প্রথম ৩-৪ সপ্তাহ, সপ্তাহে ২ দিন kitokonajol যুক্ত (select plus) স্যাম্পু ব্যবহার করেন। এতে প্রথমে চুল একটু বেশি উঠতে পারে। ভয়ের কিছু নাই। এটা শুধু মাথার খুশকি নয় মাথার ছত্রাকজনিত অন্যান্য সমস্যাও দূর করবে। যা চুল পরার জন্য ৭০-৮০% দায়ী। আর হারবাল স্যাম্পু প্রতিদিন ব্যবহার করবেন। Farmasi ব্রান্ডের অরিজিনাল টা এ জন্য সবচেয়ে ভাল। আর দুইদিন হারবাল সাম্পু ব্যবহারের পর একদিন সাধারণ স্যাম্পু ব্যবহার করুন। তবে অবশ্যই clear ব্রান্ড নয় এবং খুশকি দূর করার জন্য তো kitokonajol স্যাম্পুর কথা বললাম। চুল নষ্ট করার জন্য clear ব্রান্ডরে জুতা মারা উচিত। অর্থাৎ প্রথম ৩-৪ সপ্তাহ kitokonajol- হারবাল-হারবাল-সাধারন- - - এইভাবে। তারপর kitokonajol-হারবাল-হারবাল-নরমাল-হারবাল-হারবাল-এইভাবে।
ভাই, আমলকি + হরতকি + মেথী + নিমপাতা + আমলা্ এইগুলা উপকারী কিন্তু বেশিদিন maintain করা যায় না। যেমন দূর্বা ঘাসের রস মাথার চুলের জন্য root glue-এর মতো কাজ করে কিন্তু পাবেন কোথায় আর প্রতিদিন ব্যাবহারও মুশকিল। মাথার চুলে মনে হয় কে যেন আঠা দিয়া রাখছে। আর একটা কথা, supply-এর পানিতে treatment-এর নামে বেশি clorine ব্যবহার হয়ে থাকলে আপনার টাক বেরোতে বেশি দিন নাই। আবার পানিতে iron বেশি থাকলেও একই কথা। অবশ্যই পরিস্কার পানি দিয়ে চুল ধোবেন। অনেক সময় দেখা যায় পানিতে গন্ধ বা নোংরা বা iron এর কারনে বালতিতে পানি ভরার পর আর তলা দেখা যায় না তখন অবশ্যই গোসল বাদ। আর স্যাম্পু করার সময় অবশ্যই চুলের গোরায় আঙুল দিয়ে ধীরে ধীরে massage করবেন এবং ধোবার সময়েও একই ভাবে ভালভাবে ধুয়ে নিবেন। আর গোসলের পর চুল ভালভাবে মুছে তারপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়াবেন। কখনই চুল দেবে আঁচড়াবেন না। এবং আঁচড়ানোর কিছুক্ষণ পর plastic এর কলম বা চুলের কাঠি বা আঙুল চুলের ভিতরে চালিয়ে ভেজা ভেজা ভাবটা দূর করবেন। এবং বালিশের তোয়ালে, কভার এসব সবসময় পরিস্কার করবেন এবং রৌদ্রে দেবেন। কেননা এগুলো নোংরা থাকলে এতে অণুজীব বাসা বাঁধে যা চুলের ১২টা বাজায়। এবং প্রতিদিন গোসল না করলেও অন্তত চুল ধোবেন। এবং তা অবশ্যই ঠাণ্ডা পানিতে।
অনেকে টক ফল আর তেল ব্যবহারের কথা বলেন। তাদের জন্য - যে কোন টক ফল খাওয়া শুধু চুলের জন্য নয় শরীরের জন্যও উপকারী। আমলকি+ হরতকি+মেথী+নিমপাতা+আমলা্ এইগুলো চুল পড়া যদিও বন্ধ করে তবে তা সাময়িক। আর ঐ যে বললাম maintain করবেন কিভাবে? আর আপনি যদি sure হন যে আপনার ছত্রাকজনিত সমস্যা নাই তবে তেল ব্যবহার করতে পারেন। যাইহোক, স্বাভাবিকভাবে প্রচুর পানি খাবেন, বেশি সবজি খাবেন, রাত না জাগার চেষ্টা করবেন। তবে আজকাল বাজারে যা ভ্যাজাল। কিসের স্যাম্পু আর কিসের খাবার !!! এগুলোই চুল তোলার জন্য সহায়ক যাই হোক, প্রথমের দিকে ভিটামিন ই, ভিটামিন ই শরীরে গ্রহনের জন্য ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেতে পারেন। মাথায় তেলের সঙ্গে ভিটামিন ই ব্যবহার করতে পারেন। তবে তা গোসলের আগে। রাতে তেল দিয়ে পরদিন স্যাম্পু অবশ্যই বাদ। কেননা তেল মাথা ঠাণ্ডা এবং চুলের স্বাভাবিক আদ্রতা ধরে রাখলেও তা মাথার ছত্রাককে দ্রুত বাড়ায় এবং অণুজীবগুলোর খুব প্রিয়। আর মাথায় লেবুর রস অভ্যাস থাকলে তা বাদ। কেননা ph এর মান বেশি এমন জিনিস বেশীক্ষণ চুলে থাকলে গোড়াতে বিদ্যমান জৈব উপাদানের সাথে বিক্রিয়া করে ধীরে ধীরে অনেকদিনে চুলের ১২টা বাজে। এবং বৃষ্টির পানিও আজকাল ব্যবহার করা উচিত না। কেননা বৃষ্টির প্রথম দিকে আজকাল প্রচুর এসিড থাকে এবং সবসময় বৃষ্টির জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াতো আছেই। যা চুলের জন্য ক্ষতিকর।
ও আর একটা কথা, চুল হঠাৎ করে বেশি ছোট করবেন না এতে চুলের উপরের বেশি অংশ কেটে ফেলার ফলে নিচের আদ্র চুলে হঠাৎ বাতাস, ধুলো এবং রৌদ্র লাগতে শুরু করে যা চুলকে রুক্ষ করে এবং পড়তে সাহায্য করে। আর নাপিতকে অবশ্যই চুল কাটার সময় বেশি টানাটানি করতে দেবেন না।
চুলের সমস্যা আমারও ছিল। আমি জানি কেমন লাগে। তাই প্রায় ৪ -৫ বছর ধরে experiment করে এইগুলা বের করেছি। আগে আমারও টাক বের হবে বের হবে করছিল। আজ মাথায় স্বাভাবিক পরিমাণ চুল। তবে এগুলো পদ্ধতি প্রয়োগ করার পর ফলাফল আসতে ২ - ২.৫ মাস সময় লাগবে। তাই প্রথমে ঘাবড়ে না গিয়ে ব্যবহার করতে থাকুন। আপনার উপকারে লাগবে আশা করি। তবে আপনার চুল হারানো যদি বংশগত হয়, অর্থাৎ শরীরের বংশগত map অনুযায়ী যদি চুলের জন্য essential হরমোন কমতে থাকে তাহলে বলার কিছু নাই। আমরা ডাক্তারের কাছে গেলে ওরা মাথার ছত্রাকজনিত সমস্যা এবং ভিটামিন নিয়া টানাটানি করে কিন্তু পানি, অনুজিব, ভেজা চুল - এই বিষয়গুলো উনারা ভাবে না। আবার আমলকী, হরতকি এগুলো মাথার ছত্রাকজনিত সমস্যা দূর করতে পারে না।