নতুন আরেকটি বছরের শুরু হলো।পুরনো সব ব্যথা, চাপা দুঃখ, কান্না ভুলে গিয়ে সবাই আমরা এখন নতুন বছরকে বরণ করতে ব্যস্ত।নতুন সব সপ্ন নিয়ে আমাদের পথচলা যেন আবার শুরু হলো।সারা বছর মন খারাপ করার মতো খবর শুনলেও, কিছু সংবাদ ছিল যেগুলো আমাদের সবার মনকে ভাল করে দেয়ঃ-
জার্মানির গ্রোনা শিপিং কোম্পানির কাছে দুটি জাহাজ হস্তান্তর করেছে চট্টগ্রামের ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। প্রায় ১৬০ কোটি টাকা মূল্যের জাহাজ দুটি হচ্ছে ‘গ্রোনা এমারসাম’ ও ‘গ্রোনা বিয়েসসাম’। বিদেশি বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে দেশীয় প্রকৌশলীরা চট্টগ্রামের ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডে এই দুটি জাহাজ একসঙ্গে তৈরি করেছে। গ্রোনা শিপিং কোম্পানির কাছে ১২টি জাহাজের রপ্তানি আদেশ পায় ওয়েস্টার্ন মেরিন। ৩৮টি ইউরোপীয় কোম্পানির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি এই দুটি জাহাজে তিন হাজার টন লোহা ব্যবহূত হয়েছে। ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের সফলতার মাধ্যমে বিশ্বের জাহাজ নির্মাণ শিল্পের বাজারে নতুন ভাবমূর্তি তৈরি করছে বাংলাদেশ। আমাদের সরকার যদি আর সচেতন হয়, তাহলে ভবিষ্যতে ত আমরা আমাদের জাহাজ শিল্পকে অনেক দূরে নিয়ে যেতে পারব।
দু’এক দশক আগেও এ দেশ ছিলো বিদেশি ওষুধের ওপর নির্ভরশীল। বর্তমানে মানুষের চাহিদার প্রায় সবটাই দেশে তৈরি ওষুধই মেটাচ্ছে। তাছাড়া উল্লেখযোগ্য ভাবে বিদেশে বাংলাদেশি ওষুধ রফতানিও হচ্ছে। দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় ওষুধের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ওষুধের বর্ধিত চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে ওষুধ রফতানি তাই একটি চমকপ্রদ সাফল্যচিত্র। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ওষুধ রফতানির পরিমাণ ছিলো ৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার। ২০০৮-০৯ সালে তা বেড়েছে ৬ দশমিক ২১ শতাংশ। মোট ওষুধ রফতানি হয়েছিলো ৪ কোটি ৫৬ লাখ ৭০ হাজার ডলারের। চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে রফতানি আয় আগের চেয়ে বেড়েছে ২০ দশমিক ৭০ শতাংশ। ছয় মাসের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২ কোটি ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার। রফতানি হয়েছে ২ কোটি ২৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার। বাংলাদেশের ওষুধের মান আন্তর্জাতিক সাধারণ মানকে ছাড়িয়ে যাওয়ার ফলে আন্তর্জাতিক চাহিদা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। স্কয়ার ফার্মা, রেনেটা ও এসকেএফের মতো অনেক প্রতিষ্ঠান যুক্তরাজ্যের মেডিসিন অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট রেগুলেটরি এজেন্সি কর্র্তৃক স্বীকৃত। ইনসেপ্টা ও বেক্সিমকো ফার্মা যথাক্রমে অস্ট্রিয়ার এমা ও অস্ট্রেলিয়ার থেরাপিউ টিক গুডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের স্বীকৃতি পেয়েছে। এ স্বীকৃতি এসব কোম্পানিকে বিশ্বের এমন সব আকর্ষণীয় বাজারে প্রবেশের সুযোগ করে দেবে, যেখানে প্রবেশ করতে হলে বিশ্বের নামকরা বড় বড় কোম্পানিকেও দাম ও মানের জন্য প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে হয়।তাছাড়া ২০১১ সাল থেকে নোভো নরডিস্কের সহায়তায় সম্পূ্ন আন্তজাতিক মানসম্মত ইনসুলিন বাংলাদেশে তৈরি হবে। নোভো নরডিস্ক এজন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে এস কে এফ এর সাথে। কোম্পানির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জেসপার হইল্যান্ড বলেন : প্রথমত, এটা থেকে এসকেএফ আর্থিকভাবে লাভবান হবে। তার চেয়ে বড় হলো, বাংলাদেশে ও বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানে বিশ্বমানের ওষুধ পণ্য উৎপাদিত হবে। এই উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশে নতুন প্রযুক্তি স্থানান্তর হবে। এতে মানুষের নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে জ্ঞান বাড়বে। মানুষের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। তা ছাড়া আমরা নোভো নরডিস্কের পক্ষ থেকে ২০ হাজার কোটি বিলিয়ন ডলার খরচ করছি নতুন পণ্য ও সেবার পন্থা উদ্ভাবনের জন্য।
পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ গত অর্থবছরে পাঁচ হাজার ৫৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা আয় করেছে। যা গত অর্থবছরের চেয়ে দুই হাজার কোটি টাকারও বেশি।বাংলাদেশ গত ২০০৯-১০ অর্থবছরে দুই লাখ ৮৭ হাজার ৮০৪ দশমিক ৭০ মেট্রিক টন পাট রপ্তানি করে এক হাজার ১৩০ কোটি টাকা আয় করে। এর আগে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে তিন লাখ ১৪ হাজার ৯১২ দশমিক ১৬ মেট্রিক টন পাট রপ্তানি করে আয় করে ৯২১ কোটি টাকা । বাংলাদেশ প্রধানত চীন, ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, তিউনিশিয়া, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, ইরান, মালয়েশিয়া, কোরিয়া, বেলজিয়াম, এলসালভাদর, স্পেন, ফ্রান্স, ব্রিটেন, আইভরিকোস্ট, ব্রাজিল, জিবুতি, ইতালি ও তাইওয়ানে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে থাকে।
পোশাকখাতে বাংলাদেশের জন্যে সুদিন অপেক্ষা করছে। বিশ্বের মন্দা কেটে যাওয়ায় পোশাকখাতে অপার সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে। পুরনো রপ্তানিকারকদের পাশাপাশি নতুন ক্রেতা এখন দলবেঁধে ছুটে আসছেন বাংলাদেশে। পোশাকশিল্পের নির্ভরযোগ্য ও কয়েকটি প্রধান রপ্তানিকারক দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিবেশের কারণে সেখানকার কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছেন তাঁরা। রপ্তানিকারক দেশগুলো বাংলাদেশের শ্রম ব্যয় ও অন্যান্য বিষয়ে সুযোগ-সুবিধা পাওয়ায় তাঁরা এখন বাংলাদেশকেই পোশাক রপ্তানির মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন। বাংলাদেশের জন্যে সবচেয়ে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে এখন নতুন করে উচ্চমূল্যের ও গুণগত মানের কাপড়ের পোশাকখাত। এতোদিন শুধু সাধারণ কাপড়ই বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হতো। এখন বিশ্বের নামকরা ও ব্র্যান্ডের বড় বড় প্রতিষ্ঠান প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করছে। যা আগে কখনো চিন্তাও করা যেতো না। জার্মানির বিশ্বখ্যাত হুগোবস ও অ্যাডিডাস ব্র্যান্ড পোশাক নেয়ার জন্যে বাংলাদেশে কাজ করছে। সাধারণ পোশাকের সঙ্গে সঙ্গে উচ্চমূল্যের এবং ব্র্যান্ড পোশাকের অর্ডারের জন্যে এসেছে ইতিমধ্যে জার্মানির অ্যাডিবায়ার, এস অলিভার, স্পিরিট, অ্যামিরকার ডিকে এন ওয়াই, কোল ও টমিহিল ফিগার। ইন্ডিটেক্স ইউরোপের বড় প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড হলো_জারা, পুলোন বিয়ার ও প্রেসকা। ইন্ডিটেক্স বাংলাদেশের বাজারে প্রথমবারের জন্যে এসেছে। শুধু নামী-দামী কোম্পানি বা ব্র্যান্ডই আসছে না। আসছে অনেক খুচরা রপ্তানিকারক। আর তারা আগের চেয়ে অর্ডারও বাড়িয়ে দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেক্সট বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্যে বাংলাদেশ থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছিল। এ কোম্পানি আবার বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। অন্যদিকে ইউরোপ-আমেরিকার বাইরে জাপানেও বাংলাদেশের বড় ধরনের বাজার তৈরির উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে বিশাল পরিমাণ অলস অর্থ পড়ে রয়েছে। পোশাকখাতের এ জোয়ারে সেগুলোর যথাযথ বিনিয়োগ করা গেলে বাংলাদেশের জন্যে বড় ধরনের অর্থনীতি প্রবৃদ্ধি করা সম্ভব হতো। পোশাকখাতের অন্তরায় হিসেবে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তার মূল গ্যাস ও বিদু্ৎ সঙ্কট। এ সঙ্কট মোকাবেলা করে বিনিয়োগ সচল করতে হবে সর্বাগ্রে। ইতিমধ্যে চিংড়ি, পাট ও চামড়া শিল্পের বাজারে ধস নেমেছে। প্রবাসী রেমিটেন্সের প্রভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ শক্ত অবস্থান করেছিল_তার বাজারও এখন নিম্নমুখী। সম্ভাবনার পোশাকখাত এখন আমাদের নাগালে ধরা দিয়েছে। এর সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা গেলে দিন দিন দেশের বেকার সমস্যা কাটিয়ে উঠে দেশ একটা সমৃদ্ধশালী শক্ত অর্থনীতির ভিতের ওপর দাঁড়াতে পারবে।
গৌরী সেন ছিলেন ১৭-১৮ শতকের সুবর্ণবণিক সম্প্রদায়ের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। নানাভাবে তিনি বিপদগ্রস্ত মানুষকে অর্থসাহায্য করতেন। সেই থেকে বলা হয়, ‘লাগে টাকা, দেবে গৌরী সেন’।
জীবনের জন্য প্রয়োজন সঞ্চয়। একটা সময় ছিল, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য কিছু অর্থ রাখতেই হতো। আর এখন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পাশাপাশি যোগ হয়েছে বাড়তি স্বাচ্ছন্দ্যের আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু এখন আর গৌরী সেন নেই। তবে অর্থ প্রয়োজন। কে দেবে অর্থ?
বাংলাদেশে শেয়ার বাজারই এখন গৌরী সেন। শেয়ারবাজার অর্থ দিচ্ছে, আর সেই অর্থ পেতে এই বাজারে মানুষ আসছে ‘বানের লাহান’। এক বছর আগেও বাজারে বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ১৫ লাখেরও কম। আর এখন প্রায় ৩২ লাখ। এই গৌরী সেনের কাছে প্রতিদিনই মানুষ আসছে। একটুখানি সুখ স্বাচ্ছন্দ্য তো আছেই, এখন শেয়ারবাজার দিচ্ছে গাড়ি ও বাড়ি। বেকার থেকে শুরু করে সমাজের এমন কোনো শ্রেণী নেই, যারা শেয়ারবাজারে একখানি হিসাব খোলেননি। দেশের মানুষ কিছু একটা করে বাড়তি আয় করছে, আর এই পরিস্থিতিতে খুশি হওয়ারই কথা। একসময় মধ্যবিত্তেরা ব্যাংকে টাকা রাখতেন। এরচেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ দ্বিতীয়টি নেই। তবে এই নিরাপদ বিনিয়োগের সুদের হার ক্রমান্বয়ে কমতে থাকায় ব্যাংকে টাকা রাখায় উৎসাহ কমেছে। দ্বিতীয় পছন্দের জায়গা ছিল সঞ্চয়পত্র। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের চাপে সঞ্চয়পত্রের সুদের হারও কমছে। এতেও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন অনেকেই। বাকি রইল শেয়ারবাজার। মধ্যবিত্তেরা এখন শেয়ারবাজারে। বাংলাদেশের এখনকার শেয়ারবাজারকে মোটেই স্বাভাবিক বলা যাবে না। বেশির ভাগ শেয়ার অতি মূল্যায়িত। এর মধ্যে বেশির ভাগই দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানি। সুতরাং দাম কত কমলে একে বাজার সংশোধন বলা যাবে, তা-ও পরিষ্কার নয়। কোম্পানির অস্তিত্ব নেই, অথচ শেয়ারের দাম বাড়ছে। এ ধরনের চিত্র অনেক পাওয়া যায়। এই শেয়ারবাজার তো আসলে তথ্যের বাজার। যার কাছে তথ্য আছে, সে বেশি লাভবান। আর এটাই স্বাভাবিক, এসব তথ্য তৈরি করে নানা ধরনের গুজব। এমনকি তথ্য কেনাবেচার ঘটনাও আছে। দেশের মধ্যে যে বিনিয়োগযোগ্য অনেক অর্থ আছে, এর প্রমাণ এই শেয়ারবাজার। শেয়ারবাজারের বাজার মূলধনের পরিমাণ মোট জিডিপির প্রায় অর্ধেক। এখন প্রতিদিন গড়ে লেনদেনের পরিমাণ দুই হাজার কোটি টাকার বেশি। ডিএসই এর সঠিক সিদ্ধান্ত, পরিমান মতো ঋণ সুবিধা দিলে হয়তো শেয়ার বাজারের লেনদেন এর পরিমান আরও বাড়বে।
রেমিটেন্স দিয়েই দেশের উন্নতির সোপান তৈরি হতে পারে। প্রথমেই যা করতে হবে তা হলো একটি রেমিটেন্স ব্যাংক স্থাপন। যার মালিক থাকবেন প্রাইভেট কোম্পানি এবং সরকার যৌথভাবে। প্রথমেই জমাকারীদের ১০% ইন্টারেস্ট দিতে হবে নিয়ম মেনেই। পরের ধাপেই থাকবে মার্চেন্ডাইস সংস্থা যারা স্বল্প সময়ের বিনিয়োগ করবে এবং রেমিটেন্স ব্যাংক থেকে লোন নেবে যথাযথ নিয়মেই। তৃতীয়ত, একটা বডি/সংস্থা যাঁরা দীর্ঘমেয়াদি লোন দেবেন। যাদের লোন দেবেন সেখানে সরকারি সংস্থা, প্রাইভেট সংস্থা এবং প্রতি সংস্থার সঙ্গেই রেমিটেন্স পাঠানো ব্যক্তিরা সংযুক্ত থাকতে পারেন। একটা বিষয়ে নির্দিষ্ট থাকতে হবে যে, বিনিয়োগ হবে সম্প্রাসারণ কাজে। কোনো নতুন প্রজেক্টে নয়। স্বাভাবিক লোন আদায় করতে রেমিটেন্স ব্যাংক লোন প্রসেসের যাবতীয় খরচ বহন করবে ব্যাংক। ফলে অপ্রয়োজনীয় চাকরি মেদবহুল ব্যয় কমাতে বাধ্য। তবে বিনিয়োগ বোর্ড, বিদু্যৎ সমিতি, গ্যাস সংস্থা ইত্যাদি সংস্থা যার নির্বাহী ক্ষমতা রাষ্ট্র নির্বাহকারীর হাতে থাকা সমীচীন হবে না। উপকারের চেয়ে এতে অপকারই হয় বেশি। কারণ সময়ের অভাবে যথাযথ মনিটরিং হয় না রাষ্ট্রীয় কর্ণধারের। ফলে দুনর্ীতি করেও পার পেয়ে যেতে দেখা গেছে।
অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য যে, ইউরোপে বিশেষ করে জার্মানিতে শিল্পমেলা হয়। সেই মেলায় টাকা লোন দেয়ার জন্য তারা স্টল দিয়ে মানুষ ডাকে টাকা নেয়ার জন্য। সরকারি গ্যারান্টি পেলে দাতারা নির্ভয়ে চাহিত টাকা দিতে পারে।
বাংলাদেশে টাকার অভাবের কারণে কত শত সংস্থা, লোনদাতা বাংলাদেশে ব্যবসা করছে যারা অতি সুদ আদায় করে; তার হিসাব কি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আছে? বড় বড় বুলি আওড়ালেও তার যে পরিসংখ্যান থাকার কথা নয় তা প্রায় নিশ্চিত নানা কারণেই।
সারা বছরে আর কয়েকটা খবর আমাদের মন কেড়ে নেয়।সাফ গেমস এ বাংলাদেশের সোনা জয়, ওআইসি
ডিবেটে আইবিএর সাফল্য, বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাফল্য……………………।
সবশেষে বলি, শ্রদ্ধা করি তাদের, যাদের জন্য আমাদের এই বাংলাদেশকে পেয়েছি,যাদের আত্নত্যাগের উপর ভর করে আমরা আজ সপ্ন দেখে যাচ্ছি।প্রাণ ভরে ভালবাসি তাদের, যারা আমাদের এই দেশ্ টাকে বিশ্বের দরবারে নিয়ে গেছে বা যাচ্ছে।আমাদের যে আরও মাওলানা ভাষানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, জিয়াউর রহমান, ডঃমুহাম্মদ ইউনুছ, সাকিব আল হাসান, ডঃআবেদ চৌধুরী, ডঃমাকসুদুল হক,মুসা ইব্রাহিম, ডঃকায়কোবাদ, ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, ডাঃ শুভ রায়, তারেক মাসুদের প্রয়োজন। হে জাতির সেরা সন্তানেরা তোমরা কি আমাদের ডাকে সারা দিবে না????
সবশেষে তোমায় বলি মাতৃভূমি,তুমি আমাকে অনেক কিছু দিয়েছো…তোমাকে কতটুকু দিতে পারব আমি জানি না…তুমি আমাকে বাঁচতে শিখিয়েছো, হাসতে শিখিয়েছো,তোমাকে নিয়ে সপ্ন দেখতে শিখিয়েছো…তাইতো আমি এখন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে বলতে পারি, বাংলাদেশ তুমি আমার মা, তোমায় অনেক ভালবাসি,সত্যি সত্যি ভালবাসি, অনেক বেশি ভালবাসি…………………………।
(তথ্য সুত্রঃপ্রথম আলো, ইত্তেফাক, সমু ব্লগ)
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১১ ভোর ৪:০১