হাজার রঙের পসরা...
সেখানে বসন্ত ঘর বেঁধেছে অনন্ত কালের জন্য।
জাফরানী এক পাত্র পরিপূর্ণ করে রেখেছে,
আরেক পাত্রে টকটকে কৃষ্ণচূড়ার লাল,
অন্য পাত্রে গাঁধার বোঁটার নীচে থাকা ঘন সবুজ,
অপরাজিতা রেখেছে গাঢ় বেগুনী রঙের গল্প,
চাঁপা ফুলের রঙটা যেন বেশ স্নিগ্ধ!
সবাই মিশে আছে হাজার রঙের মেলা নিয়ে।
এখানে বসন্ত খেলে যায় বিস্তৃর্ণ আঙ্গিনায়।
মৌটুসী'র অপেক্ষায় বাধ্য এক যোগী,
কখন মৌটুসী এই বাগানের ফুলগুলো থেকে মধু আহরণে আসবে!
এমন নির্মল রূপ কেবল পিপাসা বাড়িয়ে যায়।
.
.
হৃদয় আমার ক্লান্তিহীন এক রঙমিস্ত্রী।
তার যে অঙশ জুড়ে বিবর্ণতার ছাপ বাসা বাঁধতে চায়,
সে সেখানে আবার তুলির আঁচড়ে বর্ণিল করে তোলে।
শত শতাব্দী পরে যদি সেখানে আসো,
দেখতে পাবে ছোট ছোট পাতার ফাঁকে দুলতে থাকা কামিনী সৌরভে অম্লান।
বহুকাল পরে প্রথম যেদিন তুমি অর্জুন তলায় দাঁড়াবে,
সেদিন সবুজে উচ্ছল তার যৌবন।
.
অথচ এই হৃদয়ের আঙ্গিনায় একদিন তুমি পা ফেলতে চাওনি।
গাঢ় রঙের গভীরতা তোমায় বুঝতে দেয়নি রঙমিশেল।
রঙমিস্ত্রীর হাতে রঙ ছিল,আরো একটা মন রাঙিয়ে দিতে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৪