মাননীয় প্রধানমন্ত্রী/শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন নতুনভাবে পাঠ্য পুস্তকের ইতিহাসে শেখ মুজিবের জীবনী লেখার জন্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী/শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন এইযে, আমরাও চাই ইতিহাস সত্য ও সঠিকভাবে জানার জন্য, কারণ আমরা জানি কেউ ইতিহাস রচনা করতে পারেনা। ইতিহাস কাউকে দিয়ে লেখানো যায়না ইতিহাস তার নিজস্ব গতিতে সৃষ্টি হয় ধারাবাহিক নিয়মে।
ভারত বর্ষের পুরাতন ইতিহাস এবং তথ্য সংরক্ষনকারী প্রকৃতপক্ষে প্রকাশিত ইতিহাসে যা উল্লেখ আছে অনেকেরই তা অজানা। সেসব ইতিহাসের মধ্যে আমাদের তথাকথিত জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম ও শৈশবের কিছু কথা লেখা আছে যার সামান্য অংশ নিম্নে দেয়া হল ঃ
কলিকাটা সিভিল কোর্টের উকিল মিঃ চন্ডিদাস তার এক মেয়ে ছিল যারনাম গৌরিবালা দাস। চন্ডিদাসের সহকারী উকিল মিঃ অরণ্যকুমার চক্রবর্তী চন্ডিদাসের কলিকাটাস্থ বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করত, এই সুযোগে গৌরিবালার সাথে অরন্য কুমারের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার ফলে গৌরিবালা গর্ভবতী হয়ে পড়েন্ গৌরিবালা যখন বুঝতে পারলেন যে তিনি গর্ভবতী হয়েছেন তখন গৌরিবালা অরণ্য কুমারকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। অরণ্য কুমার ইহাতে রাজী না হয়ে অবধৈ সম্পর্কের কথাও অস্বীকার করেন। এদিকে চন্ডিদাস বিষয়টি জানার পর চিন্তিত হয়ে পরেন্ এরই মধ্যে গৌরিবালা ১২/১২/১৯২০ ইং তারিখে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। তার নাম রাখা হয় দেবদাস চক্রবর্তী। চন্ডিদাস অরণ্য কুমারকে গৌরিবালাকে উঠিয়ে নেয়ার জন্য বললেও কাজ হয়না। এরই মধ্যে দেবদাসের বয়স ২ বছরে উন্নিত হয়। চন্ডিদাস হতাশ ও ভিষন ভাবে অসুস্থতা বোধ করেন। দেবদাসের বয়স যখন ৩ বছর তখন চন্ডিদাসের মহুরী শেখ লুৎফর রহমান গৌরিবালাকে বিয়ে করেন। তখন গৌরিবালার নাম হয় সালেহা বেগম এবং ছেলের নাম হয় দেবদাসের পরিবর্তে শেখ মুজিবুর রহমান।
যার এফিডেবিট নং- ১১৮ তারিখ ১০/১১/১৯২৩ ইং
কলিকাটা সিভিল কোর্টের সাক্ষী ঃ
১। আব্দুর রহমান সাফায়াত, কোর্ট দারোগা, কলিকাটা, থানা + পোস্ট ঃ ভান্ডারিয়া, সাবেক জেলা ঃ বরিশাল।
২। শ্রী অনিল কুমার, কোর্ট দারোগা, সাবেক জেলা ঃ বরিশাল।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী/শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আমাদের বিনীত আবেদন, উপরে উল্লিখিত ইতিহাস যদি সত্য হয়, তাহলে ইতিহাস লিখনীতে উহার স্থান দেয়া হোক। আর যদি মিথ্যা হয় তাহলে শেখ মুজিবুর রহমানের নানার নাম সহ মাতৃকুলের পরিচয় ইতিহাসে উল্লেখ করা হোক।