শয়তান তাড়াবার জন্য মানুষই যথেষ্ট
সমাজে-রাষ্ট্রে যতরকমের শয়তান আছে তার একটা তালিকা তৈরি করতে গেলে আমাদের খুব হিমশিম খাইতে হবে। কতরকমের শয়তান আছে এই দেশে। আর এখানে, শয়তানের কোনো শেষ নাই। একশ্রেণীর অমানুষ প্রতিনিয়ত শয়তানী করে যাচ্ছে। আর তারা শয়তানী করে যাচ্ছে মনের সুখে। এরা নিজেদের আবার ধার্মিকও ভাবে। আর এরা মনে করে: এদের চেয়ে বড় কোনো ধার্মিক বুঝি এই পৃথিবীতে নাই।
এরা ধর্মব্যবসায়ী ও বিকৃত-বুদ্ধিসম্পন্ন অমানুষ। এরা এখন নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে দেশের ভিতরে মানুষহত্যা শুরু করে দিয়েছে। আর এই হত্যাকাণ্ডকে তারা ধর্মজ্ঞান করছে। এরা কি অবুঝ? এরা কি কিছুই বোঝে না? আসলে, তা নয়। এরা সবই বোঝে। আর সবচেয়ে ভালো বোঝে শয়তানী। তাই, এরা নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে আমাদের গণতান্ত্রিক-রাষ্ট্রে একটা অস্থিতিশীল-পরিস্থিতিসৃষ্টির জন্যই এমনটি করছে। এরা সমাজের চিহ্নিত-শয়তানগোষ্ঠী। মূলত এদের কোনো ধর্ম নাই। এরা সবসময় শয়তানের দোসর। আর শয়তানী করতেই এদের ভালো লাগে।
দেশের ভিতরে যতরকমের শয়তান ও শয়তানী আছে তা তাড়াবার শক্তি একমাত্র মানুষেরই আছে। কারণ, এই সমাজ ও রাষ্ট্র মানুষের। আর এটির সুরক্ষার ভারও তাই মানুষের হাতে। মানুষের সমাজ আজ মানুষকেই গড়তে হবে। আর এরই জন্যে আজ দেশে-দেশে সকল মানুষকে একযোগে জেগে উঠতে হবে। আর রুখে দিতে হবে দুনিয়ার সমস্ত শয়তানকে। আর আমাদের সবসময় আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে: শয়তান তাড়াবার জন্য মানুষই যথেষ্ট।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪