আসসালামু আলাইকুম।
আপনি যদি নিজেকে একজন মুসলমান দাবী করে থাকেন আপনার বিবেকের কাছে কিছু প্রশ্ন
১. মুসলমানের প্রকৃত সংজ্ঞা কি?
২. কোনও রাষ্ট্রের পক্ষে কি কোনও দলকে অমুসলিম ঘোষণা দেবার অধিকার আছে?
৩. ইসলাম ধর্মের শিক্ষা কি, শান্তি না যুদ্ধ?
৪. শত্রু অস্ত্র না নিলে কি ইসলাম মুসলমানকে অস্ত্র নিতে অনুমতি দেয়?
আহমদীয়া কোনও নতুন ধর্ম নয়। আমরা কুরআনের শ্রেষ্ঠতার ওপরে ঈমান এনেছি, সকল নবীর ওপরে রাসূলূল্লাহ হযরত মুহাম্মদ (সা) এর শ্রেষ্ঠতার ওপরে আমাদের ঈমান দৃঢ়। ইসলামের মূল পাঁচটি স্তম্ভ আমরা সব অবস্থায় মেনে চলি যেগুলো হচ্ছে (১) কালিমা, (২) নামাজ, (৩) রোজা, (৪) হজ্জ, (৫) যাকাত
আমাদের ইসলামের মূল ছয়টি বিশ্বাস জানেন?
’আমানতু বিল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহী ওয়া কুতুবীহি ওয়া রাসূলিহী ওয়া ইয়াওমিল আখিরী ওয়াল কাদরী খায়রিহী ওয়া শাররিহী মিনাল্লাহী তা’আলা ওয়াল বাসী বাদাল মাওত’
উপরের সবগুলোই আমরা মানি। তবুও আলেম-মোল্লার দল আমাদের অমুসলিম ঘোষণার দাবী জানায়।েএর কারণ জানেন? কারণ ধর্মভিত্তিক যে ব্যবসা তারা করে, সব লোক আহমদী হলে তাদের সে পেটে লাথি পড়বে। আমাদের নামে যে অপপ্রচার হয় তার বেশীরভাগই যে কেউ আমাদের মসজিদে একবার ঢুকলেই মিথ্যা বুঝতে পারবে। আর রইলো প্রমাণ আমাদের ঐশী মসীহর আগমণের, এখন আপনি যদি ভাবেন আকশে থেকে কেউ নেমে এসে আমাদের সাক্ষী হওয়া প্রয়োজন, তবে মাফ চাচ্ছি, নেই। আমাদের বেশীরভাগ নিদর্শন আমরা ঐশী দাবী করি, কিছু বলি
১. ক্রুশীয় মতবাদ ভঙ্গ: আমাদের জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মসীহ মাউদ (আ) এর আসার পরে তিনি দাবী করেন যে ঈসা(আ)ক্রুশবিদ্ধ হলেও সেখানে মারা যাননি, শিষ্যদের সহায়তায় তিনি সেখান থেকে হিজরত করেন ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের পর ভারতে মৃত্যুবরণ করেন। এই থিওরী ‘Jesus in India’ থিওরী যা নিয়ে পরবর্তীতে অনেক গবেষণা হয় এবং সত্য প্রমাণিত হয়। এটা ঈসা(আ) এর অমরত্ব এবং খোদার পুত্র(নাউযুবিল্লাহ) হবার যুক্তির ওপরে চরম আঘাত যা ক্রুশীয় মতবাদের ধ্বংসের সর্বোত্তম হাতীয়ার।
২. তরবারীর জিহাদের সমাপ্তি: এযুগে ইসলামের বিরোধিীদের অস্ত্র কলম এবং শিক্ষা। যখন বিরোধীরা অস্ত্র না নেয় আপনি কি অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করতে পারবেন?
৩. ইসলামের প্রকৃত শিক্ষার প্রচার: আমাদের বিরোধীরা দৃঢ়কন্ঠে অস্বীকার করবেন, কিন্তু আজকাল বিশ্বের বহু জায়গায়ই মৌলবীদের ইসলাম প্রচারে মসীহ মাউদ(আ) এর বই থেকে জ্ঞান নেয়া লাগে, কারণ প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা এসব বইয়ে যেভাবে আছে আর কোনও মৌলবীর বইয়ে এভাবে নেই। জাকির নায়েকের নাম নেয়া যায়, ভদ্রলোকের বেশীরভাগ জ্ঞান আমাদের বইয়ের এটা প্রমাণিত, তবে সশস্ত্র জিহাদ নিয়ে বলতে গিয়ে ধরা খেলেন তিনি। পার্থক্য একটাই, আহমদীয়ার বিপক্ষে কথা বলতেন তাই তিনি আমাদের চেয়ে বেশী গ্রহণযোগ্য।
এবার একজন বুদ্ধিবান মানুষের বিবেকের কাছে কিছু প্রশ্ন
১. কেন অ-আহমদী আলেমরা আমাদের ওপরে খড়গহস্ত হবার পরেও আহমদীদের ঈমানে ভাটা পড়েনা?
২. কেন এতো অপমানের পরেও আহমদীরা ঈমান ত্যাগ করেনা?
৩. কেন আমাদের মিথ্যা প্রমাণের জন্য এতো আয়োজন?
৪. সত্যের চেয়ে মিথ্যা প্রচার আমাদের নিয়ে বেশী কেন?
৫. আমাদের অমুসলিম ঘোষণা দেবার পেছনে আলেমদের স্বার্থ কি?
৬. আমাদের উদ্দেশ্য যদি খারাপ হতো তবে কেন আমরা বিশ্বে ইসলামের স্বার্থ রক্ষার জন্য আন্দেলন করি?
৭. আমরা যদি খ্রিস্টান-ইহুদিদের গুপ্তচর হতাম তবে কেন আমরা তাদের দেশে গিয়েই তাদের কাছে ইসলাম প্রচার করি?
আসলে প্রকৃতপক্ষে ইসলামের বিজয়বাণী ঘোষিত হয়ে গেছে। আমরা শেষযুগের আল্লাহর বাণী প্রচারক দল। আল্লাহর পথে নিজেদেন জ্ঞান , সময় ও মালের কুরবাণী করি আমরা। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আল্লাহর ঐশী সাহায্য আমরা পাবো, এবং প্রতিটি আহমদী নিজের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহর রহমতের দেখা পায়, যার জন্য শত কষ্ট সহ্য করেও আমাদের আল্লাহর প্রতি ঈমান টলে না।
আপনি কি এই ঐশী নিয়ামতের অংশীদার হতে চান?