এদুনিয়ার প্রতিটি মানুষ নিজে যা বিশ্বাস করে তা অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চায় এটাই স্বাভাবিক নয় কি।যারা ধর্মে বিশ্বাস করে কিংবা করে না তারাও এর ব্যতিক্রম নয়,তারাও নিজ নিজ বিশ্বাস স্থাপন করতে চায় সমাজে।
একেক জনের বিশ্বাস স্থাপনের পন্থা একেক রকম।কেউ নিজের বিশ্বাস ছড়াতে চায় কলমের দ্বারা যুক্তি দিয়ে,আবার এদানিং দেখা যাচ্ছে কেউ কেউ নিজের বিশ্বাস স্থাপন করতে চায় চাপাতির কোপের ভয় দেখিয়ে।সবই বিশ্বাস নামক তাজ্জব বনের সোনার হরিণ।
বেশ কিছুদিন ধরে,না না অনেক বছর ধরেরই ধাপে ধাপে আমাদের এই স্বাধীন দেশে দেখা যাচ্ছে কিছু মানুষ কে কুপিয়ে খুন করা হচ্ছে। জোর করে প্রাণ বলি নেওয়া মানুষের নামের তালিকা খুজতে গেলে প্রথমেই আসবে লেখক হুয়ায়ুন আজাদ স্যার(২৭ ফেব্রুয়ারী,২০০৪,ঢাবি এলাকা সে যাত্রায় তিনি নতুন জীবন পেয়েছিলেন),এরপর প্রান হারানোর তালিকায় যোগ হলো ব্লগার রাজিব হায়দার(১৫ফেব্রুয়ারী,২০১৩,পল্লবী এলাকা),প্রাণ বলি নেয়ার এই তালিকায় সর্বশেষ যার নাম যোগ হলো তিনি হলেন ব্লাগার ও লেখক অভিজিৎ রায় আমাদের অভিজিৎ দা।(২৬ ফেব্রুয়ারী,২০১৫ ঢাবি এলাকা)।এতো শুধু খুন হবার তালিকা এছাড়াও আছে প্রাণ বলি নেবার ব্যথ অভিযানের তালিকা সেই তালিকা নাই বা তুলে দিলাম।
খুনের পর যারা তাদের খুনের দায় স্বীকার করে তাদের মুখে মুখে সবসময় একটাই যুক্তি দাড় করানো থাকে “এরা আমাদের ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলেছে কিংবা আমাদের ধর্মকে অবমাননা করেছে তাই তাদের আমরা হত্যা করছি” কিন্তু মুখে মুখে খুনিরা যাই বলুক না কেন খুনিরা কখনই বলে না তারা যাদের খতম করছে বা করতে চায় তারা সম্পূর্ণ ভাবে তাদের বিশ্বাসকৃত সকল আদর্শের থেকে আলাদা।ধর্মের দোহাই দিয়ে খুনিরা সবসময় তাদের আদর্শগতভাবে ভিন্ন মেরুতে অবস্থানের দিকটি ঢেকে রাখে সাধারণ মানুষের চোখের আড়ালে।
উপরের কথা গুলো বলার পর আপনি হয়ত বুঝতে পারছেন না আমি আসলে কি বুঝাতে বা বলতে চাইছি।আমি বলতে চাইছি শুধু ধর্ম অবমাননাই কি এদের মারার একমাত্র কারণ? না এটাই কারণ নয়।আমার কেন যেন মনে হচ্ছে এদের মারার পিছনে ধর্ম অবমাননা ছাড়াও আরো অনেকগুলা কারণ আছে যার একটা বড় অংশ জুড়ে আছে আদর্শের আলাদা হবার কারণ।আপনি আমাকে এখন পাল্টা প্রশ্ন ছুড়তে পারেন কেন আমার এসব মনে হচ্ছে?
আমার কেন এসব মনে হচ্ছে সেকথা আপনাকে বুঝতে হলে আপনাকে ফিরে তাকাতে হবে পৃথিবীর লগ্নের সূচনা কালের দিকে।কারণ ধর্ম অবমাননার শুরু তখন থেকেই যখন থেকে ধর্মের বিশ্বাস প্রচার শুরু,আপনাকে ফিরে তাকাতে হবে সেই সময়কার ধর্ম অবমাননা শাস্তির দিকে।আপনি পিছনে ফিরে তাকালেই আপনার চোখে বাঁধবে পার্থক্য একটাই সেসময়কার ধর্ম অবমাননার শাস্তির সাথে,এখনকার রাতের আড়ালে লুকিয়ে থেকে ততাকথিত কোপ স্টাইলের খুন যখম তখন ছিলো না।যদিও সেসময় ধর্ম অবমাননার পাল্লা এখনকার থেকে হাজার গুনে ভারী ছিলো।
মহানবী(সঃ)যখন ইসলাম প্রচার শুরু করেন তখন তিনি বুঝতে পারেন ইসলাম প্রচারে তাকে আরব সমাজের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়াতে হবে কারণ তৎকালীন নেতৃত্বের ভীত ধ্বংস করা ব্যতীত ইসলাম প্রচার ও প্রতিষ্ঠার অন্য কোন উপায় ছিলনা।তাই প্রথমে তিনি নিজ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের মাঝে গোপনে ইসলামের বাণী প্রচার শুরু করেন।মুহাম্মাদের আহ্বানে ইসলাম গ্রহণকারী প্রথম ব্যক্তি ছিলেন তার সহধর্মিণী খাদিজা।এরপর মুসলিম হন মুহাম্মাদের চাচাতো ভাই এবং তাঁর ঘরেই প্রতিপালিত কিশোর আলী,ইসলাম গ্রহণের সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর।একটি ১০ বছরের বালকের বিশ্বাস অর্জন ভয় দেখিয়ে হয়নি বরং ভালোবাসার ছলেই হয়েছিলো।
ইসলামের বাণী পৌছে দেয়ার জন্য নবী নিজ বংশীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একটি সভা করেন এই সভায় কেউই তাঁর আদর্শ মেনে নেয়নি।ইসলাম গ্রহণকারী তৃতীয় ব্যক্তি ছিল নবীর অন্তরঙ্গ বন্ধু আবু বকর।এভাবেই প্রথম পর্যায়ে তিনি ইসলাম প্রচারের কাজ শুরু করেনএরপর প্রকাশ্যে বলেন যে, “আল্লাহ ছাড়া কোন প্রভু নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহ্র রাসূল”।কিন্তু এতে সকলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রচণ্ড খেপে যায়।মুহাম্মাদের বিরুদ্ধবাদীরা কয়েকটি স্তরে তাঁর উপর নির্যাতন শুরু করে প্রথমত উস্কানী ও উত্তেজনার আবহ সৃষ্টি, এরপর অপপ্রচার, কুটতর্ক এবং যুক্তি।ধীরে ধীরে তখন মুসলিম বিরুদ্ধে সহিংসতা চরম রূপ ধারণ করে।এখন কথা হলো যারা ইসলাম কে তখন যারা মেনে নেয়নি তাদের কি কোন শাস্তি হয়েছিলো,না হয়নি।উল্টো তাদের কে বুঝানোর মাধ্যমে ধর্মের পথে আনতে চাওয়া হয়েছিলো।এভাবেই শান্তির পথ ধরে ইসলাম খন শ্লথ গতিতে এগিয়ে চলছে তখন মক্কার কুরাইশরা মুহাম্মাদ ও তার অনুসারী সহ সহ গোটা বনু হাশেম গোত্রকে একঘরে ও আটক করে। তিন বছর আটক থাকার পর তারা মুক্তি পায়।তার প্রতিশোধ ও পরে দেখতে পাওয়া যায়নি।
উপরের কথা গুলোতে কেউ কি কোথায় জোর করে ভয় দেখিয়ে মানুষ মেরে ইসলামের প্রচার খুজে পেয়েছেন?আমি পাই নাই আমি যা খুজে পেয়েছি তা হলো শান্তির মাধ্যমে,যুক্তির মাধ্যমে বিশ্বাস স্থাপন করেই ইসলামের প্রচার করেছিলেন মহানবী (সঃ)।ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে তিনি এভাবে আরো অনেক বাঁধার মুখে পড়েছিলেন কিন্তু তারপরও আমরা কোথাও খুজে পাই নাই তিনি মানুষ কে মেরে ফেলার কথা বলেছিলেন।মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে হত্যার ষড়যন্ত্রকারী আবু জেহেল রক্ষা পেয়েছিল, মহানবীর নামাজের পথে যে বুড়ি কাঁটা বিছিয়ে রাখতেন তাকেও মহানবী(সঃ) শাস্তি তো দূরের কথা কোন অভিশাপ পর্যন্ত দেয় নাই,নামাজরত অবস্থায় যারা মহানবীকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো তাদেরও তিনি বাঁচিয়ে রেখেছিলেন এবং প্রমান করেছিলেন ইসলাম শান্তির ধর্ম যেখানে রক্তের ভয় দেখিয়ে নয় যুক্তির বিশ্বাসের মাধ্যমে শান্তির পথে আহ্বান জানানো হয়। নবীজী বার বার তাকে ধর্মের পথে আহবান জানিয়েছিলেন,কখনো কুপিয়ে হত্যা করার কথা ভাবেন নাই। উপরন্তু আমাদদের নবী (সঃ) রহমাতুল্লিল আলামিন দুহাত তুলে ফরিয়াদ করতেন,
“হে আল্লাহ তুমি এদের হেদায়াত দাও, সঠিক পথের সন্ধান দাও, সুন্দরের দিকে এদের ফিরে আসার তাওফিক দাও।
“আমি গর্বিত আমি সেই নবীর উম্মত, যিনি মানব প্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। কিন্তু আমরা কি করছি? রাতের আধারে নাস্তিক বলে কাউকে পরিবার সমেত কুপিয়ে সাফ করে দিচ্ছি? এইটাই কি সমাধান? কুপিয়ে বা জাহান্নামের ভয় দেখিয়ে কেনো আপনার ইসলাম মহান দেখাতে হবে। ইসলামের মহান উদ্দেশ্য পৃথিবীর শান্তি রক্ষা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য। মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য ও সম্প্রিতি রক্ষার যে উপমা আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) রেখে গেছেন আমরা উনার রেখে যাওয়া সেই মহিমান্বিত ইসলামকে মানুষের সামনে ভীতিকর করে দিচ্ছি।
“(আল্লাহ্র) দীনের ব্যাপারে কোন জোর জবরদস্তি নেই”
-সূরা আল বাকারা-২৫৬
১৪০০ বছর আগে যদি ইসলাম,ধর্ম বা ইসলাম ধর্ম অবমাননাকারিদের কোন শাস্তি না দিয়ে থাকে মহান আল্লার প্রেরিত নবী তাহলে আজকের এই সমাজে আপনি কোন অধিকারের বলে মানুষ খুন করে বলে বেড়াচ্ছেন ইসলাম নিয়ে কুটক্তি করার কারনে আমরা তাকে হত্যা করেছি।মহানবী (সঃ) তার বিদায় হজের ভাষণে যে ৪টি কথা বিশেষভাবে মনে রাখতে বলে গেছেন তারমধ্যে একটি হলো ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার কথা।উপরের আলোচনা থেকে একটা বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধরনা মিলে যে ইসলাম ধর্ম,ধর্ম অবমাননাকারীকে কুপিয়ে হত্যার বিষয়ে কিছু উল্লেখ করে নাই।
“কোন মানুষকে হত্যা করার কিংবা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কাজ করার শাস্তি বিধান ছাড়া অন্য কোন কারনে কেউ যদি কাউকে হত্যা করে, সে যেন গোটা মানব জাতিকেই হত্যা করলো”
-সূরা আল মায়েদা-৩২
আচ্ছা ধরেই নিলাম আপনি ইসলাম কে অবমাননার কারণে মানুষ খুন করছেন এবং আপনি এটাকে জায়েজ বলে দাবি করছেন।কিন্তু আপনি শুধু বেঁছে বেঁছে কিছু মানুষকে কেন হত্যা করছেন কেন?কেনই বা আপনার দৃষ্টি বারবার রাজিব আর অভিজিৎদের উপর সীমাবদ্ধ থাকছে?
সত্যি সত্যি যদিই ধর্ম নিয়ে বিরোধীতা করলে আপনি তাকে মেরে ফেলবেন তাহলে সকল ধর্ম বিরোধিতা কারীকে আপনি মারছেন না কেন?আপনাকে স্বীকার করেতেই হবে আপনি ধর্ম অবমাননার কথা বলছেন জাস্ট আই ওয়াশ করার জন্য কারণ আপনি আপনার আদর্শে বিশ্বাসকারী যে ব্যক্তিরা ধর্ম অবমাননা করছে তাদের কিছুই বলছেন না কেন?যদি ধর্ম অবমাননাকারীকে মারতেই হয় তাহলে শুরু থেকে শুরু করেন আই মিন যারা আগে থেকে ধর্ম অবমাননা করছে তাদের দিয়েই আপনার তথাকথিত জিহাদ কল্লা কোপানো শুরু করেন।
“গোলাম আযম তার রচিত বই’আদম সৃষ্টির হাকিকত’-এর ২৮ পৃষ্ঠায় বলেছেন, ‘সুরা আল বাকারার প্রথম চারটি রুকু গোটা কোরআনের শুরুতে দেওয়া খুব জরুরি ছিল’।তিনি আরও বলেছেন, ‘সুরা আল বাকারার ৪র্থ রুকুটির প্রচলিত ভুল ব্যাখ্যার কারণে মুসলমানদের মধ্যে ইসলাম একটি অনুষ্ঠানসর্বস্ব ধর্ম হিসাবে পরিচিত হয়েছে’।ওই পুস্তকের ২৬ পৃষ্ঠায় এক জায়গায় গোলাম আযম আরো বলেছেন, ‘এ রুকুর ভুল ব্যাখ্যা ইসলামকে বিকৃত করেছে’।”
(ভোরের কাগজ, ৮/৮/১৯৯৪)
কি আল্লাহর পবিত্র কোরান নিয়ে গোলার আজম যখন কটাক্ষ করে তখন আপনি ধর্ম অবমাননা খুজে পান না কেন?
“খোদাবি বিধান বাস্তবায়নের সেই পবিত্র ভূমি পাকিস্তান আল্লাহর ঘর। আল্লাহর এই পূত পবিত্র ঘরে আঘাত হেনেছে খোদাদ্রোহী কাপুরুষের দল। এবারের শবে কদরে সামগ্রিকভাবে ইসলাম ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরিচালিত উল্লেখিত যাবতীয় হামলা প্রতিহত করে, সত্যিকারের শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠার এই তীব্র অনুভূতি আমাদের মনে সত্যিই জাগবে কি?”
– মতিউর রহমান নিজামী (দৈনিক সংগ্রাম, ১৬ নভেম্বর/১৯৭১)
নিজ কাজ হাসিল করার জন্য কোথাও কি ধর্ম কে ব্যবহারের কথা বলা আছে কিনা তা আমি জানি কিন্তু কোন খারাপ কাজ হাসিলের জন্য ধর্মের ব্যবহার কি ধর্মের অবমননা নয়।নিজামী কে যখন জামাত ইসলাম এর কর্মীরা আল্লাহর নবী বলে দাবী করেছিলেন তখন কি ধর্ম অবমাননা হয়নি,যদি হয়েই থাকে তাহলে তখন আপনার চাপাতির কোপ কোথায় ছিলো?
জামাত ইসলামের মূল ভীত যে তৈরী করেছেন তিনি নিজেই ছিলেন ধর্মের সবচেয়ে বড় অবমাননাকারী-পবিত্র কোরআন সম্পর্কে তিনি বলেছেন,
“কোরআন করীম হেদায়াতের জন্য যথেস্ট,কিন্তু নাজাত বা মুক্তির জন্য নয়” (মওদুদীর তাফহিমাত, 1ম খন্ড, পৃষ্ঠা 312)।
কিন্তু কেউ কি কখন মুওদুদীর বই বাজার থেকে উঠিয়ে নেয়ার কথা বলছে বলে নাই কারণ তারা ধর্ম অবমাননা কে জাস্ট ট্যাগ হিসাবে ব্যবহার করেন আসলে ঘটনা হচ্ছে অন্য।নীতিগত ভাবে দেখলে একজন ভুলভাবে ধর্মের ব্যাখ্যাকারীর মতের উপর যে দল সমাজে বিদ্যমান তারাও কি ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা করে না?আর ধর্মের ভুল ব্যাক্যা কি ধর্ম অবমাননা নয়?বেশিদিন আগে না ২০১৩ সালের মে মাসে হেফাজত কোরান পুড়িয়েছে তাতেও কি ধর্মের অবমাননা হয়নি।
২০১৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার ৬ষ্ঠ পাতায়‘চান্স এডিটর নয়, চান্স চিফ এডভাইজর,দি কাউন্ট অব মন্টি কৃস্টোর ফেরার অপেক্ষায়’ শীর্ষক কলামে শফিক রেহমান প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের সমালোচনা করতে গিয়ে তাকে‘চান্স মোহাম্মদ`
বলে সারা বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছেন তাতেও কি ধর্মের অবমাননা হয়নি?
একটা অবুঝ মানুষ ও একথা বলার পরে বুঝতে পারবে যে এরা যদি সমাজে বেঁচে থাকতে পারে তাহলে আজাদ,রাজিব আর অভিজিৎরাও বেঁচে থাকতে পারে।পৃথিবীর অন্যান্য দেশে কি নাস্তিক রা বেঁচে থাকে না?থাকো তো নাকি। কোরআন মানুষকে স্বাধীনতা দিয়েছে নিজের মত বিশ্বাসের। ভাল মন্দের বিচার মহান বিচারক করবেন। আমি বা আপনি না।যারা মানুষ মেরে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাদের জন্য বলি বিদায় হজের ভাষন পড়ে দেখার জন্য আর আল্লাহ নিজে ইসলাম ও পবিত্র কোরানের হেফাজত করবেন।
“বলুনঃ সত্য তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত। অতএব,যার ইচ্ছা, বিশ্বাস স্থাপন করুক এবং যার ইচ্ছা অমান্য করুক।”
(সূরা আল কাহফ, আয়াত ২৯।
আবারো বলছি তার মানি দুইটা বিষয় আর পরিষ্কার করার কোন দরকার নেই এক ইসলাম ধর্ম বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য কেউ কে হত্যার হুকুম দেয় নাই।দুই,যারা ধর্মের অবমাননার নামে কারণে মানুষ মারছে তারা আসলে নিজের উদ্দেশ্যে মানুষ খুন করছে সাধারনের চোখে ধুলা দেবার জন্যই
ধর্ম টেনে আনছে।
চলবে………