পানির নীচে যদি মানুষ সাবলিল ভাবে চলাফেরা করতে পারতো! তাহলে কেমন হত ?
উভচর মানুষ ঠিক এমনি এক বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী যেখানে একজন মানুষ স্থলের পাশাপাশি জলে অন্যান্য জলজ প্রানীর মতই সাবলীল ভাবে চলাফেরা করতে পারে!
অদ্ভুত এবং খামখেয়ালী ধরনের প্রাজাতি (জীব-জানোয়ার) তৈরি করতো এক বিজ্ঞানী, যার উদ্দেশ্যই ছিল মানব কল্যানের। এমন এক বিজ্ঞানীর সর্বস্রেষ্ঠ সৃষ্টিই ছিল এই ‘উভচর মানুষ’। উভচর মানুষটির সমুদ্রে সাঁতার কেটে, মুক্ত কুড়িয়ে আর বিজ্ঞানীটির নতুন নতুন গবেষণা করে বেশ নিরিবিলি দিন কাটছিল।
কিন্তু তাদের এই শান্তিতে বাঁধ সাধে একদল লোভী মুক্ত শিকারী। কারন এই উভচর মানুষটিকে একবার হাত করতে পারলেই যে সমুদ্রের অফুরন্ত মুক্তোর ভান্ডার তাদের হাতের নাগালে চলে আসবে। অত্যান্ত কষ্টকর ও সময়সাধ্য কাজটি হয়ে উঠবে অত্যন্ত সহজলভ্য। আর তার মানেই প্রচুর অর্থ, রাতারাতী ধনী হওয়ার হাতছানি !
আলেকজান্ডার বেলায়েভ – এর এই অসাধারণ কাহিনীর মাঝে যে সে কি আননদ ! সমুদ্রে ছুটে চলার বিস্ময়কর অনুভূতি। সত্যি অনবদ্য এক কল্পকাহিনী।
_________________
মূলবইঃ
উভচর মানুষ (রামধনু প্রকাশনী)- মস্কো, রাশিয়া
এই সংস্করণটি পাওয়াটা একটু দুর্লভ ব্যপার। আমার বইটি যদিও এই সংস্করণের।
এছাড়া বইটি পেতে পারেনঃ
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ব্যনারে ‘উভচর মানুষ’ নামেই।
সেবা প্রকাশনীর ব্যনারে দি এম্ফিবিয়ান ম্যান নামে (অনুবাদঃ মোহাম্মদ সা’দাত আলী )