কালো টাকার মালিক ছাড়া দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে হয়রান প্রায় সকল ক্রেতাই।এহেন পরিস্থিতিতে ডিজিটাল বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের মোবাইল কোর্ট দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে আসলেই কতোটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে এতোদিন তাতে ভাসা ভাসা ভরসা পেলেও আজ যখন নিজের চোখের সামনে দেখলাম কি হচ্ছে তখন আর ভরসা রাখতে পারছি না। অথচ সংবাদ মাধ্যমে কখনো কখনো দেখা যায় বেশি মূল্য ধরায় বা বিএসটিআই-এর সিল না থাকায় দোকানীকে গুনতে হচ্ছে বেশ বড় অংকের জরিমানা। এহেন খবরে আমরা বাহবা দিতে থাকি। রাজনৈতিক চামুচরা সাধারণের চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চায়'দেখ আমাদের সরকার জনগনের সেবায় কতোটা তৎপর?"
বিএসটিআইএর সিল ছাড়া খেঁজুর
আজকে ঢাকা শহরের সুপরিচিত এক মার্কেটে আজকে মোবাইল কোর্ট তার অনুসন্ধানী তৎপরতা প্রদাণকালে এক দোকানী তারাতারি করে নির্দিষ্ট কিছু দ্রব্যের মূল্য প্রদর্শিত তালিকায় লিখছিল বলে কেন আগে লিখা হলো না তাই তাকে ৫০০ (পাঁচশত)টাকা জরিমানা করা হল। এক ক্রেতাকে জিজ্ঞেস করা হলো যে সে কোন দ্রব্য কিনেছে কিনা যেন তাতে মূল্য বেশি ধরা হয়েছে কিনা তা যাচাই করা হয়। কিন্তু আফসোস, ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব সেখানেও নিরাশ হলেন। কারণ সেই ক্রেতা তখনও পণ্য কেনা শুরুই করেনি।
প্রদর্শিত মূল্য তালিকা, যা শুধুই প্রহসন
দোকানীর সাথে কথা বলে জানা গেল প্রদর্শিত লিস্টিতে চিনি ৫২ টাকা লিখলেও তা ৫৩ থেকে ৫৫টাকায়ও বিক্রী হচ্ছে। ছোলাবুট লিখা আছে ৮১ টাকা কিন্তু তা বিক্রী হবে ৯০ টাকা দরে। এমন করে প্রদর্শিত প্রতিটি দ্রব্যেরই মূল্য দোকানীরা ক্রেতার কাছ থেকে বেশি নিচ্ছে। জিজ্ঞেস করেছিলাম
"কোন ক্রেতা যদি আপনাদের দাবীকৃত বেশি টাকা না দেয়?"
তখন দোকানী উত্তেজিত হয়ে জবাব দিলো "ঘুরতে ঘুরতে হয়রান হইয়া যাইবো সদাই পাইবো না..."
"আপনতো জিনিস দেখবেন, দুই টাকা লাভের লাইগা কি কেউ ব্যবসা করবো?"
এ প্রসঙ্গে দোকানী বললো যে, সে ছোলাবুট কেজিপ্রতি ৭৯টাকা দরে কিনে এনেছে, তার যাতায়াত খরচ হয়েছে ৫০ টাকা, লেবার খচর ২০টাকা, ঝাড়ানোর সময় প্রায় ১ কেজি বাদ দিতে হয়েছে।
"আপনেরা জিনিস ভালো, পরিস্কার না পাইলে সদাই নিবেন?"
"মোবাইল কোর্ট ওলারা বেকুব"
দোকানী উত্তেজিত ভাবে একের পর এক বলেই যাচ্ছে।
আমি বললাম "যদি কেউ বেশি দামে অনায্যভাবে জিনিস বিক্রিী করে তার চেয়ে তো মোবাইল কোর্টের ভয়ে তবুও ঠিকমতো বেচবে"
তখন সে মুখ বাঁকিয়ে বললো " আরে তাতে আরো লস, কারণ দোকানদার সেই লসের টাকা তুলতে ঠিকই জিনিসপাতিতে দাম ধইরা কাস্টমারের কাছ থেইকা সেই টাকা তুইলা নিব।"
"আর যেই জিনিসের দামে এমন সমস্যা হইবো সেই জিনিসই দোকানে রাখুম না।"
প্রকৃতপক্ষে দ্রব্যমূল্যের ছদ্ম নিয়ন্ত্রণে ঠিকই ভুক্তভোগী হচ্ছে ক্রেতারা।
এর সামাধান কোথায়?????????????????????
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৩৭