somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পৈশাচিক নেক্রোফিলিয়া বা শবাসক্তি (পর্ব-১)

১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রত্নতত্ত্বে অধ্যয়ন করতে গিয়ে আমরা অতীত রাজা রাজড়াদের নানা ধরণের অবাক করার মতো খেয়াল খুশির পরিচয় পাই। এর মধ্যে অদ্ভুদ কিছু বিষয় যেমন মানুষের চিত্তকে বিচলিত করে তেমনি কিছু বিষয় আছে যেগুলো শুনলে ঘৃণায় মুখ বিকৃত করতে হয়। আমার একটা অভ্যাস আছে অবসর সময়টুকু বেশিরভাগই কাটাই হয় বই পড়ে কিংবা নেটে ব্রাউজিং করে যেখানে প্রত্নতত্ত্ব আর ইতিহাসই কেন্দ্রে থাকে। আর প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই এটা আমাকে এতটাই টানে যে আমার লেখাপড়ার গণ্ডিটা অনেকটা প্রত্নতত্বের মধ্যেই কিভাবে যেন আটকে গেছে।
জা. বি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে তখন তৃতীয় বর্ষের মাঝামাঝি পড়ি এমনটা হবে। একটি সংবাদপত্রে ফিচার লেখার প্রস্তাব পেয়ে মিশরীয় মমির কিছু ছবি দেখছিলাম। ফিচার লেখার তুলনায় আমার অনুসন্ধিৎসু চোখ নিবদ্ধ হয় একটি বিশেষ বিষয়ের প্রতি। তখন ঐ প্রবন্ধ শেষ করার কাজ অনেক পিছিয়ে যায়। আমি ভাবতে থাকি অন্য বিষয় নিয়ে।
মমির যে ছবিগুলো দেখতে পাই তার প্রায় প্রতিটিই কেমন যেন বিকৃত চেহারার। ঠিক তখনই ভাবতে শুরু করলাম। একটু পর ভালভাবে খেয়াল করে বের করলাম কেমলমাত্র যে মমিগুলো অধিক বিকৃত সেগুলো নারীদের মমি। ব্যপারটা আসলেই আগ্রহোদ্দীপক, চিন্তার ও মজার। তখন এক রকম নিশ্চিত হয়ে যাই এই ভেবে এর পেছনে নিশ্চয় কোন একটা কারণ আছে যেটা মেয়েদের মমিগুলোকে অধিকতর বিকৃত করেছে। কিন্তু কি হতে পারে ভেবে কূল কিনারা পাচ্ছিলাম না। তবে গভীর অনুসন্ধানে ধীর ধীরে বেড়াল বেরিয়ে আসতে থাকে। স্মরণাপন্ন হই এখনকার দিনে অনুসন্ধিৎসু মনের একান্ত সহযোগী গুগলের। একের পর এক সার্চ করতে থাকি নানা টপিকে। কিন্তু একজন উদ্ভট চিন্তার প্রত্নতাত্ত্বিকের খেয়াল মেটাতে ব্যর্থ হয়েছিল সবার প্রিয় গুগল।
সেদিন কোনো সুরাহা হয় নি। হতাশ হয়ে মিশরীয় সভ্যতার উপরে নামকরা ও নিবেদিতপ্রাণ কিছু গবেষকের লেখাগুলো খুটিয়ে খুটিয়ে পড়তে লাগলাম। পরে ফেসবুক, টুইটার আর অরকুটে আমার বেশ কয়েকজন মিশরীয় প্রত্নতাত্ত্বিক বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করলাম। তারা কিছু বলে না শুধু হাসতে থাকে। বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক ফারহাত হুসেন, মোহামেদ বাকির, স্যালি বিনফোর্ড কিংবা হোসাম মোহামেদ আবদেলজাইম এরা তো এই কথা হেঁসেই উড়িয়ে দিলেন।
অ্যানি সার্গিসিয়ান চ্যাটের মধ্যে বলেই দিলো ‘সো ফানি!! সো ফানি!!!’ অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটাল আমার মিশরীয় প্রত্নতাত্ত্বিক বন্ধু আহমেদ রউফ হামদি, সে বেচারা আসলে তেমন কিছু বলতে পারে নি কেবল মাত্র একটি সুত্র দিতে পারলো। একটি মোটাতাজা সাইজের প্রায় ১৭২ এম.বি সাইজের একটি বই (A Companion to Ancient Egypt , Alan B. Lloyd ed.) সে মিডিয়াফায়ারে আপলোপ করে লিংক দিলো। সেই বইটিতে বিষয়টি সম্পর্কে অনেক ইঙ্গিত ছিলো। মূল আলোচনার বাইরে এই কথাগুলো বলে আমি সে সময় আমার চেষ্টা আর বার বার ব্যর্থ হওয়ার বিতৃষ্ণা জানাতে চেয়েছি।


এক নেক্রোফিলিক মাদারির ফডু (সূত্র গুগল)
যাহোক এখন আসল কথায় আসি। এটা বিষয়টি জানার জন্য পার করা অনেক অস্বস্তিকর একটা সময় এর কথা। এটা অনেকটা অপ্রাসঙ্গিক হলেও না বলে পারলাম না। রউফ হামদির পাঠানো বইটিতে বিষয় ব্যাখ্যা করার চেষ্টা না করে একটি বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে তা হল ন্যাক্রোফিলিয়া। যাই হোক আমি বিবরণ না পাই ঘটনাটার সূত্র তো পেলাম। এরপর আসল কাজটা আমার জন্য বেশ সহজ হয়ে গেল। শব্দটি সরাসরি কপি করে গুগলের ব্রাউজারে পেস্ট করে এন্টার দিই। আমার সামনে ভেসে উঠল ইতিহাসের এমন এক জঘন্যতার কাহিনী যা শুনলে মানবাত্ম এখনো ঘৃণায় রি রি করবে। বস্তুত মিশরীয়দের শবাসক্তি বা নেক্রোফিলিক আচরণের জন্যই মৃতদেহগুলোকে একটি বিনষ্ট হওয়ার পর মমি করা হতো। বাকিটুকু আমার সাইটে গিয়ে পড়তে হবে।
এটা সাময়িক পোস্ট।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পাশ্চাত্যের তথাকথিত নারীবাদ বনাম ইসলাম: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৩ রা মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৪

পাশ্চাত্যের তথাকথিত নারীবাদ বনাম ইসলাম: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ

ছবি কৃতজ্ঞতা এআই।

ভূমিকা

নারীর অধিকার নিয়ে আলোচনা ইতিহাসের এক দীর্ঘ অধ্যায়। পাশ্চাত্যে নারী আন্দোলন শুরু হয় ১৮শ শতকের শেষভাগে, যার ফলশ্রুতিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি স্মার্ট জাতির অন্তঃসারশূন্য আত্মজৈবনিক !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪


একটা সময় ছিল, যখন জাতির ভবিষ্যৎ বলতে বোঝানো হতো এমন এক শ্রেণিকে, যারা বই পড়ে, প্রশ্ন তোলে, বিতর্কে অংশ নেয়, আর চিন্তা করে। এখন জাতির ভবিষ্যৎ মানে—ইনফ্লুয়েন্সার। তারা সকাল ১০টায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতায় যাবার আগেই নারী বিদ্বেষ শুরু

লিখেছেন অপলক , ০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ১০:১১

সংবাদ সম্মেলন থেকে বের করে দেওয়া হলো নারী সাংবাদিককে, যা বললেন মুফতি ফয়জুল করিম

বরিশালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিমের এক নারী সাংবাদিক মনিকা চৌধুরীকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামী দলগুলো নারী বিদ্বেষী - এটা একটি মিথ্যা প্রোপাগান্ডা

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ১১:২৯

আরবের দেশগুলোকে আমাদের দেশের নারী আন্দোলনের নেত্রীরা দেখতে পারেন না হিজাব ইস্যুর কারণে। অথচ, আরব দেশ কাতার বি,এন,পি'র চেয়ারপারসনকে চার্টারড প্ল্যানে করে দেশে পাঠাচ্ছে। আরো কিছু উদাহরণ দেই। আওয়ামী লীগ... ...বাকিটুকু পড়ুন

নারীনীতি ইস্যুতে তথাকথিত চুশীলদের নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ৮:৫৩

নারীনীতি ইস্যুতে তথাকথিত চুশীলদের নিয়ে কিছু কথা



ইদানিং নারীনীতি নিয়ে দেশে নানা তর্ক-বিতর্ক চলছে। আলেম-ওলামা এবং ইসলামপন্থীরা যখন পাশ্চাত্যঘেঁষা নারীনীতির সুপারিশকে দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করলেন, তখনই মূলত এই আলোচনার বিস্তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×