সামু ব্লগে এক ব্লগ লিখকের একটি পোষ্টে আমার একটি মন্তব্য!
জগতারন বলেছেন:
শাহ আজিজ -এর সব পোষ্টই কপি করা তা আমি জানি।
তার পরও আমি ওনার পোষ্ট আমি পড়ি, মন্তব্যও করি,
কারন বেচারা এতো কষ্ট করে ও যোগার করে আমাদের সামনে এনেছে!
যার ব্লগে উপরে তুলে দেওয়া মন্তব্যটি আমি করেছিলাম, আমার মন্তব্যটি তুলে দিয়ে আর একটি ব্লগ লিখেছেন। সেই ব্লগে বিভিন্ন জনের মন্তব্য আমার দৃষ্টীগোচর হয়েছে। সেই পরপ্রেক্ষিতেই আজকে আমার এই ব্লগ লিখা।
এই লিখার শুরুতে একটি চুটকী বা গল্প দিয়েই শুরু করিঃ
মহল্লার এক চা’-এর দোকানে এক চা বিক্রেতাকে গ্রামের এক কৃষক নিজের গাভী থেকে পাওয়া দুধ দিতো রোজ। ওই দুধ দিয়েই চা বিক্রেতা চা বানিয়ে তার গ্রাহকদের চা বানিয়ে পরিবেশন করতো। চা বিক্রির লাভাংশ দিয়ে চা বিক্রেতার সংসার চলতো।
ঐ মহল্লার এক প্রানবন্ত চতুর বা মোটামুটি চালাক-চতুর এক লোক একদিন দেখে ফেলে ঐ দুধদেওয়ানে’লা গাভী থেকে দুধ দোহানের পরে প্রাপ্তদুধে সমপরিমান পানি মিশায়ে সেই দুধ সেই চা বিক্রেতার কাছে বিক্রয় করছে। একদিন, দু’দিন, তিনদিন, চারদিন প্রতিদিনই ঐ দুধদেওয়ানে’লা তার এই অনৈতিক কম্ম করেই যাচ্ছে। একদিন সে আর সহ্য করতে না পেরে সেই প্রানবন্ত চতুর বা মোটামুটি চালাক-চতুর লোকটি চা দোকানদারকে দুধদেওয়ানে’লা দুধ বিলি করার সময়ে চা বিক্রিতা ও সকল চা খাওয়া আড্ডাবাজদের সামনে হাজির হয়ে আসল সত্য প্রকাশ করে দিল।
ইহা প্রকাশ করে তো ঐ লোক বেকায়দায় পড়েছে;
কারন বিভিন্ন জনের কর্কশ মন্তব্য (!)
ঐ সত্য জানার পর চা বিক্রয় করা দোকানদার মিটি মিটি হাসে, তেমন কিচ্ছু বলে না। আর ঐ দোকানে চা খাওয়া’নেলা আড্ডাবাজদের একএকজন মন্তব্য করছেঃ
১) চা তো আমারা খাই বা পান করি, সেই চা’য়ের বেশির ভাগই তো পানি দিয়েই বানানো হয়, তো দুধদেওয়ানে’লা একটু আধটু পানি মিশালে তাতে এমন কী বা ক্ষতি হয় (!)
২) গাই গরুর দুধ দিয়ে বানানো গড়ম গড়ম চা আমরা খেতে পারছি, এ-ই তো কতো।
৩) দুধদেওয়ানে’লা প্রতিদিন এখানে দুধ দিয়ে যায় তা-ই তো কতো, সে দুধে একটু পানি তাতে কি (!)
৪) চা বিক্রিতা মিটী মিটি হাসে আর বলে, আমি প্রতিদিন দুধ পাই তা দিয়ে চা বানিয়ে বিক্রয় করি, লাভ হয় তা দিয়ে সংসার চলে, এ-ই তো কতো।
কিন্তু এখানে দুধদেওয়ানে’লা-এর নৈতিক ও কর্তব্য বিষয়ক নীতিজ্ঞান নিরব-নিস্তব্ধ-মৌন। তার কোন মন্তব্য নেই।
যাইহোক, আমার গল্প বা চূটকী এখানেই শেষ।
আর এই গল্পেঃ
খাওয়া’নেলা- সামু ব্লগের পাঠক-পাঠীকা।
চা দোকানদার সামু কর্তপক্ষ।
প্রানবন্ত চতুর (যে দুধে পানি দেওয়া দেখেছে); আমি। আর
দুধদেওয়ানে’লা (যার- নৈতিক ও কর্তব্য বিষয়ক নীতিজ্ঞান নিরব-নিস্তব্ধ-মৌন) সেই লোকটির নাম আমি আর এখানে উল্লেখ করলাম না। আপনারা বুঝে নিয়েন।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫০