প্রেমিকা বা নারীগোত্রীয় কারো জন্য অপেক্ষা করবেন ?আপনার জন্য কিছু কালজয়ী টিপস -
নারী মাত্রই অপেক্ষা করাতে পছন্দ করে । কালজয়ী দার্শনিক সৌরভস্কি বলেন ,
‘’ কোন নারী যদি তোমাকে দুই মিনিট অপেক্ষা করতে বলে , তাহলে তুমি নিশ্চিন্তে ঘণ্টা দুই এর একটি ঘুম দিয়ে উঠতে পারো । ‘’
প্রেমিক প্রেমিকার জন্য , স্বামী স্ত্রীর জন্য , বন্ধু বান্ধবীর জন্য , ভাই বোন এর জন্য – নানান জন , নানান জনের জন্য , নানান সময় , নানান কারণে , নানান জায়গায় , নানান সময়ে , নানান ভাবে অপেক্ষা করে থাকেন । এই অপেক্ষার সময়টা প্রায় ই দীর্ঘতম হয় । নারী সদয় হলে বড়জোর দীর্ঘতর হয় ।
এই দীর্ঘতর বা দীর্ঘতম অপেক্ষায় সময়টা প্রায় ই বিরক্তির উদ্রক করে । তবে ইচ্ছা করলেই এই বিরক্তির সময়টা ভালো কাজে লাগানো যায় । কিংবা চিত্তবিনোদনের কাজে । কিংবা হুদাই । আপনাদের সাথে কিছু টিপস শেয়ার করছি । যার মাধ্যমে আপনারা আপনাদের অপেক্ষার সময় গুলো আরও রঙিন করে তুলতে পারেন ।
১. পকেটে মোবাইল , মোবাইলে এমবি – কোন কথা হবে না বস , সোজা ফেসবুক । গুঁতাতে থাকেন সঙ্গী আসার আগ পর্যন্ত । সময় কেটে যাবে ।
২. ফেসবুক গুতানির ও সীমা আছে , মেয়েদের অপেক্ষা করিয়ে রাখার সীমা নেই । ফেসবুকিং করতে করতেও বিরক্ত হয়ে যেতে পারেন । উপায় ? হেড ফোন আছে পকেটে ? লাগিয়ে দিন । গান শুনোন । রোম্যান্টিক গান শুনতে পারেন । ইচ্ছে করলে হালকা রক বা মেটাল ।
৩. গান শুনতে শুনতে লিরিক মুখস্ত হয়ে যাবে , তবে অপেক্ষার পালা শেষ হবে না । এখন উপায় ? ইনবক্সে কি ম্যাসেজ আছে ? কোন রোম্যান্টিক বা স্মৃতিকাতরতা মূলক ? থাকলে ভেরি গুড । শুরু করে দিন পুরাতন ম্যাসেজ পড়া ।
৪. পুরাতন ম্যাসেজ নেই ? কি আর করা । নতুন ম্যাসেজ বানিয়ে ফেলুন । পরিচিত কয়েকজনকে ম্যাসেজ দিন । হালকা আলাপ চালিয়ে যান । অপেক্ষার সময়টা কেটে যাবে ।
৫. ম্যাসেজের রিপ্লাই কেউ দিচ্ছে না ? বা আলাপ চালানোর মতো কেউ নেই ? ব্যাপার না । বই পড়তে শুরু করুন । আশা করি পিডিএফ রিডার আছে মোবাইলে , সাথে কয়েকটা ই বুক ও । কে আর পায় আপনাকে ? শুরু করে দিন । তবে খেয়াল রাখবেন বই যেন কম পক্ষে ৭০ পাতার হয় । এর কমে হবে না ।
৬. ডিজিটাল ভাবে অপেক্ষার সময় কাটানো যাচ্ছে না । তাহলে কি করা ? অ্যানালগ সিস্টেম আছে বন্ধু । আশা করা যায় আপনি অপেক্ষা করবেন কোন পার্কে , কিংবা তার বাসার সামনে , কিংবা হোস্টেলের সামনে । বসে বসে গুণতে থাকুন আপনার সামনে দিয়ে কয়টি রিকশা , কয়টি বাস , সিএনজি যায় ।
৭. রিকশা , বাস , বা সিএনজি তে বিরক্ত হলে গুণতে থাকুন কয়টি মেয়ে আপনাকে ক্রস করে গেলো । মেয়ে গুলো কি সুন্দর ছিল ? নাকি গড়পড়তা ? শাড়ি নাকি থ্রি পিস ? সুন্দরীরা কি পড়েছিল ? স্টাটিস্টিক্স দাঁড় করিয়ে ফেলুন ।
৮. কনভারস বা ফিতা দিয়ে বাঁধা কোন জুতা পড়েন ? চেষ্টা করে দেখুন কতো দ্রুত ফিতা বাঁধতে পারেন । বারবার চেষ্টা করুন । নিজের সাথে নিজেই প্রতিযোগিতা করুন । চোখের পলকে ফিতা বাঁধার এক্সপারট হয়ে যাবেন ।
৯.
বিঃদ্রঃ উপরে যে পদ্ধতি গুলো দেওয়া হয়েছে তা ১০০% ফলদায়ক এবং পরীক্ষিত । সব গুলো পদ্ধতির সফল প্রয়োগ আমি নিজে ঘটিয়েছি । কারো জন্য অপেক্ষা করতে গেলে আমি এই কাজ গুলো করেই সময় পার করি ।