somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বড় গল্পঃফিল্ডে গিয়ে প্রেমে পরার গল্প পর্ব ২

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
পর্ব ১



রাত ১১ টায় হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেন ছেড়েছে।এখন বাজে রাত ১২ টা।সুপ্রিয় স্যার বলেছে আমরা রাত ৩ টে নাগাদ আসানসোল পৌঁছাব।সেখানে গাড়ি থাকবে।গাড়িতে আবার ১ ঘণ্টা লাগবে মাইথন যেতে।আমারা সব শুদ্ধু ৩২ জন যাচ্ছি;১৮ জন ছেলে,১৪ জন মেয়ে আর যাচ্ছে সুপ্রিয় স্যার আর অনুপম স্যার।একটা কামরা জুড়ে শুধু আমরাই।আমার সিট পরেছে জানলার পাসে।উলটো দিকে সেই আজিব মেয়েটা বসেছে।এখন প্রায় সবাই ঘুমে আছন্ন।কিন্তু আমার ঘুমতে ইচ্ছা করছে না;আমি বাইরের দৃশ্য দেখছি আর ব্লগ পড়ছি,সামু।ইরাও দেখছি ঘুমাইনি;হুলবার্ট-এর মিনারোলজির বই পড়ছে সে।দেখেও ক্যামন জানি লাগে!জেগে আছিস ভালো কথা, বাইরে এত সুন্দর দৃশ্য সব দেখা যাচ্ছে।পূর্ণিমার রাত বলে যথেষ্ট আলো।প্রকৃতির এমন রূপ না দেখে কেউ যে মিনারোলজির বই পড়তে পারে আজ এরে না দেখলে বিশ্বাস হত না।

ইরা ঘুমিয়ে পরেছে আর আমি এখন তার দিকে তাকিয়ে আছি;চাঁদের আলো তার মুখে এসে পরছে,খুব মায়াবী লাগছে।কীসব ভাবছি আমি!!দেখতে দেখতে আড়াইটে বেজে গেল।সবাই উঠে পরেছে ঘুম থেকে;এবার নামতে হবে।

ট্রেন আসানসোল ঢুকছে;আমরা সবাই লাগেজ নিয়ে রেডি ট্রেন থেকে নামার জন্য।ট্রেন আসানসোল থামল;আমরা সবাই নামলাম এক এক করে।সবার চোখেই ঘুম লেগে আছে।স্টেশন থেকে বের হলাম সবাই;গাড়ি দাড়িয়ে ছিল,৪ টে সুমো।১৬ জন ছেলে দুটোয় উঠল;আর দুটোয় মেয়েরা, স্যাররা, মানব আর আমি।আমি যেটাই উঠলাম ইরাও সেটাতে উথেছে;আমি ড্রাইভারের পাসে বসেছি ও মাঝের রোতে।সুমো গুলো চলা শুরু করল পাহাড়ি পথে।সবাই ঘুমায়।আমার ও ঘুম পাচ্ছে খুব।ঘুম ভাঙল মানবের ডাকে।

"এ ভাই ওঠ চলে এসেছি।"

--"আরে শালা ঘুমেতে দে রে আর একটু।"

"তুই উঠবি নাকি কেলাব?"

--"অ্যাঁ! চলে এসেছি নাকি!"

সুমো গুলো থামল আশা রিসর্টের সামনে।আমরা নামলাম সুবাই।রুম বুক করাই ছিল আগে থেকে।মানব ডাক দেয়

"১৭ নং রুম, চল।"

--"চল।"

আমদের রুমে আমি আর মানব।রুমে গিয়েই ঘুমিয়ে পরলাম।ঘুম ভাঙল বেলা ৯ টায়। স্যার সবাইকে হল এ ডেকেছে,যেতে হবে।
ব্রাশ করলাম।মানব এখনও ঘুমায়।ওকে ডাকি।

--"এ ওঠ শালা! আর কত ঘুমাবি"

"উঠছি বাল!তুই হলে চলে যা আমি আসছি"

হলে গিয়ে দেখি এখনও কেউ আসেনি তাও তেমন খারাপ লাগলো নাহ!কারন কাল রাত থেকে যার কথা ভাবছিলাম সে এসেছে।
ইরা একটা টেবিলে বসে আছে, আমিও গিয়ে বসলাম।

--"মর্নিং"

"মর্নিং অর্কীশ।"

--"ভালোই তো পড়ছিস রে!ট্রেনেও মিনারোলজি পড়তে হয় তোর?"

ইরা এবার হেসে দিল।আমিও হেসে দিলাম।

সবাই চলে এসেছে।ব্রেকফাস্ট ও দিয়ে দিয়েছে।জ্যাম-রুটি,ডিম আর কলা।খাওয়া শেষ হয়ে গেলো।

অনুপম স্যার বলল :
"সবাই মন দিয়ে শোন,আজকে তোমরা ক্লাইনো-মিটার ব্যবহার করে কিছু লোকেসানে রকের অ্যাটিচিউড মাপবে এবং সেখানে কি কি রক পেলে তার চার্ট করবে,মিনারেল কি কি পেলে লিখবে আর যদি কোন জিওলজিক্যাল ফিচার পাও তাও লিখবে,স্যাম্পল কালেক্ট করবে। তোমাদেরকে রোল নং অনুযায়ী ১১ টা গ্রুপে ভাগ করা হবে। প্রত্যেক গ্রুপ আলাদা আলাদা লোকেশনে কাজ করবে।তোমরা ১১ টায় বেরোবে, কাজ করে ৫ টার মধ্যে রিসর্টে ফিরতে হবে।৭ টায় হল-এ ক্লাস হবে; সেখানে তোমরা রেজুমি জমা দেবে; আমরা চেক করবো।"


আমার গ্রুপে আমি আর ইরা। আমার রোল ৩২,ওর ৩১।১০ মতো বাজে। আমি ইরাকে বললাম

--"আজকে মাইথন ড্যামের পাশে যাব, ওখানে বরাকরের তীরে রক স্টাডি করবো।তুই যা রেডি হয়ে আয়।"

"ওকে।"

আমি রুমে এসে স্নান করতে গেলাম।স্নান করে বেরিয়ে দেখি মানবও রুমে চলে এসেছে।ওর পার্টনার সাকিব আর ঋজু।
মানব দাঁত বের করে বলল :
"তোর কথা ভেবে দুঃখ হচ্ছে দোস্ত আবার না হেসেও পারছি না। শেষে তোরে ইরার সাথে কাজ করতে হচ্ছে।তোরে!!"

--"এই শালা খুব মজা না তোর?বেশি মজা নিস না তাহলে তোরে সেকেন্ড সেমে কোন হেল্প করবো না।যা স্নান করে রেডি হ।আমি বেরলাম।"
পর্ব ৩
পর্ব ৪(শেষ পর্ব)
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০৬
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পার্বত্য চট্টগ্রাম- মিয়ানমার-মিজোরাম ও মনিপুর রাজ্য মিলে খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠনের চক্রান্ত চলছে?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০১


মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকা ভ্রমণ করেছেন । সেখানে তিনি ইন্ডিয়ানা তে বক্তব্য প্রদান কালে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী chin-kuki-zo দের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠনে আমেরিকার সাহায্য চেয়েছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাসান মাহমুদ গর্ত থেকে বের হয়েছে

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১২


যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল হাসান মাহমুদের সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। আমি ভাবতেও পারি নাই উনি এতো তারাতারি গর্ত থেকে বের হয়ে আসবে। এই লোকের কথা শুনলে আমার গায়ের লোম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দারিদ্রতা দূরীকরণে যাকাতের তাৎপর্য কতটুকু?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৮



দরিদ্র দূরীকরণে যাকাতের কোনো ভূমিকা নেই।
যাকাত দিয়ে দারিদ্রতা দূর করা যায় না। যাকাত বহু বছর আগের সিস্টেম। এই সিস্টেম আজকের আধুনিক যুগে কাজ করবে না। বিশ্ব অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্তান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্তান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের বিয়ের খাওয়া

লিখেছেন প্রামানিক, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১৯৬৮ সালের ঘটনা। বর আমার দূর সম্পর্কের ফুফাতো ভাই। নাম মোঃ মোফাত আলী। তার বিয়েটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। বাবা ছিলেন সেই বিয়ের মাতব্বর।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×