আমরা সবাই জীবনের একটা সময় পার করি যখন কিছুই নিজের অনুকূল যায়না। প্রতিটি দিনের প্রতিটি মুহূর্ত যেন শ্বাস রুদ্ধকর মনে হয়। আর প্রতিটা পরিস্থিতিই অভিশাপ মনে হয়। অনেকেতো সুইসাইড করার মতো সিদ্ধান্ত ও নিতে দ্বিধা করেন না। সেই মুহুর্ত গুলো কিভাবে ট্যাকেল দেয়া যায়? মানসিক এই অস্থিরতা, অশান্তি দূর করে আশা জাগানিয়া কিছুই চোখে ভাসেনা। সুরংগের অপর প্রান্তে কোন আলো দেখা যায়না। কি করবেন আপনি তখন?
সেই সব মুহূর্ত যখন নিজেকে হতাশার অতল তলে পাবেন তখনকার জন্যে আশার প্রদ্বীপ হতে পারে কুরানের একটি সূরা। যে সূরায় আল্লাহ তার রাসুল সা: আশা দিচ্ছেন। আসলে এই কথা গুলো আমাদের সবার সাথেই মিলে।
আমরা একটু চিন্তা করলেই পাবো।
প্রথম ও দ্বিতীয় আয়াতে আল্লাহ পুর্বাহ্ন ও রাতের শপথ করে বলছেন আল্লাহ আমাদের ছেড়ে দেন নি।
আল্লাহ আমাদের সাথেই আছেন। তাহলে হতাশ হবার কি আছে?
এর পরই আল্লাহ বলছেন আমাদের জন্যে ইহকাল অপেক্ষা পরকালই শ্রেয়। এবং তিনি তাকে খুব শিঘ্রই তা দান করবেন। এর থেকেই বুঝা যায় ইহকালের সকল কষ্টের বিনিময়ে ও যদি আসল উত্তম যা সেখানে উত্তম কিছু পাওয়া যায় তাহলে হতাশ হবার কিছুই নেই। কারন এখানে কষ্ট করলে এটা কিছুই না। আখিরাতের শান্তি যেমন আসল শান্তি শাস্তিও তেমনি।
অতএব এই সামান্য সময়ের কষ্ট নিয়ে হতাশ না হয়ে পরকালের জন্যে আশাবাদী হওয়াই শ্রেয়।
এর পর আল্লাহ তার রাসূল কে বলছেন আল্লাহ তাকে এতিম ও অভাব গ্রস্থ পেয়েছেন অত:পর তার অভাব মূক্ত করেছেন।
এই কথাটা ও আমাদের সবার সাথে মিলে।
একটু গভীর ভাবে ভাবলেই আমরা পাবো আমরা এখন যে সময় পার করছি এই সময়ের চেয়ে অনেক কঠিন, খারাপ পরিস্থিতি পার করে এসেছি। আল্লাহ আমাদের সে সময় থেকে বের করে অনেক ভালো অবস্থানে নিয়ে এলেন।
অতএব হতাশ না হয়ে আরো ভালো অবস্থানে যাবেন এই আশায় থাকেন সবাই।
আর আল্লাহর দেয়া এই নিয়ামতের শুক্রিয়া স্বরুপ এতিম, ও দুস্থদের সহায়তা করা উচিত। এতে মানসিক শান্তি আসবে।
হতাশা কেটে যাবে।
আর এই নিয়ামতের কথা সবার কাছেই প্রকাশ করা উচিত। এতে অন্যদের মাঝেও শুক্রিয়া করার মানসিকতা আসবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:১৭