“আমাদের সমাজ আমরা পিতৃতান্ত্রিক সমাজ বলে দাবী করে থাকি, কিন্তু আমরা আদতে পিতৃতান্ত্রিক নই। ৩০০/৪০০ মাইল দূর থেকে একটা ছাত্র যখন কেন্দ্রীয় শহর ঢাকায় শিক্ষা গ্রহন করতে আসে, এবং ডিগ্রী অর্জনের পর সেই ছেলেটি, মানে পুরুষটি যখন নিজের পেশা নিজে বেছে নিতে চায় ঠিক তখনই সে তার মাথার পেছনে একটা হাতের অস্তিত্ব টের পায়, যে হাত সবসময় ছাত্রটির মাথাটাকে একদিকে তাক করে রাখে। সেটা হল,বিসিএস। আর ঐ শক্ত হাতটি হচ্ছে ছাত্রটির বাবার। যে ছাত্রটি কিনা সদ্য যুবক থেকে পুরুষ হচ্ছিল, সেই কয়েকশ মাইল দূর থেকেও পিতৃতন্ত্রের শাসন খুব কাছেই অনুভূত হয়,”

– গতকাল একটা ফোরামে এটেণ্ড করেছিলাম। সমাজ, রাস্ট্র- গণতন্ত্র ও সাশন ব্যবস্থা নিয়ে তরুন স্যোশাল মিডিয়া এক্টিভিস্টদের ভাবনা কি সে বিষয় সংক্রান্ত আলোচনা। সেখানেই কথাগুলো বলছিলেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শান্তনু স্যার। আসলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বিষয়গুলো পড়ানো হয় সেই বিষয়ভিত্তিক চাকরির ব্যাবস্থা কি আপনারা বা এযাবত কোন সরকার কি করতে পেরেছে?? স্যারের কাছে জানতে চেয়েছিলাম। দর্শন, রাস্ট্রবিজ্ঞান, ভাষাবিজ্ঞান, ধর্মতত্ব, বাংলা, ইতিহাস, উর্দু, ফারসি এই সমস্ত বিষয়ে ৫ বছর পড়াশুনা শেষ করেও একটা ছাত্রকে ভয়ানক দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়, এর পরে সে কি করবে? স্যারও জ়ানেন, শিক্ষা ব্যবস্থা ও চাকরির বাজারের এই বৈপরীত্যের কারনেই নিরুপায় হয়েই এই পথে হাটতে হয় অনেককেই।
সমস্যা তো সবারই জানা, কিন্তু অভাবটা শুধু উদ্যোগের, সংস্কারের।