স্পর্শ শব্দটির সাথে আমরা নানাভাবে জড়িয়ে আছি, জড়িয়ে আছে আমাদের আবেগ-অনুভূতি। স্পর্শ আমাদের আশ্বস্ত করে, সারা দিনমানের ক্লান্তি শেষে প্রিয়া বা স্ত্রীর স্পর্শে আমরা সজীব হয়ে উঠি। নতুন প্রেমের ক্ষেত্রে বিষয়টি যেন অন্য রকম ভালোলাগার জন্ম দেয়। অর্থাত প্রিয়ার সান্নিধ্য, অতঃপর হাতটা একটু ধরা, আহা!
আবার এ স্পর্শের মাধ্যমেই টিনএজ মেয়েদের থেকে শুরু করে অনেক নারীই ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছেন এবং আরো কিছু।
মা-বাবার স্পর্শ সেই ছোটবেলা থেকেই আমাদের কাছে ভালোবাসার মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত। দুঃখ-যাতনা ইত্যাদি কতো কিছু আমরা মা-বাবার স্পর্শে ভুলে যাই! মা-বাবার স্পর্শ পেতে পেতেই আমরা বড় হয়ে উঠি। এ স্পর্শকে বলে শান্তির পরশ, স্নেহের পরশ। তেমনি বয়োজ্যেষ্ষ্ঠ বা অভিভাবক তুল্য অনেকের স্পর্শই মা-বাবার স্পর্শের সাথে তুলনীয়।
বন্ধুর স্পর্শে আমরা আশ্বস্ত হই। স্পর্শ দ্বারা বন্ধুতার নিশ্চয়তা পাওয়া যায়। ইদানীং প্রকৃত বন্ধুর খুবই অভাব। প্রকৃত বন্ধু মাত্রই অপর বন্ধুকে স্পর্শ মাত্র তার মনের খবর জানা হয়ে যায়।
উতপল কুমার বসু তার এক কবিতায় লিখেছেন : বন্ধু তোমার হাতের ওপর হাত রাখলেই টের পাই, বাজারে তোমার অনেক দেনা। তোমার ছেলেটা উচ্ছন্নে গেছে। মেয়েটা রাত করে বাড়ি ফেরে... যা কিছু বলতে হয় আজ আমাকেই বলো... (কবিতাটা ভুল হতে পারে, অনেকদিন আগে পড়া। এ ব্যাপারে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।) এই হলো বন্ধুত্ব।
প্রেম-ভালোবাসার ক্ষেত্র জুড়ে রয়েছে স্পর্শের ব্যাপক ভূমিকা। প্রেমিক যেমন প্রেমিকার হাতটা একটু ধরার জন্য, একটু ছোঁয়াছুঁয়ির জন্য মুখিয়ে থাকে, প্রেমিকাও তেমনি মুখিয়ে থাকে প্রেমিকের একটু হাতের স্পর্শ, আঙুলের ছোঁয়াছুঁয়ি বা আরো একটু বেশি কিছুর জন্য। প্রেমিকার স্পর্শে আমরা আলোড়িত হই, শিহরিত হই, প্রণোদিত হই, হই নানা কিছু।
ছোট শিশুদের স্পর্শেও আমরা ভালোলাগা খুঁজে পাই।
স্পর্শের খারাপ ব্যবহারের কারণে অনেক মেয়েকে জীবন দেওয়ার ঘটনাও আমাদের অজানা নয়।