ভণ্ডগুলো এখন ধর্মকে পুঁজি করে মানুষহত্যা শুরু করে দিয়েছে।
যাদের কোনো ধর্ম নাই। তারাই এখন নিজস্বার্থে পবিত্র ইসলামের নাম-ব্যবহার করে দেশের ভিতরে শয়তানীকার্যকলাপ চালাচ্ছে। এরা ধর্মকেন্দ্রিক আমাদের সমাজের মুখচেনা ও চিহ্নিত শয়তান। এই শয়তানগুলো নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্য সবসময় ইসলামধর্মকে ব্যবহার করে থাকে। এরা চিরকালীন অমানুষ। এদের কিন্তু ধর্ম নাই। তবুও এরা লোকদেখানোর জন্য সবসময় মুখে-মুখে ইসলাম-ইসলাম করে থাকে।
এই শয়তানশ্রেণীটির জন্ম হয়েছিলো সেই ইংরেজ-আমলে। সেই সময় তারা ধর্মকেন্দ্রিক নানারকম শয়তানী ও নিজেদের মনগড়া অপসংস্কৃতির অপপ্রচার করছিলো। এই শয়তানরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে নানারকম শয়তানীআগ্রাসন পরিচালনা করেছিলো। এরা কেউই নিজের দেশকে ভালোবাসেনি। ইংরেজরা খ্রিস্টান হওয়ার কারণে তাদের সংঙ্গে সাম্প্রদায়িক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।
এই ধর্মব্যবসায়ীশ্রেণীটি ইংরেজ-আমলে মাদ্রাসাপ্রতিষ্ঠার জন্যও ইংরেজদের পায়ে ধরনা দেয়। এরপর ইংরেজরা তাদের জন্য মাদ্রাসা বানিয়ে দেয়। আর এতে তারা নিজেদের আলেম ঘোষণাপূর্বক শুরু করে দেয় নানারকম শয়তানীফতোয়াবাজি। এর মূলে রয়েছে তাদের লাভ, লোভ ও লালসার সীমাহীন চাহিদা।
ইংরেজদের প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসায় কখনও ইসলামীমূল্যবোধের কোনো শিক্ষা ছিল না। আজও নাই। সেখানে আছে শুধু ফতোয়াবাজি আর নিজেদের মনগড়া শয়তানীসিদ্ধান্তসমূহ। এই ভণ্ডশ্রেণীটিই এখন ধর্মের চাঁই হয়ে আমাদের দেশে বিবিধ শয়তানী কার্যকলাপে নিয়োজিত। এরা নিজেদেরকে সবসময় কুরআন-হাদিসের রক্ষক মনে করে থাকে। আসলে, এরা ধর্মের ভিতরে আত্মগোপন করা সর্বাপেক্ষা ভয়াবহ শয়তান। এরা নিজেদের আলেম ঘোষণা করে দেশের সাধারণ-শিক্ষিত মানুষকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে থাকে। এরা কেউই আলেম নয়—তবুও এরা সমাজে টিকে থাকার জন্য নিজেদের গায়ের জোরে আলেম বলে অপপ্রচার করে থাকে। এগুলো সমাজের চিহ্নিত-কাটমোল্লা।
বর্তমানে একটি কাটমোল্লাশ্রেণী ঘোষণা দিয়ে দেশের ভিতরে ব্লগার-হত্যা শুরু করেছে। এরা এমনই পাষণ্ড যে, মানুষহত্যা করে এরা ইসলামরক্ষার কথা বলছে। এদের সামান্যতম লজ্জাশরম বলে কিছু নাই। এরা কুকুরেরও অধম। এদের কারও মধ্যে সামান্যতম মনুষ্যত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।
রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে এই চিহ্নিত-শয়তানদের খুঁজে বের করে একরাতের মধ্যে সবক’টা জানোয়ারকে ফাঁসিতে ঝোলানো। এই মানুষহত্যাকারীরা শয়তান, আর নরপশু। এরা বনের হিংস্র-হায়েনা কিংবা সাঁঝের শূয়রের চেয়েও নিকৃষ্ট। এদের নির্মূল করা না হলে রাষ্ট্র চিরদিন অরক্ষিতই থেকে যাবে। তাই, রাষ্ট্রীয়ভাবে এই মানুষহত্যাকারী-শয়তানশ্রেণীটিকে চিরতরে নির্মূল করতে হবে। আর যেকোনোমূল্যে এই শয়তানদের চিরতরে নির্মূল করতেই হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:১৮