কথায় আছে সুখ বেশি দিন থাকে না । জাহানার ইমাম এর ক্ষেত্রে তার ব্যতিকম্র হয়নি। ভালো চলতে থাকা তার সংসার এর দিনগুলোর মাঝে দেশের অবস্থা তখন চরম খারাপ এর দিকে দেশে যুদ্ধ শুরু হওয়া তখন সময়ের ব্যাপ্যার মাত্র।কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তার ছেলেদের নিয়ে বড় ছেলে আইএসসি পাশ করে বিশববিদ্যালয় এর পথে এখন কোন ছেলে কে তো ঘরে বেঁধে রাখা যায় না যদিও রুমি তার বড় ছেলে মায়ের বাধ্য সন্তানই ছিলো
কিন্তু রুমিকে এখন দেশের সমস্যা নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন । নিয়মিত মিছিল মিটিং এ যাচ্ছে দেশের সমস্যা নিয়ে চায়ের টেবিলে কথা আগুন ছড়াচ্ছে । রুমি এখনো বুঝতে পারছে না শেখ সাহেব স্বাধীনতার ঘোষণা দিচ্ছে না কেন?কিন্তু জাহানারা ইমাম এর ভয় কিন্তু যুদ্ধ শুরু হলে তার বুকের মানিক কে কি করে ঘরে আটকে রাখবেন ? রুমির এই বয়সে এত পড়াশুনা মার্কস এংলেস ,মাও-সে-তু ং য়ের মিলিটারি রাইটস একবারে গুলে খেয়েছে এমন ক্লিয়ার কনসেপসান ওকে কোন যুক্তি দিয়ে বাধা দেয়া যাবে না।
দেশে ইয়াহিয়া -মুজিব-ভুট্টু বৈঠক ব্যর্থ হবার পড়ে ২৫ এ মার্চের কাল রাত্রি যা সবারি জানা ।এপ্রিলের প্রথম দিকে রুমি তার কাছে যুদ্ধে যাবার অনুমুতি চায় । জাহানার ইমাম প্রথমে রাজি হয়নি এইটুকু ছেলে মাত্র ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হলো ও যুদ্ধের কি বুঝে ও কি যুদ্ধ করবে ।
অনেক ভাবনা-চিন্তার পড়ে দেশের তরে নিজের ছেলেকে তিনি বুকে পাথর চেপে যুদ্ধে যাবার অনুমতি দেন যাবার সব বলেন"যা তোকে দেশের তরে কোরবানি করে দিলাম"
বুকের ভিতর ভয় আর কষ্ট নিয়ে তিনি দিন কাটাতে থাকেন এর মধ্যে সংসারের সব কাজ তাকেই করতে হচ্ছে ছেলের কোন খোঁজ তিনি জানেন না।এরই মাঝে রুমির পাঠানো গেরিলাদের কাছে ছেলে খোঁজ পান তিনি । রুমীর কথা মত তিনি গেরিলাদের সাহায্য করতে থাকে নানা ভাবে।
চলবে ...