এ্যলেন বাংলা বেশ ভালো বোঝে। একটু আধটু বলতেও পারে, খুব কষ্টে। তবে মজার ব্যপার, বাংলা পড়ার ব্যপারে ওর আগ্রহ সবচেয়ে বেশি।
বহু দিন আগে, একবার এ্যলেনকে দেখেছিল, বাংলা পড়তে চেষ্টা করছে, একটা একটা করে শব্দ অনুবাদ করে, অনলাইনে। পরে একটা সময়, ডিকসেনারী কিনে ব্যবহার করতো। সে কারনেই হয়তো, মোটামোটি ভালো ভাবেই পড়তে পারে, তবে কেবল ছাপার অক্ষরগুলো অনলাইনে। হাতে লেখা বাংলা আর চাইনিজের মাঝে নাকি কোন পার্থক্য করতে পারেনা, বেচারা। এসব দেখতে মজাই লাগতো, আনন্দর।
মাঝে মাঝে পাগল মনে হয় আনন্দর, নিজেকে। জানে কোনদিন পাঠাবেনা কোন চিঠি, তবু লিখে যায়। তার কল্পনার জগতে এ্যলেনকে বসিয়ে, প্রেরক হিসেবে । কেবল চিঠি লিখে যায়- চারপাশে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা, ছোট-ছোট অনুভূতিগুলো, নিজের মতো করে। নেই কোন বাধা, কোন বিপত্তি ।তবু চিঠি পায়না প্রাপক। এ্যলেন জানে না আনন্দের এই খোলা চিঠির ভান্ডারের ঠিকানা। আনন্দের কেবল প্রত্যাশা , কোনদিন জানবে এ্যলেন, কেও তাকে ভালোবাসতো; এই ব্লগের পাতা অনুবাদ করে।
আনন্দ কোনদিন প্রকাশ করেনি ওর অনুভূতি এ্যলেনকে। ও জানে, না বলা এই কথা, এ্যলেন জানে। তাই না বলা কথা হয়েই রয়ে গেছে সেসব। কোনদিন যদিবা পারে বলতে, সেদিন তার দাবী হবে খুব বেশি - খুব জোড়ালো। প্রকাশ করা কিংবা বলে ফেলা অনেক কথার চাইতেও, হয়তো তাই না বলা এই অনুভূতি শুনতে চাইবার আকাংখা বেশি। কিন্তু সেকারনে কি আনন্দের এই গোপনীয়তা?
যে সম্পর্কের বেড়ে ওঠা এক অজানা ভিত্তির উপর। যার গঠনের কোন নির্দিষ্ট কাঠামো নেই। যেখানে লুকানো ছিলনা কিছুই, অব্যক্ত ছিল কেবল অনুভবগুলো। যার কাছে, ভাবনা আর ব্যক্ত করার মাঝে ছিলনা কোন দেয়াল, তাকেই বলা হলো না অনেক কিছু, আনন্দর।
বলা হলোনা, "তোমাকে নিয়ে স্টেশনের পাশের কোন দোকানে , কোন এক ভোরে খেতে যাব গরম পরটা সাথে ডিম ভাজা। তুমি খাবে মুগের ডাল ভুনা আর আমি সবজি। আমার স্বপ্নের সেই ছোট্ট দোচালা বাড়িটার টিনের চালের বারান্দায় বসে চা খাব তোমায় নিয়ে। কোন একদিন রিক্সায় ঘুরবো, কড়া রোদে, সারাদিন। কোন এক ছোট্ট নদীর পাড়ে বসে কাটিয়ে দেব পুরো একটা বিকাল। সাথে থাকবে কেবল চিনাবাদাম আর লবন। তোমার সেই এ্যলমন্ড কিংবা ক্যসুতে আমার চলবে না।"
বলা কি হবে আনন্দের? তাই তো লিখে যায় ....।
This is me…A pointless mind….who Loves you , like to keep you in her prayer till last breath……
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৪৭