অ্যান অর্কর সাথে মাস্টার্সে পড়ে।বোস্টনে আসার সময় তাদের প্রথম দেখা হয়েছিল এয়ারপোর্টে।দুজনেরই হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি আর ডিপার্টমেন্টও একই, আর্থ সাইন্স।এয়ারপোর্ট থেকে চেক আউট করে যখন অর্ক বাইরে ট্যাক্সির জন্য ওয়েট করছিল তখন অ্যানের সাথে তার আলাপ হয়েছিল।মনের মানচিত্রে বাংলা আর ক্যালিফর্নিয়ার এক হতে বেশি সময় লাগেনি।দুজন হয়ে উঠেছিল খুব কাছের বন্ধু।এমন একদিনও যেত না যেদিন তারা একসাথে লাঞ্চ করত না।
গত ৬য় মাসে মেয়েটা কি কিছুই বুঝতে পারেনি নিজের মনেই কথাটা ভাবে অর্ক।কলকাতা ছেড়ে বোস্টন আসার পর থেকে আস্তে আস্তে কি ভাবে এই মেয়েটা তার সব চিন্তার কেন্দ্র হয়ে উঠল ভেবে নিজের মনেই হেসে ফেলে অর্ক।অর্কর চিন্তার ঘোরটা কাটল অ্যানের ফোনে।অর্ক ফোনটা ধরল।ওপার থেকে অ্যানের গলা ভেসে আসল--
'আজকে ক্যাম্পাসে আসবি রে?'
'কেন বলত?সান ডে তো আজ।কোন বিশেষ কিছু আছে নাকি আজকে?'
'হুম।একজনের সাথে তোর দেখা করাব।'
'তোর কোন বন্ধু?'
'না।বন্ধুর থেকে অনেক বেশি।তুই আয় না।১০ টার সময় ডিপার্টমেন্টের পাশের পার্কটায় ওয়েট করবি।ওকে।' বলে অ্যান ফোনটা রেখে দেয়।
অ্যান কার সাথে দেখা করাবে ভাবতে থাকে অর্ক।ব্রেকফাস্ট করে অর্ক চলে যায় সেই পার্কটাই।১০:২০ র দিকে অ্যান আসল সাথে একটা লম্বা হ্যান্ডসম ছেলে।
অ্যান পরিচয় করিয়ে দেয় অর্কর সাথে ছেলেটার।
--'ও অর্ক, আমার খুব ভালো বন্ধু,এরিক।আর অর্ক, ও হচ্ছে এরিক, আমার বয়ফ্রেন্ড।'
কথাটা হজম করতে অর্কর খুব কষ্ট হচ্ছিল।তবে সে ঠিক করে যে সে তার ভালোবাসার মানুষটার জীবনে পথের কাঁটা হবে না;বন্ধু হয়েই সব সময়ই তার পাশে থাকবে।
'হ্যালো এরিক।নাইস তো মিট ইউ বাডি।'
-'মি টু।ইটস এ প্লেজার।'
অর্ক অ্যানকে বলল
'অ্যান আমি যাই এখন,তোরা থাক;আমার একটু কাজ আছে।'
--'ঠিক আছে যা।কাল ক্লাসে দেখা হচ্ছে।'
অর্ক যত তাড়াতাড়ি পারল পার্কটা থেকে বেরিয়ে আসল।তার আসলে কোন কাজ নেই।কিন্তু ওই দৃশ্য সে নিতে পারছিল না।
অর্ক একটা পাবে ডুকল।হুইস্কির পেগ একটার পর একটা শেষ করে চলল সে।
(চলবে)
অন্য রকম একটা গল্প-পর্ব ২
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:০৩