ভার্সিটিতে দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা দিনাতিপাত করে ২ ঘণ্টার বাস জার্নি করে বাসায় আসতে সমর্থ হই। বাসায় এসে দেখি আমার মামাতো ভাই (মাঝারি সাইজের পিচ্ছি) জুতো পায়ে দিচ্ছে। মানে এতক্ষণ বাসায় বেরিয়েছে। আর এখন চলে যাবে। আমাকে দেখে ডাক দিলো, “অই অমিট। কই সিলি টুই? আমি এতক্ষণ কম্পুটারে গ্যাম (গেম) খেলচি।” আমি ছিলাম ক্লান্ত। বললাম ভালো করেছ। এখন রাত হয়ে গেছে। আমি তোমাকে দিয়ে আসছি বাসায়। পরে আবার এসো। একসাথে গেম খেলবো। এমন করে হাল্কা কথা হল দরজায় দাড়িয়েই। সে দরজা খুলে বাইরে বের হয়ে গেলো। আমি ব্যাগটা কাঁধ ঠেকে নামাতে গেলাম। ও আবার ডাকল, “অই অমিট, আমি সিমস (SIMS 3) খেলচি। তকে বানিয়েচি। এখন ঠেকে কম্পুটারে বসে হাডু টরবি (If you know what he meant !!!)”। বলে টয়লেটে বসার মতো করে মাটিতে বসে পড়লো আর হাসতে লাগলো।
এতক্ষণে তাহলে বুঝতে পারছেন কার কাহিনী বলছি। আমার পিচ্ছি মামাতো ভাই স্বাধীন। তার উল্লেখযোগ্য কিছু উক্তি আজ তুলে ধরবো।
সে তার মার সাথে বাইরে গেছে। দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বলল, “মা আমি চিপস খাবো। ওর মা বলল, “নাহ বাবা, এখন না। পরে কিনে দিব। এখন একজায়গায় যাচ্ছি। এখন রিকশাতে উঠো”। “সে রেগে গিয়ে রাস্তার মাঝখানে দৌড় দিয়ে চলে গেলো আর চিৎকার করতে লাগলো, “অই রিসসাওয়ালা (রিকশাওয়ালা) আমার উপর দি রিসসা (রিকশা) উডি নিয়া যা। আমি বাঁচতে চাই না। মারিয়ালা আমারে মাইয়ালা”। ওর মুখে এই কথা শুনে ওর মা স্তব্ধ হয়ে গেলো !!!
আরেকদিন রাতে ঘুমানোর সময় কি হল বলি। ওর মা ওকে ঘুম পারাচ্ছে। সবার আগে মশারি টাঙ্গানো হল। হঠাৎ ওর অবজেকশন, “আমি আমি মশারিতে ঘুমাবো না। ওর মা বলল, “নাহ বাবা, মশা কামড় দিবে কিন্তু”। এটা শুনে সে কান্না শুরু করে দিলো। ওর মা ওকে বকা দিয়ে বলল, “জেতা বলসি সেতাই, এত জিদ করে না”। সাথে সাথে ওর উত্তর, “ধ্যাত। আমি আর বাচতে চাই না। মারিয়ালা আমারে মারিয়ালা। মরি যামু, কিন্তু মশারিতে ঘুমাব না”। ওর উত্তর শুনে ওর মা আবার হতবাক !!!
আরেকবার স্বাধীন শুয়ে শুয়ে সঙ্গীত বাংলায় গান শুনছিল। এমন সময় ওর বাবা এসে চ্যানেল চেঞ্জ করলো। “বাবা গান দাও। গান দাও”। “দারাও বাবা, একটু খবরটা দেখে নেই আমি”। এরপর সে কান্নাকাটি করতে লাগলো, “গান না দিতে পারলে মারিয়া ফেল আমারে। আমি বাঁচতে চাই না এই দুনিয়াতে আমি বাঁচতে পারবো না”। এই কথা শুনে ওর বাবা স্তব্ধ হয়ে গেলেন। এবং সঙ্গীত বাংলা দিয়েই দ্রুত প্রস্থান করলেন।
বাবার সাথে কনফেকসনারি দোকানে গিয়ে দোকানদারকে বলল, “আমাকে চকলেট দেও”। ওর বাবা বলল, বাবা তুমি বিস্কুট নাও”। “নাহ আমি চকলেট নিবো। ওই দোকানদার চকলেট দে আমারে”, বলে জিদ করতে লাগলো। দোকানদার মজা পেয়ে বলল, “তোমার বাবাতো না করসে, তোমাকে আমি চকলেট দিবো না। বিস্কিট নিয়া যাও”। এই কথা শুনে স্বাধীন কেঁদে বলল, “কথিন (কঠিন) দুনিয়াতে আমি বাঁচতে চাই না। মারিয়ালাও আমারে মারিয়ালাও। অই দুকান্দার (দোকানদার) টুইও (তুইও) মরি যা। চকলেটের বক্স তর উপর পরবে। টুই (তুই) তাড়াতাড়ি মরি যা”। ওর কথা শুনে দোকানদার আর বাবা দুইজনই মাননীয় স্পিকার হয়ে গেলেন।
ভার্সিটিতে দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা দিনাতিপাত করে ২ ঘণ্টার বাস জার্নি করে বাসায় আসতে সমর্থ হই। বাসায় এসে দেখি আমার মামাতো ভাই (মাঝারি সাইজের পিচ্ছি) জুতো পায়ে দিচ্ছে। মানে এতক্ষণ বাসায় বেরিয়েছে। আর এখন চলে যাবে। আমাকে দেখে ডাক দিলো, “অই অমিট। কই সিলি টুই? আমি এতক্ষণ কম্পুটারে গ্যাম (গেম) খেলচি।” আমি ছিলাম ক্লান্ত। বললাম ভালো করেছ। এখন রাত হয়ে গেছে। আমি তোমাকে দিয়ে আসছি বাসায়। পরে আবার এসো। একসাথে গেম খেলবো। এমন করে হাল্কা কথা হল দরজায় দাড়িয়েই। সে দরজা খুলে বাইরে বের হয়ে গেলো। আমি ব্যাগটা কাঁধ ঠেকে নামাতে গেলাম। ও আবার ডাকল, “অই অমিট, আমি সিমস (SIMS 3) খেলচি। তকে বানিয়েচি। এখন ঠেকে কম্পুটারে বসে হাডু টরবি (If you know what he meant !!!)”। বলে টয়লেটে বসার মতো করে মাটিতে বসে পড়লো আর হাসতে লাগলো।
এতক্ষণে তাহলে বুঝতে পারছেন কার কাহিনী বলছি। আমার পিচ্ছি মামাতো ভাই স্বাধীন। তার উল্লেখযোগ্য কিছু উক্তি আজ তুলে ধরবো।
সে তার মার সাথে বাইরে গেছে। দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বলল, “মা আমি চিপস খাবো। ওর মা বলল, “নাহ বাবা, এখন না। পরে কিনে দিব। এখন একজায়গায় যাচ্ছি। এখন রিকশাতে উঠো”। “সে রেগে গিয়ে রাস্তার মাঝখানে দৌড় দিয়ে চলে গেলো আর চিৎকার করতে লাগলো, “অই রিসসাওয়ালা (রিকশাওয়ালা) আমার উপর দি রিসসা (রিকশা) উডি নিয়া যা। আমি বাঁচতে চাই না। মারিয়ালা আমারে মাইয়ালা”। ওর মুখে এই কথা শুনে ওর মা স্তব্ধ হয়ে গেলো !!!
আরেকদিন রাতে ঘুমানোর সময় কি হল বলি। ওর মা ওকে ঘুম পারাচ্ছে। সবার আগে মশারি টাঙ্গানো হল। হঠাৎ ওর অবজেকশন, “আমি আমি মশারিতে ঘুমাবো না। ওর মা বলল, “নাহ বাবা, মশা কামড় দিবে কিন্তু”। এটা শুনে সে কান্না শুরু করে দিলো। ওর মা ওকে বকা দিয়ে বলল, “জেতা বলসি সেতাই, এত জিদ করে না”। সাথে সাথে ওর উত্তর, “ধ্যাত। আমি আর বাচতে চাই না। মারিয়ালা আমারে মারিয়ালা। মরি যামু, কিন্তু মশারিতে ঘুমাব না”। ওর উত্তর শুনে ওর মা আবার হতবাক !!!
আরেকবার স্বাধীন শুয়ে শুয়ে সঙ্গীত বাংলায় গান শুনছিল। এমন সময় ওর বাবা এসে চ্যানেল চেঞ্জ করলো। “বাবা গান দাও। গান দাও”। “দারাও বাবা, একটু খবরটা দেখে নেই আমি”। এরপর সে কান্নাকাটি করতে লাগলো, “গান না দিতে পারলে মারিয়া ফেল আমারে। আমি বাঁচতে চাই না এই দুনিয়াতে আমি বাঁচতে পারবো না”। এই কথা শুনে ওর বাবা স্তব্ধ হয়ে গেলেন। এবং সঙ্গীত বাংলা দিয়েই দ্রুত প্রস্থান করলেন।
বাবার সাথে কনফেকসনারি দোকানে গিয়ে দোকানদারকে বলল, “আমাকে চকলেট দেও”। ওর বাবা বলল, বাবা তুমি বিস্কুট নাও”। “নাহ আমি চকলেট নিবো। ওই দোকানদার চকলেট দে আমারে”, বলে জিদ করতে লাগলো। দোকানদার মজা পেয়ে বলল, “তোমার বাবাতো না করসে, তোমাকে আমি চকলেট দিবো না। বিস্কিট নিয়া যাও”। এই কথা শুনে স্বাধীন কেঁদে বলল, “কথিন (কঠিন) দুনিয়াতে আমি বাঁচতে চাই না। মারিয়ালাও আমারে মারিয়ালাও। অই দুকান্দার (দোকানদার) টুইও (তুইও) মরি যা। চকলেটের বক্স তর উপর পরবে। টুই (তুই) তাড়াতাড়ি মরি যা”। ওর কথা শুনে দোকানদার আর বাবা দুইজনই মাননীয় স্পিকার হয়ে গেলেন।