মাত্রই কবর থেকে উঠে এলাম।
এখনো শরীর থেকে ঝরছে ঝুরঝুরে মাটি
মাটি? শরীর কি মাটি নয়?
তবে কেন এই শরীর মাটিতে মিশে যায়?
মিশে যাওয়ার কথা শুনে --
মনে পড়ে, পরষ্পর মিলনের কথা।
মনে মনে মিল, শরীরে শরীরে মিল
শরীরে শরীরে মিলন --
এখানে ধ্রুপদী হৃৎপিণ্ডের কথা বাদ দেওয়া হলো!
ওসব বাজে কথা। ওখানে ভালবাসা থাকে না
থাকে কেবল বেঁচে থাকার অর্থবহ ঘন্টা;
সুস্থ দেহের ঐ-ই একমাত্র নিদর্শন।
ঘন্টা বাজলেই বুঝতে হবে-- তুমি বেঁচে আছো।
এর বাইরে হৃৎযন্ত্র নিয়ে যতো কথা,
গল্প কাহিনি প্রচলিত আছে --- সবই মিথ।
এক ছিলো রাজকুমার, ঘনকালো সবুজ বনে গিয়ে --
রাজকুমারী... হাবিজাবি, যত্তোসব অবাস্তব কল্পনা।
যা কিছু আছে, তা আসলে ---
নেহাত মনগলানো কথা, কবিদের ভাওতাবাজি।
এদিকে অন্ধকার গলির মাথায় ল্যাম্পপোস্ট;
ল্যাম্পপোষ্টের হ্যালোজেন আলো খেলা
কুলসুমের মায়ের তীব্র কণ্ঠ শোনা যায় -- চোৎমারানি একটা!
কোথায় মায়াবী অন্ধকারে মিষ্টি কথা বলবে
কিংবা সঙ্গমে মেতে উঠবে! তা না করে
গোসলের জল, খাবারের জল,
সশব্দে স্নান ঘরের দরজা লাগায়... মাগী!
আমি কবর থেকে উঠে এসে দেখি ---আগুন।
আগুনে আমার শরীর অঙ্গার হয় --
ইট রঙ্গা শরীর নিয়ে বাইরে বেরুই
আবদুল, মোতালেব, মতির মা, কুলসুমের মা
সবাইকে দেখে ভালো লাগে-- সবাই কতো বাস্তবিক
আমিও জল ধরি, স্নান ও খাবারের ...!