, এলসি অনুমোদন সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকেই জানিয়ে দিবে। প্রথম দিকে ব্যাংকে আপনার পুরো টাকাটাই জমা দিতে হবে। ধরুন আপনার এলসি ভ্যালু ৪০,০০০ ডলার। তাহলে ব্যাংকে আপনাকে ৩২ লাখ টাকা জমা দিতে হবে। তবে আস্তে আস্তে ব্যাংকের সাথে আপনার ব্যবসা বাড়লে তখন ১০-২০% মার্জিন দিয়ে এলসি খুলতে পারবেন।
ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার সাথে সাথে আপনাকে আরও কিছু ডকুমেন্ট দিতে হবে।
এলসির জন্য আবেদনের পূর্বে উল্লেখিত কাগজপত্র গুলো ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করে রাখতে হবে। এছাড়াও আরও কিছু নথিপত্র দরকার হবে
১. এলসি আবেদন ফর্ম
২. ইনডেন্ট / পারফর্মা ইনভয়েস (PI)/ ক্রয় আদেশ / ক্রয় চুক্তি
৩. যথাযথভাবে ও সঠিকভাবে কার্যকর চার্জ নথি
৪. যথাযথভাবে সিল ও স্বাক্ষরিত এলসি অনুমোদন ফরম (LCAF)
৫. বীমা সংক্রান্ত নোট
যেমন: আপনার কোম্পানীর সব কাগজ (ট্রেড লাইসেন্স, টিন, ভ্রাট, আইআরসি)
ইনডেন্ট/পিআই এর ৩/৪ টি কপি।
সাপ্লায়ার কোম্পানীর ব্যাংক ক্রেডিট রিপোর্ট
ইন্সুরেন্স কভার নোট (যে কোন ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে ইনডেন্ট দেখিয়ে ফি দিয়ে এটা নিতে হয়)
এরপর ব্যাংক আপনাকে আপনার কাংখিত এলসির একটা কপি দেবে। আর অরিজিনালটা পাঠিয়ে দেবে সুইফটের মাধ্যমে বিদেশে সাপ্লাইয়ারের কাছে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১