অনেকই অনেক ফতোয়া দেয়। তারপরও আস্তিক দূর্বল মন এমন রাত কে বিশেষ রাত বলেই মানি। তাই রাতে নামায পড়ার আগে সন্ধ্যার পরপর সাঙ্গ পাঙ্গরা বেরিয়ে পড়লাম বাইরে খাই দাইয়ের উদ্দেশ্যে। বুমার্স বন্ধ, সুইসের সব ট্রে ফকফকা খালি, গেলাম পুরান ঢাকার আগামসী লেন।
ওখানকার এই মসজিদটিকে বিশেষ রাতের জন্য সজ্জিত করা হয়েছে।
মসজিদ থেকে দশ গজ এগুলেই এই দোকান, চলছে হরদম খানাপিনা
আমরা সুপ, নুডলস দুই প্লেট আর হালিম একটা খেলাম সাথে ফিল্টার পানিও হিসাব করলো, মোট ৭৫! টাকা বিল আসছে!
নুডুলসটা কিন্ত বেশ ছিলো!
মসজিদে নামায পড়তে ঢোকার আগে খেয়ে নিচ্ছে এক মুসল্লী
বিশেষ এই রাতের আয়োজনে টুপি বিক্রীও বেড়ে গেছে।
এই ব্রেড গুলো কেজি প্রতি ১২০ টাকা
এই অসহায় মুখটা আমাকে অনেকটা সময় অস্থির করে রাখে

আহা, ব্রেড-এ হৃদয়ের ছোঁয়াও থাকে

বিশেষ রাত উপলক্ষ্যে হরেক রকমের খাবার বেচা-কেনা হচ্ছে। -
এই পাঁচজন হুজুরকে প্রায় কাছাকাছিই পেয়ে গেলাম।
একেবারে পিচ্চি হুজুরের মা দৌড়াতে দৌড়াতে এসে তার পিচ্চিতে ছবির ফ্রেমের মধ্যে দাড় করিয়ে বলতে লাগলো "ক্যামেরার দিকে চাও"
চটপটি- ফুচকা ওয়ালাও মাথায় টুপি নিয়ে আজ রাতের বিক্রী-বাটা করছে। প্লেট প্রতি ১৫ টাকা এবং দারুণ টেস্টি! জিভে জল আবার এসে গেল!
খাবার মাঝখানে মনে হলো তুলে ফেলি এক প্লেট চটপটির ছবি

পুরাণ ঢাকার খাবার খেয়ে এবার নতুন ঢাকার এক রেস্টুরেন্ট ঢুকে এরাবিয়ান সরমা খেলাম এবং সাথে এই ক্যাপাচিনো

হুজুরে কানাডিয়ান, দোস্তকুল শিরোমনি পুংটা দ্য গ্রেট

এই ছবিটা তোলার বিশেষ কারণ হলো, রেস্টুরেন্ট থেকে বোরুনোর মুহুর্তে আমি এই লেখার দিকে তাকিয়ে পড়ছি মডুকে দিন লেমনের লিফট্! আমিতো পুরা টাসকি খাইছি! এরপর দেখি আমার মাথা নষ্ট

কফি খা্ওয়ার পর তো দেখি আমার বেশ ঘুম পেয়ে যাচ্ছিলো! ভরপেটে বাসায় ফিরে ক্ষুধা না লাগলেও এখন আবার ক্ষুধা লেগে গেছে

সবাই এই সৌভাগ্যের রাত পার করে সকল সময় ভালো থাকুন।