ঋতুরাজ বসন্ত এসেছে। বৃক্ষ সব নতুন পাতা ও ফুলের অপরূপ মহীমায় মাতোয়ারা। পাখিরা সুরে কল্লোলিত। আর আমি! আমি আমার অবসন্ন-ক্লান্ত দেহটাকে নিয়ে অবুঝ শিশুর মতো হামাগুড়ি খাচ্ছি। অপেক্ষায় থাকি, যদি কোনো এক বসন্ত সুখ র্বাতা নিয়ে আসে। না, সে আর আসে না। সুখের পালকগুলো কেবল ঝরেই যাচ্ছে। ওড়ার ক্ষমতা বুঝি এখানেই শেষ। ভালোবাসাগুলো আজ বড্ড অসহায়।
অতীতে যেটুকু পেয়েছিলাম তা করুণার পাত্র হয়ে। সেটাই বড় ভুল। বসন্তের মাতাল হাওয়ায় ফাগুনে আগুন আমার জীবনে দফ দফ করে জ্বলে উঠছে। সুখের মাতোয়ারা হাসির উচ্ছ্বাস ম্লান করে দিয়েছে দুঃখবার্তা। মনের আকাশে আস্তে আস্তে ঘন কালো মেঘের মহড়া সাজিয়েছে। কষ্টগুলো বিদ্যুতের মতো চমকিত হয়। তবু্ আমি সুখের স্বপ্ন দেখি। সেই ভরসায় বেঁচে থাকি, বাঁচতে শেখায়। স্বপ্ন ছাড়া মানুষ বাঁচে না। এককুড়ি বসন্ত আমাকে ছুঁয়ে বিশ্বাস আর ভালোবাসা ভঙ্গের করাল গ্রাস, অস্থির দিন, নির্ঘুম রাত আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ বস্তু হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। সাজানো স্বপ্নগুলো ভেঙে গেছে। আমি আমার সব হারিয়েছি। দুঃখের সঙ্গে বসবাস সমাজে আজ উন্মুচিত। তবু আমি হাসতে চাই। বিশ্বাস করি, অপেক্ষায় থাকি। কোনো এক বসন্ত আমার জীবনে সুখবার্তা নিয়ে আসবে। বন্ধুটি ফিরে আসবে। অশ্রু মুছে দেবে। স্বপ্ন সাজাব। প্রাণবন্ত হয়ে উঠব। ভালোবাসার রঙে মাতব আবারও। কিন্তু না, তা আর হলো না। স্বপ্নগুলো মরীচিকা হয়ে ঝড়ে পড়ে।
তেমনি জাতীয় জীবনে আজ সবাই স্বার্থের পেছনে ছুটছে। সবাই মন্দের প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। ভালোর পেছনে কেউ দৌড়ায় না। প্রত্যাশা করি, চিরসবুজ বসন্তের মতো সেজে উঠুক আমাদের জাতীয় ও ব্যক্তিগত জীবন।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫২